ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাড়াবাড়ীয়ার ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী পায়নি বিচার! সালিশে মাতব্বরদের অর্থ ভাগাভাগি : ভিকটিমের পাশে মানবতা ফাউন্ডেশন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

Untitled-1

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে আইনের আশ্রয় নিতে শুধু বাধায় দেওয়া হয়নি, আসামীকে বাঁচাতে মাতব্বরগণ টাকা ভাগাভাগি করে খেয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ছালাচ্ছে মাতব্বরসহ সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে। ঘটনায় প্রকাশ বাড়ীর অদূরে বাগানে খড়ি কুরাতে যায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া, দিন মজুরের এক কন্যা। গাড়াবড়ীয়া গ্রামের লতিফের লম্পট ছেলে শান্তি, মাঠে একা পেয়ে, বাগানের মধ্য্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। বাড়ী ফিরে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। মায়ের নিকট ঘটনাটি খুলে বলে। ভিকটিমের পিতা-মাতা, শান্তির পিতা লতিফকে বিষয়টি জনালে সেহুমকি ধামকি দিতে থাকে। ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য বলে। এরই মাঝে ভিকটিম বিষের বোতল হাতে নিয়ে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়। ভিকটিমের পিতা-মাতা নাবালিকা মেয়েকে বোঝাতে চেষ্টা করে। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যায় সালিশ বসে। সারিশে মাতব্বর আনছার, এনামুল, কহিয়ূম বিশ্বাস, রমজান, হাবিল, কাশেম রাজা ঘটনাটি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করবার জন্য বিকটিমের পিতা-মাতাকে বলেন। গোপনে আসামীর তরফ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয় মাতব্বরদেরকে। তারা টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। ভিকটিম সালিস না মানায় বরং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায়, অবস্থা বেগতিক দেখে ভিকটিমকে তারা নানাবাড়ী ঘোলদাড়ীতে জোরপূর্বক পাঠায়ে দেওয়া হয়্ চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে, তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সংবাদটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মানবাধিকার সংগঠন মানবতা ফাউন্ডেশন বরাবর আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। ভিকটিমের নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম। মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বহী পরিচালক এ্যাড: মানি খন্দকার আবেদনপত্র পাওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই সংস্থার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের সমন্বয়কারী এ্যা: কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, অপারেশন অফিসার এ্যাড: জিল্লুর রহমান জানান, তথ্য কর্মকর্তা এ্যাড: নওশের আলী, গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলুর সমন্বয়ে গঠিত ৫সদস্যের মানবাধিকার টিম নিয়ে আজ ৭ডিসেম্বর মা ও নানার সাথে কথা বলেন সংস্থার নেতৃবৃন্দ। ভিকটিমের মা বলেন, আমি মেয়ের ক্ষতির বিচার পাইনি। আমাকে মাতব্বররা হুমকিতে রেখেছে। বিচার না হলে মেয়ে আমার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা অসহায়। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। এ সময় সংস্থার পক্ষ থেকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। বিষয়টির দিকে পুলিম প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক তড়িৎ আইন পদক্খেপ গ্রহনের আহবান জানিয়েছে মানবতা ফাউন্ডেশন। -বিজ্ঞপ্তি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাড়াবাড়ীয়ার ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী পায়নি বিচার! সালিশে মাতব্বরদের অর্থ ভাগাভাগি : ভিকটিমের পাশে মানবতা ফাউন্ডেশন

আপলোড টাইম : ০১:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬

Untitled-1

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে আইনের আশ্রয় নিতে শুধু বাধায় দেওয়া হয়নি, আসামীকে বাঁচাতে মাতব্বরগণ টাকা ভাগাভাগি করে খেয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ছালাচ্ছে মাতব্বরসহ সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে। ঘটনায় প্রকাশ বাড়ীর অদূরে বাগানে খড়ি কুরাতে যায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া, দিন মজুরের এক কন্যা। গাড়াবড়ীয়া গ্রামের লতিফের লম্পট ছেলে শান্তি, মাঠে একা পেয়ে, বাগানের মধ্য্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। বাড়ী ফিরে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। মায়ের নিকট ঘটনাটি খুলে বলে। ভিকটিমের পিতা-মাতা, শান্তির পিতা লতিফকে বিষয়টি জনালে সেহুমকি ধামকি দিতে থাকে। ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য বলে। এরই মাঝে ভিকটিম বিষের বোতল হাতে নিয়ে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়। ভিকটিমের পিতা-মাতা নাবালিকা মেয়েকে বোঝাতে চেষ্টা করে। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যায় সালিশ বসে। সারিশে মাতব্বর আনছার, এনামুল, কহিয়ূম বিশ্বাস, রমজান, হাবিল, কাশেম রাজা ঘটনাটি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করবার জন্য বিকটিমের পিতা-মাতাকে বলেন। গোপনে আসামীর তরফ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয় মাতব্বরদেরকে। তারা টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। ভিকটিম সালিস না মানায় বরং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায়, অবস্থা বেগতিক দেখে ভিকটিমকে তারা নানাবাড়ী ঘোলদাড়ীতে জোরপূর্বক পাঠায়ে দেওয়া হয়্ চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে, তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সংবাদটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মানবাধিকার সংগঠন মানবতা ফাউন্ডেশন বরাবর আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। ভিকটিমের নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম। মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বহী পরিচালক এ্যাড: মানি খন্দকার আবেদনপত্র পাওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই সংস্থার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের সমন্বয়কারী এ্যা: কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, অপারেশন অফিসার এ্যাড: জিল্লুর রহমান জানান, তথ্য কর্মকর্তা এ্যাড: নওশের আলী, গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলুর সমন্বয়ে গঠিত ৫সদস্যের মানবাধিকার টিম নিয়ে আজ ৭ডিসেম্বর মা ও নানার সাথে কথা বলেন সংস্থার নেতৃবৃন্দ। ভিকটিমের মা বলেন, আমি মেয়ের ক্ষতির বিচার পাইনি। আমাকে মাতব্বররা হুমকিতে রেখেছে। বিচার না হলে মেয়ে আমার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা অসহায়। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। এ সময় সংস্থার পক্ষ থেকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। বিষয়টির দিকে পুলিম প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক তড়িৎ আইন পদক্খেপ গ্রহনের আহবান জানিয়েছে মানবতা ফাউন্ডেশন। -বিজ্ঞপ্তি