ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় সরকারি ৩০টি গাছ চুরি

উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উদ্ধার, বন বিভাগে হস্তান্তর

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে


টানা চার দিনের বৃষ্টিতে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামক স্থান থেকে ৩০টি ইপিলইপিল গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমানের হস্তক্ষেপে গাছগুলো উদ্ধার করা হয় এবং উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা রজব আলীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলায় সরকারি পরিত্যাক্ত জমিতে বন বিভাগের উদ্যোগে গাছ লাগানো হয়েছিল। টানা চার দিনের বৃষ্টির কারণে কিছু গাছ হেলে পড়লে, দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে সেগুলো কেটে নিয়ে যায়। পরে জয়রামপুর সড়ক জনপদের সভাপতি শামসুল আলম গাছ কাটার খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে গাছগুলো উদ্ধার করেন। বন বিভাগের গাছ চুরি হওয়ার খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। যাচাই-বাছাই করে গাছগুলো বন বিভাগের বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি সেগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মকর্তা রজব আলী মোল্লার কাছে হস্তান্তর করেন এবং লিখিত নেন।

এ বিষয়ে জয়রামপুর সড়ক জনপথ কমিটির সভাপতি শামসুল আলম বলেন, ‘বহু বছর আগে রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত জমিতে এই গাছগুলো লাগানো হয়। টানা বৃষ্টির কারণে কিছু গাছ হেলে পড়ে। সেই সুযোগে দুর্বৃত্তরা গাছগুলো কেটে একটি স্কুলের পিছনে ফেলে রাখে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে গাছগুলো আমার হেফাজতে নিই।’

দামুড়হুদা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা রজব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। দামুড়হুদা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যার পরিদর্শন করে গাছগুলো বন বিভাগের বলে নিশ্চিত হন। পরে ২৭টি বিম, ৩টি লগ, এবং সাড়ে তিন মণ খড়ি আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই গাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে, এবং যে অর্থ পাওয়া যাবে তার ৫৫% কমিটি পাবে, বাকিটা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।’

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, ‘রাস্তার ধারে লাগানো গাছ চুরি হওয়ার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং গাছগুলো উদ্ধার করি। যেহেতু গাছগুলো বন বিভাগের, কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় এগুলো বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় সরকারি ৩০টি গাছ চুরি

উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উদ্ধার, বন বিভাগে হস্তান্তর

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪


টানা চার দিনের বৃষ্টিতে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামক স্থান থেকে ৩০টি ইপিলইপিল গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমানের হস্তক্ষেপে গাছগুলো উদ্ধার করা হয় এবং উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা রজব আলীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলায় সরকারি পরিত্যাক্ত জমিতে বন বিভাগের উদ্যোগে গাছ লাগানো হয়েছিল। টানা চার দিনের বৃষ্টির কারণে কিছু গাছ হেলে পড়লে, দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে সেগুলো কেটে নিয়ে যায়। পরে জয়রামপুর সড়ক জনপদের সভাপতি শামসুল আলম গাছ কাটার খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে গাছগুলো উদ্ধার করেন। বন বিভাগের গাছ চুরি হওয়ার খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। যাচাই-বাছাই করে গাছগুলো বন বিভাগের বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি সেগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মকর্তা রজব আলী মোল্লার কাছে হস্তান্তর করেন এবং লিখিত নেন।

এ বিষয়ে জয়রামপুর সড়ক জনপথ কমিটির সভাপতি শামসুল আলম বলেন, ‘বহু বছর আগে রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত জমিতে এই গাছগুলো লাগানো হয়। টানা বৃষ্টির কারণে কিছু গাছ হেলে পড়ে। সেই সুযোগে দুর্বৃত্তরা গাছগুলো কেটে একটি স্কুলের পিছনে ফেলে রাখে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে গাছগুলো আমার হেফাজতে নিই।’

দামুড়হুদা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা রজব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। দামুড়হুদা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যার পরিদর্শন করে গাছগুলো বন বিভাগের বলে নিশ্চিত হন। পরে ২৭টি বিম, ৩টি লগ, এবং সাড়ে তিন মণ খড়ি আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই গাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে, এবং যে অর্থ পাওয়া যাবে তার ৫৫% কমিটি পাবে, বাকিটা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।’

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, ‘রাস্তার ধারে লাগানো গাছ চুরি হওয়ার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং গাছগুলো উদ্ধার করি। যেহেতু গাছগুলো বন বিভাগের, কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় এগুলো বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’