ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তের দাবিতে

প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১১:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলসমূহকে লাভজনক ও যুগোপযোগী করতে চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে চিনি শিল্প কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ২৭ নম্বর আদেশবলে বাংলাদেশ চিনিকল করপোরেশন গঠিত হয়। পরে ১ জুলাই ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ চিনিকল করপোরেশন ও বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন গঠন করা হয়। এর অধীনে ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল পরিচালিত হতো। কিন্তু বিগত সরকার লোকসানের অযুহাতে ডিসেম্বর ২০২০ সালে ৬ চিনিকল বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে যে চিনিকলের মিল চালু আছে, তাতেও সরকারের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা যথার্থ নয়।

চিনিশিল্পে প্রায় ১৬ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার কর্মসংস্থান। আখ চাষের ওপর নির্ভর দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় পাঁচ লক্ষ চাষি এবং এর সাথে ৫০ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আখ একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল এবং চিনি ও গুড় তৈরির প্রধান কাঁচামাল। কৃষি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, সৃষ্টি, অবকাঠামো, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন পরিবেশ সুরক্ষা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, শিশু খাদ্য ও মেডিসিন তৈরিতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে আখের অবদান অনস্বীকার্য।আখ একমাত্র ফসল যা কৃষক সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষিভিত্তিক শিল্পে সরবরাহ করতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ কৃষিক্ষেত্রে ও আখ উৎপাদনে, চিনিশিল্পের কৃষি বিভাগ সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকে। উৎপাদন ফলন বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি স¤প্রসারণে আমরা কৃষিবিভাগ কৃষি ও কৃষকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

আরও বলা হয়, কৃষি বিভাগে অনেক কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ও বিজ্ঞান বিভাগ হতে জনবল সরাসরি কৃষকের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে আখ উৎপাদন ও আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মসুর, মুগ, মাসকালাই, মরিচ, সরিষা, ভুট্টাসহ আরো বিভিন্ন রকমের শাকসবজি উৎপাদনে জড়িত ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে থাকে। আমরা বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করি বিধায় চিনিকলগুলো এখনো টিকে আছে। বাংলাদেশ খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কৃষি বিভাগের ইক্ষু উন্নয়নের সহকারী সিডিএ আব্দুল্লাহ আল মাসুদের পক্ষে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন কেরুজ চিনিকলের কৃষি বিভাগের সিডিএ হারিজুল ইসলাম, এ.এস.এম.কবির, এইচ এম সাকী মাহমুদ, মাঈনউদ্দিন আহমেদ, একরামুল হক খলিল, সাইফুল্লাহ, মুকুল হোসেন, শহিদুল হক, সিআইসি জুলফিকার আলী প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তের দাবিতে

প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

আপলোড টাইম : ১১:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলসমূহকে লাভজনক ও যুগোপযোগী করতে চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে চিনি শিল্প কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ২৭ নম্বর আদেশবলে বাংলাদেশ চিনিকল করপোরেশন গঠিত হয়। পরে ১ জুলাই ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ চিনিকল করপোরেশন ও বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন গঠন করা হয়। এর অধীনে ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল পরিচালিত হতো। কিন্তু বিগত সরকার লোকসানের অযুহাতে ডিসেম্বর ২০২০ সালে ৬ চিনিকল বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে যে চিনিকলের মিল চালু আছে, তাতেও সরকারের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা যথার্থ নয়।

চিনিশিল্পে প্রায় ১৬ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার কর্মসংস্থান। আখ চাষের ওপর নির্ভর দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় পাঁচ লক্ষ চাষি এবং এর সাথে ৫০ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আখ একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল এবং চিনি ও গুড় তৈরির প্রধান কাঁচামাল। কৃষি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, সৃষ্টি, অবকাঠামো, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন পরিবেশ সুরক্ষা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, শিশু খাদ্য ও মেডিসিন তৈরিতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে আখের অবদান অনস্বীকার্য।আখ একমাত্র ফসল যা কৃষক সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষিভিত্তিক শিল্পে সরবরাহ করতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ কৃষিক্ষেত্রে ও আখ উৎপাদনে, চিনিশিল্পের কৃষি বিভাগ সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকে। উৎপাদন ফলন বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি স¤প্রসারণে আমরা কৃষিবিভাগ কৃষি ও কৃষকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

আরও বলা হয়, কৃষি বিভাগে অনেক কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ও বিজ্ঞান বিভাগ হতে জনবল সরাসরি কৃষকের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে আখ উৎপাদন ও আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মসুর, মুগ, মাসকালাই, মরিচ, সরিষা, ভুট্টাসহ আরো বিভিন্ন রকমের শাকসবজি উৎপাদনে জড়িত ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে থাকে। আমরা বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করি বিধায় চিনিকলগুলো এখনো টিকে আছে। বাংলাদেশ খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কৃষি বিভাগের ইক্ষু উন্নয়নের সহকারী সিডিএ আব্দুল্লাহ আল মাসুদের পক্ষে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন কেরুজ চিনিকলের কৃষি বিভাগের সিডিএ হারিজুল ইসলাম, এ.এস.এম.কবির, এইচ এম সাকী মাহমুদ, মাঈনউদ্দিন আহমেদ, একরামুল হক খলিল, সাইফুল্লাহ, মুকুল হোসেন, শহিদুল হক, সিআইসি জুলফিকার আলী প্রমুখ।