ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চুয়াডাঙ্গা থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে শরীফুজ্জামান শরীফ

গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে খুলনায় বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল

দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে খুলনায় বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছিল। খুলনা ও আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুপুরের মধ্যে তারা নগরীর শিববাড়ি পৌঁছে শরীফুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

এসময় শরীফুজ্জামান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্রের লড়াই শুধু বিএনপির নয়, এটি দেশের প্রতিটি মানুষের লড়াই। ১৬ বছর ধরে রক্ত ঝরিয়ে, নির্যাতন সহ্য করে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, কিন্তু আমরা থামিনি। আমাদের লড়াই চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এ জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। চুয়াডাঙ্গার নেতা-কর্মীরা সবসময় আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল এবং আজও আছে। আমরা এদেশকে সত্যিকারের গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনব।
বিকেলে খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড় জিয়া হল চত্বরে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছেন। তাকে ১৬ দিনের হিসাবে বিচার করলে চলবে না। সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু এখনো গণতন্ত্র ফেরত পায়নি। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজের হাতে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, আন্দোলন চলছে ১৬ বছর ধরে। ১৬ দিন হিসাব করলে চলবে না। ১৬ বছর রাজপথে রক্ত দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আপনারা আমাদের মামলা প্রত্যাহার করেননি। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে এখন মাসে ৩০ দিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল টকশোতে আমাদের গায়েবি মামলার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, আমরা তখন মুগ্ধ হতাম। কিন্তু এখনো সেই গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কু-ুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ অন্যান্য নেতারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে শরীফুজ্জামান শরীফ

গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে খুলনায় বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল

দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার

আপলোড টাইম : ১০:৪৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে খুলনায় বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছিল। খুলনা ও আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুপুরের মধ্যে তারা নগরীর শিববাড়ি পৌঁছে শরীফুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

এসময় শরীফুজ্জামান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্রের লড়াই শুধু বিএনপির নয়, এটি দেশের প্রতিটি মানুষের লড়াই। ১৬ বছর ধরে রক্ত ঝরিয়ে, নির্যাতন সহ্য করে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, কিন্তু আমরা থামিনি। আমাদের লড়াই চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এ জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। চুয়াডাঙ্গার নেতা-কর্মীরা সবসময় আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল এবং আজও আছে। আমরা এদেশকে সত্যিকারের গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনব।
বিকেলে খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড় জিয়া হল চত্বরে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছেন। তাকে ১৬ দিনের হিসাবে বিচার করলে চলবে না। সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু এখনো গণতন্ত্র ফেরত পায়নি। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজের হাতে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, আন্দোলন চলছে ১৬ বছর ধরে। ১৬ দিন হিসাব করলে চলবে না। ১৬ বছর রাজপথে রক্ত দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আপনারা আমাদের মামলা প্রত্যাহার করেননি। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে এখন মাসে ৩০ দিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল টকশোতে আমাদের গায়েবি মামলার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, আমরা তখন মুগ্ধ হতাম। কিন্তু এখনো সেই গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কু-ুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ অন্যান্য নেতারা।