ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাচীরঘেরা জমি দখলের চেষ্টা

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনের প্রাচীরঘেরা জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতের আঁধারে প্রাচীরের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ছোট একটি ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দখলকারীদের নামে আলমডাঙ্গা থানায় জিডি করেছেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জমিটি স্কুলের দখলে রয়েছে। একসময়ের পুকুর ভরাট করে সম্প্রতি চারপাশে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একটি মহলের যোগসাজসে জমি তাদের শরিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে একটি পক্ষ। হঠাৎ জমিটি দখল করার ঘটনা আলমডাঙ্গাবাসীর মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অতি মূল্যবান এই জমি কি স্কুলের বেহাত হয়ে যাবে?

স্থানীয়রা বলছেন, যেখানে স্কুলে শিক্ষকসহ প্রধান শিক্ষকও আছেন, এবং স্কুলের সভাপতি আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। সরকারি ও বেসরকারি এত অভিভাবক থাকা সত্ত্বেও জমি বেহাত হলে ‘ভাগের মা গঙ্গায় পায় না’ প্রবাদ বাক্যটি নতুন করে সত্য প্রমাণিত হবে।

দখলের বিষয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘জমিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমাদের। সাবেক প্রধান শিক্ষক লতাফত হোসেনের সময় স্কুলের নামে রেজিস্ট্রি হয়। এরপর জমির নাম খারিজ হয়ে স্কুলের নামে আসে। আমরা হালনাগাদ জমির খাজনা পরিশোধ করেছি। একটি চক্রান্তকারী পক্ষ জমি নিজের দাবি করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেছে। আমরা মামলার জবাব দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে আদালত আমাদের নোটিশ না করে একতরফা রায় দিয়েছে ওই ভূমিদস্যুদের নামে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সভাপতি বদলি হয়ে যাওয়ায় আমরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে জানালে তিনি সরেজমিন তদন্ত করেছেন। আমরা রোববার চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মামলার বিষয়ে জবাব দেব। চক্রান্তকারীরা হয়ত খোচাখুচি করবে, কিন্তু প্রকৃত জমির মালিক স্কুল। এবং এর সাথে আলমডাঙ্গাবাসী জড়িত। কোনোভাবেই আমাদের ৬০ বছরের দখলে থাকা জমি অন্য কেউ দাবি করে নিতে পারবে না।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিষ কুমার বসু বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান আমাকে অভিযোগ করেন যে বালিকা বিদ্যালয়ের দখলীয় ও নামজারি সম্পত্তি কুচক্রী মহল দখল করে নেবার চেষ্টা করছে। তারা প্রাচীরের তালা ভেঙে রাতের আঁধারে ছাপড়া নির্মাণ করেছে। আমি সরেজমিন তদন্ত করেছি। নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোগদান করবেন। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাচীরঘেরা জমি দখলের চেষ্টা

আপলোড টাইম : ০৫:৪৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনের প্রাচীরঘেরা জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতের আঁধারে প্রাচীরের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ছোট একটি ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দখলকারীদের নামে আলমডাঙ্গা থানায় জিডি করেছেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জমিটি স্কুলের দখলে রয়েছে। একসময়ের পুকুর ভরাট করে সম্প্রতি চারপাশে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একটি মহলের যোগসাজসে জমি তাদের শরিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে একটি পক্ষ। হঠাৎ জমিটি দখল করার ঘটনা আলমডাঙ্গাবাসীর মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অতি মূল্যবান এই জমি কি স্কুলের বেহাত হয়ে যাবে?

স্থানীয়রা বলছেন, যেখানে স্কুলে শিক্ষকসহ প্রধান শিক্ষকও আছেন, এবং স্কুলের সভাপতি আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। সরকারি ও বেসরকারি এত অভিভাবক থাকা সত্ত্বেও জমি বেহাত হলে ‘ভাগের মা গঙ্গায় পায় না’ প্রবাদ বাক্যটি নতুন করে সত্য প্রমাণিত হবে।

দখলের বিষয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘জমিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমাদের। সাবেক প্রধান শিক্ষক লতাফত হোসেনের সময় স্কুলের নামে রেজিস্ট্রি হয়। এরপর জমির নাম খারিজ হয়ে স্কুলের নামে আসে। আমরা হালনাগাদ জমির খাজনা পরিশোধ করেছি। একটি চক্রান্তকারী পক্ষ জমি নিজের দাবি করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেছে। আমরা মামলার জবাব দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে আদালত আমাদের নোটিশ না করে একতরফা রায় দিয়েছে ওই ভূমিদস্যুদের নামে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সভাপতি বদলি হয়ে যাওয়ায় আমরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে জানালে তিনি সরেজমিন তদন্ত করেছেন। আমরা রোববার চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মামলার বিষয়ে জবাব দেব। চক্রান্তকারীরা হয়ত খোচাখুচি করবে, কিন্তু প্রকৃত জমির মালিক স্কুল। এবং এর সাথে আলমডাঙ্গাবাসী জড়িত। কোনোভাবেই আমাদের ৬০ বছরের দখলে থাকা জমি অন্য কেউ দাবি করে নিতে পারবে না।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিষ কুমার বসু বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান আমাকে অভিযোগ করেন যে বালিকা বিদ্যালয়ের দখলীয় ও নামজারি সম্পত্তি কুচক্রী মহল দখল করে নেবার চেষ্টা করছে। তারা প্রাচীরের তালা ভেঙে রাতের আঁধারে ছাপড়া নির্মাণ করেছে। আমি সরেজমিন তদন্ত করেছি। নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোগদান করবেন। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।