ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় ব্যায়ামাগারের জমি উদ্ধারে মানববন্ধন

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগারের জমি ও ঘর উদ্ধার কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে ব্যায়ামাগারের জমি ও ঘর ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ব্যায়ামাগারের জমি উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন। যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মাবুবুল করিম চঞ্চলের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন ব্যায়ামাগারের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আজাদ, সিনিয়র সদস্য হারদী এম এস জোহা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী খান, শেখ আব্দুল জব্বার, হামিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংবাদিক আতিয়ার রহমান মুকুল, জিল্লুর রহমান ওল্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক, সদস্য মহিউদ্দিন, ইলিয়াস হোসেন, পিন্টু রহমান, সাইদ হিরন, সাবেক সদস্য রেজাউল হক, ফজলুল হক, সুলতা আরেফিন তাইফু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, হাসিবুল ইসলাম, লিয়ন, সুমন, মাগরিবুর রহমান, মীর উজ্জল, সোহাগ, লিংকন, খন্দকার সালাউদ্দিন মুক্তার, খন্দকার রাকিবুল ইসলাম রিয়েল, সাদ্দাম ইসলাম, আনিসুজ্জামান, খন্দকার রাজিবুল ইসলাম রাজিব, ডন প্রমুখ।
বক্তারা ভূমিদস্যু হিরোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাসহ সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়া এই জমি দাবি করে যে বিক্রি করেছে সেই কৃষ্ণ বাবুকে ও রঞ্জিত উকিলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান। অনতিবিলম্বে প্রশাসনের সাথে বসে ৪৫ বছর ধরে দখলীয় ও রেজিস্টিকৃত ব্যায়ামাগারের জমি হিরোর কাছ থেকে দখল নিতে কমিটির অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য ১৯৮০ সালে হাজী আজাদ, ইসলাম খানসহ কয়েকজন মিলে প্রথমে ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮২ সালে শহিদ মিনারের পাশের এই জমি রেজিস্টি করে ঘর নির্মাণ কল্পে ওয়াপদা থেকে অনুমতি নিয়ে ওয়াপদার ভাটা থেকে ইট এনে রাখা হয়। তৎকালীন এমপি মিঞা মোহা. মুনসুর আলী ২ টন গম বরাদ্দ দেন। সেই টাকা দিয়ে গর্ত ভর্তি করা হয়। ১৯৮৫ সালে উপজেলা হওয়ার পর প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান ও টিএনও ব্যায়ামাগারের নামে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। সেই টাকা দিয়ে ব্যায়ামাগারের বিল্ডিং তৈরি হয়েছিল। পরে কিছু ইস্ট্রুমেন্ট কেনা হয়েছিল। দীর্ঘ ৪৫ বছর ব্যায়ামাগারের অনেক সুনাম হয়েছে। জাতীয় পর্যায় থেকে পুরস্কার নিয়ে এসেছে ছেলেরা। সেই ব্যায়ামাগারটি ভূমিদস্যু হিরো কয়েকজনের মাধ্যমে প্রশাসনিকভাবে দখল করে নেয়। এখন আলমডাঙ্গাবাসীর দাবি ব্যায়ামাগারটি পুনরুদ্ধার করা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় ব্যায়ামাগারের জমি উদ্ধারে মানববন্ধন

আপলোড টাইম : ০৮:২৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগারের জমি ও ঘর উদ্ধার কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে ব্যায়ামাগারের জমি ও ঘর ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ব্যায়ামাগারের জমি উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন। যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মাবুবুল করিম চঞ্চলের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন ব্যায়ামাগারের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আজাদ, সিনিয়র সদস্য হারদী এম এস জোহা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী খান, শেখ আব্দুল জব্বার, হামিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংবাদিক আতিয়ার রহমান মুকুল, জিল্লুর রহমান ওল্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক, সদস্য মহিউদ্দিন, ইলিয়াস হোসেন, পিন্টু রহমান, সাইদ হিরন, সাবেক সদস্য রেজাউল হক, ফজলুল হক, সুলতা আরেফিন তাইফু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, হাসিবুল ইসলাম, লিয়ন, সুমন, মাগরিবুর রহমান, মীর উজ্জল, সোহাগ, লিংকন, খন্দকার সালাউদ্দিন মুক্তার, খন্দকার রাকিবুল ইসলাম রিয়েল, সাদ্দাম ইসলাম, আনিসুজ্জামান, খন্দকার রাজিবুল ইসলাম রাজিব, ডন প্রমুখ।
বক্তারা ভূমিদস্যু হিরোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাসহ সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়া এই জমি দাবি করে যে বিক্রি করেছে সেই কৃষ্ণ বাবুকে ও রঞ্জিত উকিলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান। অনতিবিলম্বে প্রশাসনের সাথে বসে ৪৫ বছর ধরে দখলীয় ও রেজিস্টিকৃত ব্যায়ামাগারের জমি হিরোর কাছ থেকে দখল নিতে কমিটির অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য ১৯৮০ সালে হাজী আজাদ, ইসলাম খানসহ কয়েকজন মিলে প্রথমে ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮২ সালে শহিদ মিনারের পাশের এই জমি রেজিস্টি করে ঘর নির্মাণ কল্পে ওয়াপদা থেকে অনুমতি নিয়ে ওয়াপদার ভাটা থেকে ইট এনে রাখা হয়। তৎকালীন এমপি মিঞা মোহা. মুনসুর আলী ২ টন গম বরাদ্দ দেন। সেই টাকা দিয়ে গর্ত ভর্তি করা হয়। ১৯৮৫ সালে উপজেলা হওয়ার পর প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান ও টিএনও ব্যায়ামাগারের নামে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। সেই টাকা দিয়ে ব্যায়ামাগারের বিল্ডিং তৈরি হয়েছিল। পরে কিছু ইস্ট্রুমেন্ট কেনা হয়েছিল। দীর্ঘ ৪৫ বছর ব্যায়ামাগারের অনেক সুনাম হয়েছে। জাতীয় পর্যায় থেকে পুরস্কার নিয়ে এসেছে ছেলেরা। সেই ব্যায়ামাগারটি ভূমিদস্যু হিরো কয়েকজনের মাধ্যমে প্রশাসনিকভাবে দখল করে নেয়। এখন আলমডাঙ্গাবাসীর দাবি ব্যায়ামাগারটি পুনরুদ্ধার করা।