ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাকে নির্যাতন করে আলোচনায় মামলাবাজ শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস আরা

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

মাকে নির্যাতন করে আলোচনায় উঠে আসা শৈলকুপার সাবেক সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস আরা এবার বোন ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানির নজির সৃষ্টি করেছেন। মেয়ের এমন অত্যাচারে ইতঃপূর্বে মা সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন। প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মেয়ের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু থানা জিডি গ্রহণ করেনি।

শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস আরার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফাজিলপুরে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন শৈলকুপায়। তবে একই পদে সদ্য যোগদান করেছেন খুলনা সদরে। অভিযোগ উঠেছে, ফেরদৌস আরার পিতা মৃত আবু বকর সিদ্দিকীর রেখে যাওয়া সম্পদ পরিবারের সবার নামে থাকলেও সেই সম্পদ একা ভোগ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ফেরদৌস আরা। পিতার রেখে যাওয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে তা ভাড়া দিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চালাতেন মা আঞ্জুমান আরা খানম। তবে সেই বাড়ি নিজের দখলে নিতে ফেরদৌস আরা ও তার স্বামী এসে ঘরের ভাড়াটিয়াদের বের করে তালা লাগিয়ে দেন।

এছাড়া পিতার বসতবাড়ি তার নামে লিখে দিতে অত্যাচার-নির্যাতন করেন ফেরদৌস আরা। না পেরে ২০২৩ সালে আদালতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন ছোট বোন শৈলকুপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাফরিন আরা ও তার স্বামী শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আফরোজ আল মামুনের নামে। একই বছরের ১৬ নভেম্বর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক জিডি, ২২ তারিখে দেওয়ানী মামলা, ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল ১০৭/১১৭(৩) ধারায় ফৌজদারি মামলা, চলতি বছরের ১০ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ ও ১০ জুলাই সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেন ফেরদৌস আরা।

এদিকে ফেরদৌস আরার একর পর এক দায়ের করা মামলা তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমান ঘটনাস্থলে না গিয়েই ইচ্ছেমতো তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করেন। এতে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। পুলিশি তদন্তে এক সম্পদ লোভী নারীর উচ্চাভিলাষী চক্রান্ত ধামাচাপা পড়ে যায়।

শৈলকুপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাফরিন আরা বলেন, মায়ের পক্ষ নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে ফেরদৌস আরা আমাদের হয়রানি করছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাচ্ছি, কিন্তু পাচ্ছি না। শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত ফেরদৌস আরা মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মাকে নির্যাতন করে আলোচনায় মামলাবাজ শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস আরা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাকে নির্যাতন করে আলোচনায় উঠে আসা শৈলকুপার সাবেক সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস আরা এবার বোন ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানির নজির সৃষ্টি করেছেন। মেয়ের এমন অত্যাচারে ইতঃপূর্বে মা সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন। প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মেয়ের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু থানা জিডি গ্রহণ করেনি।

শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস আরার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফাজিলপুরে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন শৈলকুপায়। তবে একই পদে সদ্য যোগদান করেছেন খুলনা সদরে। অভিযোগ উঠেছে, ফেরদৌস আরার পিতা মৃত আবু বকর সিদ্দিকীর রেখে যাওয়া সম্পদ পরিবারের সবার নামে থাকলেও সেই সম্পদ একা ভোগ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ফেরদৌস আরা। পিতার রেখে যাওয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে তা ভাড়া দিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চালাতেন মা আঞ্জুমান আরা খানম। তবে সেই বাড়ি নিজের দখলে নিতে ফেরদৌস আরা ও তার স্বামী এসে ঘরের ভাড়াটিয়াদের বের করে তালা লাগিয়ে দেন।

এছাড়া পিতার বসতবাড়ি তার নামে লিখে দিতে অত্যাচার-নির্যাতন করেন ফেরদৌস আরা। না পেরে ২০২৩ সালে আদালতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন ছোট বোন শৈলকুপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাফরিন আরা ও তার স্বামী শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আফরোজ আল মামুনের নামে। একই বছরের ১৬ নভেম্বর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক জিডি, ২২ তারিখে দেওয়ানী মামলা, ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল ১০৭/১১৭(৩) ধারায় ফৌজদারি মামলা, চলতি বছরের ১০ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ ও ১০ জুলাই সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেন ফেরদৌস আরা।

এদিকে ফেরদৌস আরার একর পর এক দায়ের করা মামলা তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমান ঘটনাস্থলে না গিয়েই ইচ্ছেমতো তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করেন। এতে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। পুলিশি তদন্তে এক সম্পদ লোভী নারীর উচ্চাভিলাষী চক্রান্ত ধামাচাপা পড়ে যায়।

শৈলকুপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাফরিন আরা বলেন, মায়ের পক্ষ নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে ফেরদৌস আরা আমাদের হয়রানি করছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাচ্ছি, কিন্তু পাচ্ছি না। শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত ফেরদৌস আরা মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।