ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ দামুড়হুদার ৪ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত দামুড়হুদা উপজেলার ৪ জনকে আর্থিক সহায়তা করছেন আর্থ মুভিং সলিউশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুল হক। গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার এসএসসি ৯২ ব্যাচের ছাত্রদের মাধ্যমে গুলিতে আহতদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা করেন তিনি।

আহতরা হলেন- উপজেলার পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মোফাইল হোসেন, চন্ডিপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আল মেরাজ, দেউলি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু জাফর ও দামুড়হুদা দশমী পাড়ার মওলানা নরুউদ্দীনের ছেলে দলিল উদ্দীন।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের দিনমজুর হাফিজুর রহমানের ছেলে মোফাইল ঢাকার প্রদীপ ফ্যান কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ি একটি মিছিল বের হয়। সে সময় পুলিশের ছোড়া গুলি তার ডান পায়ে লাগে। পরে তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে সালমান হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চন্ডিপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আল মেরাজ আইইউবিটিতে পড়াশোনা করতেন। গত ১৯ জুলাই ফকিরাপুল ও আরামবাগের মাঝামাঝি একটি মিছিল বের হয়। এসময় পুলিশের ছোড়া ছররা গুলি দুই চোখে এসে লাগে। এতে রক্তাক্ত জখম হলে বন্ধুদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন আল মেরাজ দুই চোখে কিছুই দেখতে পান না। কর্তব্যরত চিকিৎসক আল মেরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দামুড়হুদা সদরে দেউলি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু জাফর নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল বিভাগে পড়াশোনা করেন। গত ১৮ জুলাই উত্তর বাড্ডা এলাকায় মিছিল বের হলে পুলিশের গুলি এসে তার গলায় লেগে মুখ দিয়ে বের হয়। পরে তার বন্ধুদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। দামুড়হুদা দশমী পাড়ার মাওলানা নরুউদ্দীনের ছেলে দলিল উদ্দীন তিতুমির কলেজ থেকে অর্নাস-মাস্টার্স শেষ করেছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এয়ারপোর্ট এলাকায় দলিল উদ্দীন পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এই চারজনকে দেখতে যান ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন দামুড়হুদা উপজেলার এসএসসি ৯২ ব্যাচের ছাত্ররা। এসময় আর্থ মুভিং সলিউশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুল হকের দেওয়া অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ নাসির উদ্দিন আশাদুর রহমান বাদশা, আব্দুল খালেক, ইকরামুল হক, আব্দুল হালিম ভুট্টু, রাজা, মাহফুজুর রহমান বেল্টু, মোমিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ দামুড়হুদার ৪ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

আপলোড টাইম : ০৫:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত দামুড়হুদা উপজেলার ৪ জনকে আর্থিক সহায়তা করছেন আর্থ মুভিং সলিউশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুল হক। গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার এসএসসি ৯২ ব্যাচের ছাত্রদের মাধ্যমে গুলিতে আহতদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা করেন তিনি।

আহতরা হলেন- উপজেলার পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মোফাইল হোসেন, চন্ডিপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আল মেরাজ, দেউলি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু জাফর ও দামুড়হুদা দশমী পাড়ার মওলানা নরুউদ্দীনের ছেলে দলিল উদ্দীন।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের দিনমজুর হাফিজুর রহমানের ছেলে মোফাইল ঢাকার প্রদীপ ফ্যান কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ি একটি মিছিল বের হয়। সে সময় পুলিশের ছোড়া গুলি তার ডান পায়ে লাগে। পরে তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে সালমান হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চন্ডিপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আল মেরাজ আইইউবিটিতে পড়াশোনা করতেন। গত ১৯ জুলাই ফকিরাপুল ও আরামবাগের মাঝামাঝি একটি মিছিল বের হয়। এসময় পুলিশের ছোড়া ছররা গুলি দুই চোখে এসে লাগে। এতে রক্তাক্ত জখম হলে বন্ধুদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন আল মেরাজ দুই চোখে কিছুই দেখতে পান না। কর্তব্যরত চিকিৎসক আল মেরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দামুড়হুদা সদরে দেউলি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু জাফর নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল বিভাগে পড়াশোনা করেন। গত ১৮ জুলাই উত্তর বাড্ডা এলাকায় মিছিল বের হলে পুলিশের গুলি এসে তার গলায় লেগে মুখ দিয়ে বের হয়। পরে তার বন্ধুদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। দামুড়হুদা দশমী পাড়ার মাওলানা নরুউদ্দীনের ছেলে দলিল উদ্দীন তিতুমির কলেজ থেকে অর্নাস-মাস্টার্স শেষ করেছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এয়ারপোর্ট এলাকায় দলিল উদ্দীন পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এই চারজনকে দেখতে যান ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন দামুড়হুদা উপজেলার এসএসসি ৯২ ব্যাচের ছাত্ররা। এসময় আর্থ মুভিং সলিউশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুল হকের দেওয়া অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ নাসির উদ্দিন আশাদুর রহমান বাদশা, আব্দুল খালেক, ইকরামুল হক, আব্দুল হালিম ভুট্টু, রাজা, মাহফুজুর রহমান বেল্টু, মোমিন।