ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

প্রতিবেদক, মেহেরপুর সদর:
  • আপলোড টাইম : ১২:০১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবকে ঘিরে মেহেরপুরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। সরেজমিন মেহেরপুর শহরের বড় বাজারে অবস্থিত শতবর্ষী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা যায়, কারিগরদের দম ফেলার যেন সময় নেই। সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছিলেন মৃৎশিল্পী সজল কুমার পাল, সজীব কুমার পাল ও বনমালী কুমার পাল। তারা এসেছেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর এলাকা থেকে।

জানা যায়, একটি মণ্ডপের প্রতিমা তৈরিতে এই মৃৎশিল্পীদের তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। আর বড় মণ্ডপের হলে সেক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির প্রাঙ্গণের প্রতিমাটির প্রাথমিক কাজ এরই মধ্যে শেষের দিকে। অন্য আরেকটি প্রতিমা তৈরি করে ১৫ দিন পর ফের মেহেরপুরে আসবেন তৈরিকৃত প্রতিমাগুলোতে রংতুলির আঁচড় দিতে। প্রতিবছরই তারা অধীর আগ্রহে দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজের অপেক্ষায় থাকেন। শুধু জীবিকার জন্যই নয় এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি, ভক্তি আর ভালোবাসা।

প্রতিমার তৈরির কারিগর সজল কুমার পাল বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে এই মন্দিরে প্রতিমার তৈরির কাজে নিয়োজিত আছি। প্রতিবছর আমরা ১০ থেকে ১২টি প্রতিমা তৈরি করি। এসব তৈরি করে পারিশ্রমিক হিসেবে যে অর্থ উপার্জন করি এটা মোটামুটি। তবে টাকার চেয়ে ধর্মীয় অনুভূতি ও ভক্তি আমাদের মধ্যে বেশি কাজ করে।’

অপর কারিগর সজীব কুমার পাল বলেন, ‘এখানে আমি এবারই প্রথম কাজ করছি। প্রতিমাটির কাজ সমাপ্ত হলে আমরা আরও তিন-চারটি প্রতিমার কাজ করব।’ মৃৎশিল্পী বনমালী কুমার পাল বলেন, ‘মেহেরপুর জেলায় আমরা দুটি কাজ করেছি, একটি হালদার পাড়ায় ও অন্যটি বড় বাজারে। এ বছর আমি আমার দল নিয়ে এ পর্যন্ত নয়টা প্রতিমা তৈরি করেছি। বাকি সময়ে আরও চার-পাঁচটা প্রতিমা তৈরি করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিমা তৈরির ১০ থেকে ১৫ দিন পর আমরা সেগুলোতে রং করি।’

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তাদের ধর্মমতে কিছুদিন পরই দেবী দুর্গা আসবেন মর্তলোকে। তার এই আগমনকে ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সারা দেশের প্রতিমা তৈরির কারিগর মৃৎশিল্পীরা। এই উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়া শুরু হয় মহাষষ্ঠী থেকে। আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হয়ে যা শেষে হবে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

আপলোড টাইম : ১২:০১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবকে ঘিরে মেহেরপুরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। সরেজমিন মেহেরপুর শহরের বড় বাজারে অবস্থিত শতবর্ষী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা যায়, কারিগরদের দম ফেলার যেন সময় নেই। সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছিলেন মৃৎশিল্পী সজল কুমার পাল, সজীব কুমার পাল ও বনমালী কুমার পাল। তারা এসেছেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর এলাকা থেকে।

জানা যায়, একটি মণ্ডপের প্রতিমা তৈরিতে এই মৃৎশিল্পীদের তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। আর বড় মণ্ডপের হলে সেক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির প্রাঙ্গণের প্রতিমাটির প্রাথমিক কাজ এরই মধ্যে শেষের দিকে। অন্য আরেকটি প্রতিমা তৈরি করে ১৫ দিন পর ফের মেহেরপুরে আসবেন তৈরিকৃত প্রতিমাগুলোতে রংতুলির আঁচড় দিতে। প্রতিবছরই তারা অধীর আগ্রহে দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজের অপেক্ষায় থাকেন। শুধু জীবিকার জন্যই নয় এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি, ভক্তি আর ভালোবাসা।

প্রতিমার তৈরির কারিগর সজল কুমার পাল বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে এই মন্দিরে প্রতিমার তৈরির কাজে নিয়োজিত আছি। প্রতিবছর আমরা ১০ থেকে ১২টি প্রতিমা তৈরি করি। এসব তৈরি করে পারিশ্রমিক হিসেবে যে অর্থ উপার্জন করি এটা মোটামুটি। তবে টাকার চেয়ে ধর্মীয় অনুভূতি ও ভক্তি আমাদের মধ্যে বেশি কাজ করে।’

অপর কারিগর সজীব কুমার পাল বলেন, ‘এখানে আমি এবারই প্রথম কাজ করছি। প্রতিমাটির কাজ সমাপ্ত হলে আমরা আরও তিন-চারটি প্রতিমার কাজ করব।’ মৃৎশিল্পী বনমালী কুমার পাল বলেন, ‘মেহেরপুর জেলায় আমরা দুটি কাজ করেছি, একটি হালদার পাড়ায় ও অন্যটি বড় বাজারে। এ বছর আমি আমার দল নিয়ে এ পর্যন্ত নয়টা প্রতিমা তৈরি করেছি। বাকি সময়ে আরও চার-পাঁচটা প্রতিমা তৈরি করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিমা তৈরির ১০ থেকে ১৫ দিন পর আমরা সেগুলোতে রং করি।’

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তাদের ধর্মমতে কিছুদিন পরই দেবী দুর্গা আসবেন মর্তলোকে। তার এই আগমনকে ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সারা দেশের প্রতিমা তৈরির কারিগর মৃৎশিল্পীরা। এই উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়া শুরু হয় মহাষষ্ঠী থেকে। আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হয়ে যা শেষে হবে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে।