ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পাওনা টাকার দাবিতে পাল্টা মামলা

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১১:২১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি ও দর্শনা কেরুজ চিনিকল কমান্ডের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে নেওয়া ২২ লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে নাজিম উদ্দিন দর্শনায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দর্শনা থানায় অভিযোগ শেষে সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন নাজিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে নাজিম বলেন, দর্শনা পৌর এলাকার ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দর্শনা কেরু চিনিকলে সেটাপে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা নেয় রুস্তম আলী। তবে কাউকে সেটাপের অধীনে চাকরি দেয়নি। এছাড়া মোবারক পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে বিপ্লবের কাছ থেকে ৩৫ হাজার, মদনা গ্রামের জান মোহাম্মদ এর ছেলে জাহাঙ্গীর আলীর কাছ থেকে ৯৫ হাজার ও দর্শনা রেল কলনীর মৃত মীর্জা শাবুদ্দিনের ছেলে আব্দুস ছালামের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এমনকি রাশেদুল ইসলামের নাতি ছেলের খাস জমি নামে করে দেওয়ার কথা বলে ৮ লাখ টাকা নিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু তিনি কাউকে চাকরি দিতে পারেননি তাই গত পরশু বিকেলে আমিসহ ৭/৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তার বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখি রুস্তম আলী বাড়িতে তালা দেওয়া। এরপর আমরা চলে আসি। তিনি এরপর রাত ৯টার দিকে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক জয়েন্ট  সেক্রেটারি খবির উদ্দিন দর্শনার আল্লাহর দান হোটেলে বসে মোবাইল ফোনে আমাকে ডেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বলেন, প্রতি শুক্রবার এসে তুমি ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেও। আমি রাজি হয়নি। আমি বলেছি ৩৬ জনের টাকাই আমাদের দিতে হবে। এরপর চলে আসি। তারপর রাত ১০টার দিকে আমাদের বিরুদ্ধে রুস্তম আলীর ছেলে রনি বাবার পক্ষে স্বাক্ষর করে চাঁদাবাজির মামলা দেয়। আমরা আজ আমাদের পাওনা টাকার দাবিতে দর্শনা থানায় মামলা করি।

এ বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী বলেন, টাকা নিয়ে মন্ত্রীকে দিয়েছি। বিষয়টি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানসহ ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও বাবুও জানে। কোন মন্ত্রীকে টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিন বলেন, আমার গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। একপর্যায় শিল্প মন্ত্রীকে টাকা দিয়েছেন  বলে জানান। এছাড়া তিনি বলেন, আমি তো সকলকে চাকরি দিয়েছি। কি চাকরি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডে লেবার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পাওনা টাকার দাবিতে পাল্টা মামলা

আপলোড টাইম : ১১:২১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি ও দর্শনা কেরুজ চিনিকল কমান্ডের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে নেওয়া ২২ লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে নাজিম উদ্দিন দর্শনায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দর্শনা থানায় অভিযোগ শেষে সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন নাজিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে নাজিম বলেন, দর্শনা পৌর এলাকার ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দর্শনা কেরু চিনিকলে সেটাপে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা নেয় রুস্তম আলী। তবে কাউকে সেটাপের অধীনে চাকরি দেয়নি। এছাড়া মোবারক পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে বিপ্লবের কাছ থেকে ৩৫ হাজার, মদনা গ্রামের জান মোহাম্মদ এর ছেলে জাহাঙ্গীর আলীর কাছ থেকে ৯৫ হাজার ও দর্শনা রেল কলনীর মৃত মীর্জা শাবুদ্দিনের ছেলে আব্দুস ছালামের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এমনকি রাশেদুল ইসলামের নাতি ছেলের খাস জমি নামে করে দেওয়ার কথা বলে ৮ লাখ টাকা নিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু তিনি কাউকে চাকরি দিতে পারেননি তাই গত পরশু বিকেলে আমিসহ ৭/৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তার বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখি রুস্তম আলী বাড়িতে তালা দেওয়া। এরপর আমরা চলে আসি। তিনি এরপর রাত ৯টার দিকে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক জয়েন্ট  সেক্রেটারি খবির উদ্দিন দর্শনার আল্লাহর দান হোটেলে বসে মোবাইল ফোনে আমাকে ডেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বলেন, প্রতি শুক্রবার এসে তুমি ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেও। আমি রাজি হয়নি। আমি বলেছি ৩৬ জনের টাকাই আমাদের দিতে হবে। এরপর চলে আসি। তারপর রাত ১০টার দিকে আমাদের বিরুদ্ধে রুস্তম আলীর ছেলে রনি বাবার পক্ষে স্বাক্ষর করে চাঁদাবাজির মামলা দেয়। আমরা আজ আমাদের পাওনা টাকার দাবিতে দর্শনা থানায় মামলা করি।

এ বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী বলেন, টাকা নিয়ে মন্ত্রীকে দিয়েছি। বিষয়টি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানসহ ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও বাবুও জানে। কোন মন্ত্রীকে টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিন বলেন, আমার গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। একপর্যায় শিল্প মন্ত্রীকে টাকা দিয়েছেন  বলে জানান। এছাড়া তিনি বলেন, আমি তো সকলকে চাকরি দিয়েছি। কি চাকরি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডে লেবার।