ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার শহরের বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এর আয়োজন করা হয়। সমাবেশে গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং সংখ্যানুপাতিক (চজ) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। ইসলামী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জনগণ জেগে উঠেছে। ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে দেশকে স্বৈরাচারের পথে পরিচালিত করছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে ভারতের পানি আগ্রাসন প্রতিহত হয়েছে। জনগণের এমন ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ভারত হতাশ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা তাদের এক দিনের আয় প্রদান করেছে। জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ বন্যার্তদের সাহায্যের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি এই জনতাকে সাধুবাদ জানাই। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো জনতার ঐক্যবদ্ধ হওয়াতে ভারতকে আরও হতাশায় নিমজ্জিত হতে দেখা যাচ্ছে। আমারা একে অপরের পাশে দাঁড়ালে সকল অপশক্তি আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’
ইসলামী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক আশিকুল আলম সজিব ও যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মীর শফিউল ইসলামের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজিব, সহসভাপতি মাওলানা জহুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুহাম্মদ তুষার ইসরান সরকার, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ ও আইম্মা পরিষদের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাজেদুর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সহসভাপতি ফাহিম ফয়সাল, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আকরাম হোসাইন সাইরাফি ও জীবননগর উপজেলা শাখা সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার সরকারের সময়ে লুটপাট ও দুর্নীতির ঘটনা ছিল ব্যাপক। বর্তমানেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ৭১ পরবর্তী দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন, এখনো সঠিক নেতৃত্বের অভাবে দেশ দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে পারেনি। পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৯ দফা বাস্তবায়নে তাদের সমর্থন রয়েছে। বক্তারা সদ্য সাবেক সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী-এমপিদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা এবং আগামী নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের দাবি জানান।