ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছ চুরি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় দুটি পৃথক মামলায় অনিক জোয়ার্দ্দার ও বিশ্বজিৎ সাহাসহ আসামি ১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় পুকুর থেকে মাছ চুরি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহায়মেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সাহা বিশুসহ ১৮ জনের নামে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। এছাড়াও ওই মামলা দুটিতে ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে দুটির মধ্যে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এবং অপর মামলাটি রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের নবীছদ্দিন মন্ডলের ছেলে আফজাল হোসেন এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হক পাড়ার ঝণ্টু খানের ছলে ইমরান খান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনে আফজাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অংশ নেন। ওই সময় বিশ্বজিৎ সাহা বিশু ও আরশাদ আলী চন্দনসহ আরও ৪-৫ জন আফজালের দোকানে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে আফজালকে তুলে নিয়ে গিয়ে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। ওই ঘটনায় গতকাল আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ আরও জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ার ইমরান খান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, বেলগাছি রেলগেইট এলাকার একটি পুকুর লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করতেন। ঘটনার দিন গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে মোহায়মেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, মো. জানিফ, আকাশসহ আরও ২৫-৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসহ ককটেল নিয়ে তার পুকুরে প্রবশ করে। এসময় আসামিরা পুকুরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয় পানি তোলার পাম্প মেশিন বসিয়ে ওই পুকুরের সকল পানি ছেকে ফেলে পুকুরের সকল মাছ ধরে নিয়ে যান। তাতে তার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মাছ নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
দুটি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, তার দুটি মামলার কপি পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অপর একটি মামলা রেকর্ডেও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মাছ চুরি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় দুটি পৃথক মামলায় অনিক জোয়ার্দ্দার ও বিশ্বজিৎ সাহাসহ আসামি ১৮

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় পুকুর থেকে মাছ চুরি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহায়মেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সাহা বিশুসহ ১৮ জনের নামে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। এছাড়াও ওই মামলা দুটিতে ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে দুটির মধ্যে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এবং অপর মামলাটি রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের নবীছদ্দিন মন্ডলের ছেলে আফজাল হোসেন এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হক পাড়ার ঝণ্টু খানের ছলে ইমরান খান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনে আফজাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অংশ নেন। ওই সময় বিশ্বজিৎ সাহা বিশু ও আরশাদ আলী চন্দনসহ আরও ৪-৫ জন আফজালের দোকানে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে আফজালকে তুলে নিয়ে গিয়ে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। ওই ঘটনায় গতকাল আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ আরও জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ার ইমরান খান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, বেলগাছি রেলগেইট এলাকার একটি পুকুর লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করতেন। ঘটনার দিন গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে মোহায়মেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, মো. জানিফ, আকাশসহ আরও ২৫-৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসহ ককটেল নিয়ে তার পুকুরে প্রবশ করে। এসময় আসামিরা পুকুরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয় পানি তোলার পাম্প মেশিন বসিয়ে ওই পুকুরের সকল পানি ছেকে ফেলে পুকুরের সকল মাছ ধরে নিয়ে যান। তাতে তার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মাছ নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
দুটি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, তার দুটি মামলার কপি পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অপর একটি মামলা রেকর্ডেও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।