ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবুসহ আ.লীগের ৬৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু ও কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সিবিএ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদের ছেলে সৌমিক হাসান রুপমসহ আওয়ামী লীগের ৬৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দর্শনা পরানপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার জহির উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে রবিউল ইসলামের বাড়িতে আলি মুনছুর বাবুর নির্দেশে তার ভাই ফারুক হোসেন ও মো. মুন হামলা করেন। এসময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলি এবং কয়েকটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ব্যবহার করা দুই ভরির স্বর্ণের চেন ও হাতের বালা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তার স্ত্রীকে মারধর করেন। আর তিনি জীবন রক্ষার্থে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের তাকে ধাওয়া করেন। তিনি কিছু দূর পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় পড়ে যায়। পরে তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য আলি মুনছুর বাবুর বাসভবনে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং অমানসিকভাবে রাতভর নির্যাতন করতে থাকেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্যাতনের কারণে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তার জ্ঞান ফিরলে ডান পা ভেঙে গেছে দেখেন। পরে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করতে গেলে আসামিরা পা ভাঙা অবস্থায় পরের দিন তাকে দর্শনা থানা-পুলিশে দেয় এবং পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে সোপর্দ করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হয়রানি, নির্যাতন, জীবননাশের হুমকি ও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার কারণে তিনি এতদিন মামলা করতে সাহস পায়নি।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- দর্শনা পুরাতন বাজারের আব্দুল ওহাব ওস্তগারের ছেলে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপির ভাই দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, তার আরেক ভাই ফারুক হোসেন, ভাগ্নে মো. মুন (৪০), শ্যামপুর গ্রামের তনু মল্লিকের ছেলে দামুড়হুদার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট (৫৬), ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের বেদের আলীর ছেলে মিঠু (৫৫), আজিমপুরের নান্নু মিয়ার ছেলে মো. রাসেল (৩৫), একই গ্রামের হারুনের ছেলে অপু (৩৫), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পুটে মল্লিকের ছেলে জয়নাল আবেদীন নফর (৪৭), তহির জোয়ার্দ্দারের ছেলে কেরু শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদুর রহমান (৬০), কেরুর শ্রমিক মোটা সাইদ (৪৫), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মিল্লাত হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), কেরুজ পন্নাগারের এজেন্ট মো. দাউদ (৩৫),
ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের ইয়াহিয়ার ছেলে ডালিম (৪০), একই গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে খায়রুল (৪০), আমিরের ছেলে মো. রাশেদ (৪০), ইসলাম বাজারের লুৎফর রহমানের ছেলে লাল্টু (৪২), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের শ্রমিক নেতা মাসুদুর রহমানের ছেলে সৌমিক হাসান রুপম (৩৭), ইসলাম বাজারের দুলালের ছেলে মো. জুয়েল (৩৮), চটকাতলার কালু কসাইয়ের ছেলে মো. শরীফ (৫০), আজিমপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল (৫৫), মোবারক পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে মো. রানা (৩০), একই গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে মো. আক্তার (৩০), ইমারতের ছেলে মো. আশিক (২৮), মারুফ বিল্লাল জিসান (২৫), রামনগর গ্রামের জমিরের ছেলে ইকবাল হোসেন (৫০), একই গ্রামের ডাবির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মো. নোমান (৪২), ফেদের আলীর ছেলে মো. রেজাউল (৩২), মোবারক পাড়ার মো. পিয়াস (২০), রামনগর গ্রামের মনু সরদারের ছেলে পিকু (২০), মোবারক পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে যুবলীগ নেতা মো. আব্দুল মান্নান (৫০), একই গ্রামের মৃত করিমের ছেলে যুবলীগ নেতা মো. শেখ আসলাম তোতা (৫০),
পরানপুর গ্রামের ইজার ছেলে মো. সানি (২৮), পুরাতন বাজার শামিল পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. জাকারিয়া আলম (৫৫), রামনগর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মো. ছলেমান (৫৫), একই গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মো. শাহ আলী (৩০), দর্শনা বাসস্ট্যান্ড সিঅ্যান্ডবিপাড়া আবু তাহেরের ছেলে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম (৫৫), একই গ্রামের বদরুদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৫৫), একই পাড়ার টিপু ডাক্তারের ছেলে মো. সাধন (৪৪), শ্যামপুর হিন্দুপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা মো. রুস্তম আলী (৬০), ইসলাম বাজার পাড়ার মৃত সুন্নত আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৫৫), বাসস্ট্যান্ড সিঅ্যান্ডবি পাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা মো. হায়দার আলী (৫৫), একই পাড়ার মান্দার ডাক্তারের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৫০), আমতলা পাড়ার মো. হিরন (৫০), আজিমপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. আব্দুল জলিল (৪০),
কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ আলী (৪০), মেমনগর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মো. ফয়সাল (৪৫), একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ফলেহার (৩৫), কেরু হাসপাতাল পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুমন (৩০), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের সবিলুদ্দিনের ছেলে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তপু (৩৫), কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কলেজ পাড়ার পারভেজ (৩৫), কেরু স্কুলপাড়ার শাহ আলম ড্রাইভার (৬০), হঠাৎ পাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫), বড় দুধপাতিলা দক্ষিণ পাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে সুমন (৩০), কেরু প্রাইমারি স্কুলপাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে রিপন (৩৫), আজিমপুর গ্রামের মৃত ফজলুল করিমের ছেলে মো. ফরাদ হোসেন (৪০), কেরু হাসপাতাল পাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে ফারদিন সোহেল (৪০), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আপু জদ্দারের ছেলে হবা জোয়াদ্দার (৫৫), একই গ্রামের মৃত কাউসার আলী শাহ ছেলে মামুন শাহ (৪৬),
হুজুর আলীর ছেলে মাসুম (৩৫), আজিমপুর গ্রামের শহর আলী মোল্লার ছেলে পৌর কাউন্সিলর রবিউল হক সুমন (৫০), শ্যামপুর জোড়াবটতলার রবজেল মিয়ার ছেলে পৌর কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন (৫৫), দর্শনা থানাপাড়ার মৃত মঞ্জুর ছেলে মো. ফাহিম (২০), কেরু প্রাইমারি স্কুলপাড়ার খাদিমুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪২), আনোয়ারপুর গ্রামের ফৌজোর ছেলে নাসির (৪৫), একই গ্রামের আজিজ ড্রাইভার (৬০), ইসলাম বাজার পাড়ার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফ (৫৫), কেরু হাসপাতাল পাড়ার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে সাণ্টু (৫৫) ও ইসলাম বাজার পাড়ার মৃত রওশন কাসারীর ছেলে রহমান (৪৫)।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, তদন্ত) শফিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি এজাহার দাখিল হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবুসহ আ.লীগের ৬৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আপলোড টাইম : ০৮:৪০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু ও কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সিবিএ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদের ছেলে সৌমিক হাসান রুপমসহ আওয়ামী লীগের ৬৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দর্শনা পরানপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার জহির উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে রবিউল ইসলামের বাড়িতে আলি মুনছুর বাবুর নির্দেশে তার ভাই ফারুক হোসেন ও মো. মুন হামলা করেন। এসময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলি এবং কয়েকটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ব্যবহার করা দুই ভরির স্বর্ণের চেন ও হাতের বালা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তার স্ত্রীকে মারধর করেন। আর তিনি জীবন রক্ষার্থে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের তাকে ধাওয়া করেন। তিনি কিছু দূর পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় পড়ে যায়। পরে তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য আলি মুনছুর বাবুর বাসভবনে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং অমানসিকভাবে রাতভর নির্যাতন করতে থাকেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্যাতনের কারণে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তার জ্ঞান ফিরলে ডান পা ভেঙে গেছে দেখেন। পরে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করতে গেলে আসামিরা পা ভাঙা অবস্থায় পরের দিন তাকে দর্শনা থানা-পুলিশে দেয় এবং পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে সোপর্দ করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হয়রানি, নির্যাতন, জীবননাশের হুমকি ও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার কারণে তিনি এতদিন মামলা করতে সাহস পায়নি।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- দর্শনা পুরাতন বাজারের আব্দুল ওহাব ওস্তগারের ছেলে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপির ভাই দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, তার আরেক ভাই ফারুক হোসেন, ভাগ্নে মো. মুন (৪০), শ্যামপুর গ্রামের তনু মল্লিকের ছেলে দামুড়হুদার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট (৫৬), ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের বেদের আলীর ছেলে মিঠু (৫৫), আজিমপুরের নান্নু মিয়ার ছেলে মো. রাসেল (৩৫), একই গ্রামের হারুনের ছেলে অপু (৩৫), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পুটে মল্লিকের ছেলে জয়নাল আবেদীন নফর (৪৭), তহির জোয়ার্দ্দারের ছেলে কেরু শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদুর রহমান (৬০), কেরুর শ্রমিক মোটা সাইদ (৪৫), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মিল্লাত হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), কেরুজ পন্নাগারের এজেন্ট মো. দাউদ (৩৫),
ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের ইয়াহিয়ার ছেলে ডালিম (৪০), একই গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে খায়রুল (৪০), আমিরের ছেলে মো. রাশেদ (৪০), ইসলাম বাজারের লুৎফর রহমানের ছেলে লাল্টু (৪২), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের শ্রমিক নেতা মাসুদুর রহমানের ছেলে সৌমিক হাসান রুপম (৩৭), ইসলাম বাজারের দুলালের ছেলে মো. জুয়েল (৩৮), চটকাতলার কালু কসাইয়ের ছেলে মো. শরীফ (৫০), আজিমপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল (৫৫), মোবারক পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে মো. রানা (৩০), একই গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে মো. আক্তার (৩০), ইমারতের ছেলে মো. আশিক (২৮), মারুফ বিল্লাল জিসান (২৫), রামনগর গ্রামের জমিরের ছেলে ইকবাল হোসেন (৫০), একই গ্রামের ডাবির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মো. নোমান (৪২), ফেদের আলীর ছেলে মো. রেজাউল (৩২), মোবারক পাড়ার মো. পিয়াস (২০), রামনগর গ্রামের মনু সরদারের ছেলে পিকু (২০), মোবারক পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে যুবলীগ নেতা মো. আব্দুল মান্নান (৫০), একই গ্রামের মৃত করিমের ছেলে যুবলীগ নেতা মো. শেখ আসলাম তোতা (৫০),
পরানপুর গ্রামের ইজার ছেলে মো. সানি (২৮), পুরাতন বাজার শামিল পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. জাকারিয়া আলম (৫৫), রামনগর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মো. ছলেমান (৫৫), একই গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মো. শাহ আলী (৩০), দর্শনা বাসস্ট্যান্ড সিঅ্যান্ডবিপাড়া আবু তাহেরের ছেলে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম (৫৫), একই গ্রামের বদরুদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৫৫), একই পাড়ার টিপু ডাক্তারের ছেলে মো. সাধন (৪৪), শ্যামপুর হিন্দুপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা মো. রুস্তম আলী (৬০), ইসলাম বাজার পাড়ার মৃত সুন্নত আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৫৫), বাসস্ট্যান্ড সিঅ্যান্ডবি পাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা মো. হায়দার আলী (৫৫), একই পাড়ার মান্দার ডাক্তারের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৫০), আমতলা পাড়ার মো. হিরন (৫০), আজিমপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. আব্দুল জলিল (৪০),
কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ আলী (৪০), মেমনগর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মো. ফয়সাল (৪৫), একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ফলেহার (৩৫), কেরু হাসপাতাল পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুমন (৩০), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের সবিলুদ্দিনের ছেলে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তপু (৩৫), কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কলেজ পাড়ার পারভেজ (৩৫), কেরু স্কুলপাড়ার শাহ আলম ড্রাইভার (৬০), হঠাৎ পাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫), বড় দুধপাতিলা দক্ষিণ পাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে সুমন (৩০), কেরু প্রাইমারি স্কুলপাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে রিপন (৩৫), আজিমপুর গ্রামের মৃত ফজলুল করিমের ছেলে মো. ফরাদ হোসেন (৪০), কেরু হাসপাতাল পাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে ফারদিন সোহেল (৪০), দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আপু জদ্দারের ছেলে হবা জোয়াদ্দার (৫৫), একই গ্রামের মৃত কাউসার আলী শাহ ছেলে মামুন শাহ (৪৬),
হুজুর আলীর ছেলে মাসুম (৩৫), আজিমপুর গ্রামের শহর আলী মোল্লার ছেলে পৌর কাউন্সিলর রবিউল হক সুমন (৫০), শ্যামপুর জোড়াবটতলার রবজেল মিয়ার ছেলে পৌর কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন (৫৫), দর্শনা থানাপাড়ার মৃত মঞ্জুর ছেলে মো. ফাহিম (২০), কেরু প্রাইমারি স্কুলপাড়ার খাদিমুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪২), আনোয়ারপুর গ্রামের ফৌজোর ছেলে নাসির (৪৫), একই গ্রামের আজিজ ড্রাইভার (৬০), ইসলাম বাজার পাড়ার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফ (৫৫), কেরু হাসপাতাল পাড়ার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে সাণ্টু (৫৫) ও ইসলাম বাজার পাড়ার মৃত রওশন কাসারীর ছেলে রহমান (৪৫)।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, তদন্ত) শফিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি এজাহার দাখিল হয়েছে।