ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে চেতনায় জন্মাষ্টমী উদ্যাপন

বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কমানো হয় উৎসব ব্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৩:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

বন্যার্তদের সাহায্যার্থে উৎসব ব্যয় কমিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা, সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্যরে চেতনায় চুয়াডাঙ্গায় উদ্যাপিত হয়েছে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি, শুভ জন্মাষ্টমী।

গতকাল সোমবার দিনের শুরুতে বিভিন্ন মন্দিরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। জন্মাষ্টমীতে দেশের কয়েক লাখ বন্যার্তদের জন্য করা হয় বিশেষ প্রার্থনা। আর উৎসবের খরচ কমিয়ে সেই অর্থ দুর্গতদের পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে শহরের প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে।

দিনব্যাপী মঙ্গলাচারণ, নামকীর্তন, গীতা পাঠ, কৃষ্ণপূজা, পদাবলি কীর্ত্তন, ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠান ও রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজাসহ নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছেন জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন।
হিন্দু পুরাণমতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়-নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ ও ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরও বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের কাছে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করেন।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায় বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। শান্তি স্থাপনে ও দেশের উন্নয়নে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। দেশ ভালো থাকলে আমরা সকলেই ভালো থাকব।’ তিনি বলেন, বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি মন্দিরেই পূজা উদ্যাপন ব্যয় কমানোসহ বন্যার্তদের জন্য মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা করা হয়েছে। শান্তি, কল্যাণ ও মানবতাবোধের শক্তিতে প্রাণিত হয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, অসত্য ও অন্যায়ের অবসান সম্ভব- এই পূর্ণ তিথিতে সেই শুভকামনাই ছিল জন্মাষ্টমীর মূলকথা।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে চেতনায় জন্মাষ্টমী উদ্যাপন

বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কমানো হয় উৎসব ব্যয়

আপলোড টাইম : ০৩:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

বন্যার্তদের সাহায্যার্থে উৎসব ব্যয় কমিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা, সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্যরে চেতনায় চুয়াডাঙ্গায় উদ্যাপিত হয়েছে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি, শুভ জন্মাষ্টমী।

গতকাল সোমবার দিনের শুরুতে বিভিন্ন মন্দিরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। জন্মাষ্টমীতে দেশের কয়েক লাখ বন্যার্তদের জন্য করা হয় বিশেষ প্রার্থনা। আর উৎসবের খরচ কমিয়ে সেই অর্থ দুর্গতদের পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে শহরের প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে।

দিনব্যাপী মঙ্গলাচারণ, নামকীর্তন, গীতা পাঠ, কৃষ্ণপূজা, পদাবলি কীর্ত্তন, ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠান ও রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজাসহ নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছেন জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন।
হিন্দু পুরাণমতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়-নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ ও ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরও বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের কাছে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করেন।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায় বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। শান্তি স্থাপনে ও দেশের উন্নয়নে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। দেশ ভালো থাকলে আমরা সকলেই ভালো থাকব।’ তিনি বলেন, বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি মন্দিরেই পূজা উদ্যাপন ব্যয় কমানোসহ বন্যার্তদের জন্য মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা করা হয়েছে। শান্তি, কল্যাণ ও মানবতাবোধের শক্তিতে প্রাণিত হয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, অসত্য ও অন্যায়ের অবসান সম্ভব- এই পূর্ণ তিথিতে সেই শুভকামনাই ছিল জন্মাষ্টমীর মূলকথা।’