ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের আমির রুহুল আমিনের মতবিনিময়

আমাদের দোষ-ত্রুটি নিঃসংকোচে সমালোচনা করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াত ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাড. মোহা. রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে স্বৈরশাসনের পতনের মাধ্যমে এ দেশের বিপ্লবী ছাত্রসমাজ দেশের নির্যাতিত জনগণ, মুক্তিকামী সুশিল সমাজ, বঞ্চিত পেশাজীবী মানুষ আরও একবার স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেছে। আপনাদের সাথে আজকের এই মতবিনিময়কালে সেই সব অকুতোভয় ছাত্রসমাজকে জানায় কৃতজ্ঞচিত্তে সালাম। যারা রক্ত ঝরিয়ে দেশের তরে জীবন উৎসর্গ করেছে, তাদের জন্য আল্লাহর দরবারে শাহাদতের মর্যাদা কামনা করছি। পাশে থেকে যারা এই আন্দোলনকারীদের সাহস জুগিয়েছেন, তাদের জন্য কল্যাণ কামনা করছি।
এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই ব্যানার নিয়ে আপনাদের সাথে মতবিনিময় করার সুযোগ থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। আজকে এই শুভক্ষণটি তাই ধরে রাখতে চাই, তুলে রাখতে চাই ইতিহাসের পাতায়। দেশে গণতন্ত্রের নামে একদলীয় শাসন শুরু হয়েছিল আজ থেকে ১৬ বছর পূর্বে। দেশের সকল সেক্টরে ছিল দলীয়করণের দৃশ্যমান চিত্র। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সুশিল সমাজ, সাংবাদিক, লেখক কেউ এর বাইরে ছিল না। সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করার সাহস যারা দেখিয়েছে, তাদেরকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে একপেশে করেছে। কখনও বা মামলা, হামলা, এমনকি জেলে পুরে রাখতেও শেখ হাসিনার সরকার পিছপা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ডিবি অফিসের ভয়ঙ্কর চিত্র, আয়নাঘরের মতো লোমহর্ষক ঘটনা, সাদা পোশাক বাহিনীর দূর্দান্ত দাপট। সরকারি দলের ক্যাডার বাহিনীর অসহনীয় আচরণ, অফিসগুলোতে সুদ-ঘুষ বাণিজ্য ছিল এদেশের প্রতিদিনের নৈমিত্তিক চিত্র। সাধারণ মানুষ এসকল অপকর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারিনি সত্য, কিন্তু তাদের দীর্ঘশ্বাস ৫ আগস্ট নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভিষণ, ‘মানুষের কল্যাণ সাধন করা, দেশ পরিচালনায় সৎ যোগ্য মানুষ তৈরি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।’ এই ভিষণকে দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য জামায়াতের সকল স্তরের কর্মী বাহিনী সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চলার পথে যেখানেই যে দোষ-ত্রুটি আপনারা দেখবেন, তা নিঃসংকোচে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। এদেশে যেন কোনো ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, কিংবা ধর্মীয় কোনো ব্যক্তিকে বা গোষ্ঠীকে কেউ কোনো ট্যাগ লাগিয়ে যেন কেউ কাউকে হেনস্তা করতে না পারে, তার দিকে আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।
এদেশে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে, সেদিকে আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দুর্নীতি করে কেউ যেন পার পেয়ে না যায়, সে জন্য আপনাদেরকে তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। ভালোকে ভালো বলার সৎ সাহস আপনাদের কাছে আমরা কামনা করি। সমাজের ইতিবাচক খবরগুলোকে আপনারা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করবেন, যেন সমাজের মানুষ ইতিবাচক কাজ করতে হয়।
অ্যাড. রুহুল আমিন আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতা-কর্মী মাদকমুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত, দখলদার মুক্ত, টেন্ডারবাজ মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, গ্রুপিং মুক্ত। জামায়াতের মূল শক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা, ধৈর্য্য এবং দলীয় শৃঙ্খলা। তারপরেও যারা আমাদের গালি দেয়, মারে, জেলে পুরে হত্যা করতে চায়, শত্রুতা করতে চায়, তাদের রাজনৈতিক শক্তি কী? তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী? তারা কি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করতে চায় না, নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে? এই প্রশ্ন আপনাদের মাধ্যমে জাতির কাছে রাখলাম।
আমরা বিশ্বাস করি দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তি আখেরাতের জীবনের সূচনা, দুনিয়ার প্রত্যেকটি কাজের হিসাব আখেরাতে দিতে হবে। দুনিয়ার জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী আখেরাতের জীবন স্থায়ী। দুনিয়ার জীবনে সুখ-দুঃখ উভয়ই আসে, আর আখেরাতে শুধুই সুখ অথবা শুধুই দুঃখ। আমরা জামায়াত কর্মীরা আখেরাতের জীবন কে প্রাধান্য দিই বলেই দুনিয়ার এই তথাকথিত প্রতিযোগিতায় গিয়ে অর্থশালী হতে আগ্রহী হই না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা একদলীয় ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্য ডিজিটাল আইনে শত শত মামলা করলেও, সাগর-রুনীর হত্যাসহ অসংখ্য সাংবাদিকের হত্যার বিচার হয়নি। বরং দিনের পর দিন ওইসব হত্যা মামলার বিচার বিলম্বিত করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা চাই আইন বর্হিভূত হত্যার বিচার হোক। সকল দুর্নীতির বিচার হোক, সকলেই আইনের শাসনের আওতায় আসুক। সরকারের সকল কর্মচারী, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকসহ সরকারি সকল দপ্তর রাজনীতিমুক্ত হোক। আমাদের চুয়াডাঙ্গাকে আমরা সবাই মিলে গড়তে চাই, এই প্রত্যাশায়।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাড. আসাদুজ্জামান ও চুয়াডাঙ্গা পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাড. হাসিবুর রহমান।
মতবিনিময় সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. হেলাল হোসেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেলের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর অর্থবিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন। মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, একাত্তর টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি এম এ মামুন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের আমির রুহুল আমিনের মতবিনিময়

আমাদের দোষ-ত্রুটি নিঃসংকোচে সমালোচনা করবেন

আপলোড টাইম : ১০:১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াত ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাড. মোহা. রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে স্বৈরশাসনের পতনের মাধ্যমে এ দেশের বিপ্লবী ছাত্রসমাজ দেশের নির্যাতিত জনগণ, মুক্তিকামী সুশিল সমাজ, বঞ্চিত পেশাজীবী মানুষ আরও একবার স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেছে। আপনাদের সাথে আজকের এই মতবিনিময়কালে সেই সব অকুতোভয় ছাত্রসমাজকে জানায় কৃতজ্ঞচিত্তে সালাম। যারা রক্ত ঝরিয়ে দেশের তরে জীবন উৎসর্গ করেছে, তাদের জন্য আল্লাহর দরবারে শাহাদতের মর্যাদা কামনা করছি। পাশে থেকে যারা এই আন্দোলনকারীদের সাহস জুগিয়েছেন, তাদের জন্য কল্যাণ কামনা করছি।
এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই ব্যানার নিয়ে আপনাদের সাথে মতবিনিময় করার সুযোগ থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। আজকে এই শুভক্ষণটি তাই ধরে রাখতে চাই, তুলে রাখতে চাই ইতিহাসের পাতায়। দেশে গণতন্ত্রের নামে একদলীয় শাসন শুরু হয়েছিল আজ থেকে ১৬ বছর পূর্বে। দেশের সকল সেক্টরে ছিল দলীয়করণের দৃশ্যমান চিত্র। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সুশিল সমাজ, সাংবাদিক, লেখক কেউ এর বাইরে ছিল না। সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করার সাহস যারা দেখিয়েছে, তাদেরকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে একপেশে করেছে। কখনও বা মামলা, হামলা, এমনকি জেলে পুরে রাখতেও শেখ হাসিনার সরকার পিছপা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ডিবি অফিসের ভয়ঙ্কর চিত্র, আয়নাঘরের মতো লোমহর্ষক ঘটনা, সাদা পোশাক বাহিনীর দূর্দান্ত দাপট। সরকারি দলের ক্যাডার বাহিনীর অসহনীয় আচরণ, অফিসগুলোতে সুদ-ঘুষ বাণিজ্য ছিল এদেশের প্রতিদিনের নৈমিত্তিক চিত্র। সাধারণ মানুষ এসকল অপকর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারিনি সত্য, কিন্তু তাদের দীর্ঘশ্বাস ৫ আগস্ট নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভিষণ, ‘মানুষের কল্যাণ সাধন করা, দেশ পরিচালনায় সৎ যোগ্য মানুষ তৈরি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।’ এই ভিষণকে দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য জামায়াতের সকল স্তরের কর্মী বাহিনী সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চলার পথে যেখানেই যে দোষ-ত্রুটি আপনারা দেখবেন, তা নিঃসংকোচে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। এদেশে যেন কোনো ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, কিংবা ধর্মীয় কোনো ব্যক্তিকে বা গোষ্ঠীকে কেউ কোনো ট্যাগ লাগিয়ে যেন কেউ কাউকে হেনস্তা করতে না পারে, তার দিকে আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।
এদেশে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে, সেদিকে আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দুর্নীতি করে কেউ যেন পার পেয়ে না যায়, সে জন্য আপনাদেরকে তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। ভালোকে ভালো বলার সৎ সাহস আপনাদের কাছে আমরা কামনা করি। সমাজের ইতিবাচক খবরগুলোকে আপনারা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করবেন, যেন সমাজের মানুষ ইতিবাচক কাজ করতে হয়।
অ্যাড. রুহুল আমিন আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতা-কর্মী মাদকমুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত, দখলদার মুক্ত, টেন্ডারবাজ মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, গ্রুপিং মুক্ত। জামায়াতের মূল শক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা, ধৈর্য্য এবং দলীয় শৃঙ্খলা। তারপরেও যারা আমাদের গালি দেয়, মারে, জেলে পুরে হত্যা করতে চায়, শত্রুতা করতে চায়, তাদের রাজনৈতিক শক্তি কী? তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী? তারা কি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করতে চায় না, নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে? এই প্রশ্ন আপনাদের মাধ্যমে জাতির কাছে রাখলাম।
আমরা বিশ্বাস করি দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তি আখেরাতের জীবনের সূচনা, দুনিয়ার প্রত্যেকটি কাজের হিসাব আখেরাতে দিতে হবে। দুনিয়ার জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী আখেরাতের জীবন স্থায়ী। দুনিয়ার জীবনে সুখ-দুঃখ উভয়ই আসে, আর আখেরাতে শুধুই সুখ অথবা শুধুই দুঃখ। আমরা জামায়াত কর্মীরা আখেরাতের জীবন কে প্রাধান্য দিই বলেই দুনিয়ার এই তথাকথিত প্রতিযোগিতায় গিয়ে অর্থশালী হতে আগ্রহী হই না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা একদলীয় ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্য ডিজিটাল আইনে শত শত মামলা করলেও, সাগর-রুনীর হত্যাসহ অসংখ্য সাংবাদিকের হত্যার বিচার হয়নি। বরং দিনের পর দিন ওইসব হত্যা মামলার বিচার বিলম্বিত করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা চাই আইন বর্হিভূত হত্যার বিচার হোক। সকল দুর্নীতির বিচার হোক, সকলেই আইনের শাসনের আওতায় আসুক। সরকারের সকল কর্মচারী, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকসহ সরকারি সকল দপ্তর রাজনীতিমুক্ত হোক। আমাদের চুয়াডাঙ্গাকে আমরা সবাই মিলে গড়তে চাই, এই প্রত্যাশায়।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাড. আসাদুজ্জামান ও চুয়াডাঙ্গা পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাড. হাসিবুর রহমান।
মতবিনিময় সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. হেলাল হোসেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেলের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর অর্থবিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন। মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, একাত্তর টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি এম এ মামুন প্রমুখ।