ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে স্বাস্থ্য বিভাগে ২৫ বছর চাকরি করছেন ডা. অলোক কুমার দাস

সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে রাজনীতিতে হয়েছেন সম্পৃক্ত

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ অ্যান্ড এফপিও) ডা. অলোক কুমার দাস একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও মেহেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত। তিনি রাজনৈতিক নেতার মতোই আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৪ জুন তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে যোগদান করেন। পরে বিভিন্ন মহলের তদবিরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু মেহেরপুরে তার চাকরির বয়স দুই যুগ পার হলেও তিনি আজও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি করে চলেছেন।

ডা. অলোক কুমার দাস সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দোহাই দিয়ে ও তার নাম ভাঙিয়ে নিজেকে পরিচিত করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষ কাজ করেছেন। বিভিন্ন মিডিয়াতে একাধিকবার তার নাম শোনা গিয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নৌকার প্রার্থীর জন্য রোগীদের কাছে ভোট চাওয়া এবং ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ডা. অলোক কুমার দাসকে জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি শোকজ করেছিল।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিপক্ষে যারা আওয়ামী লীগ করতেন, তাদের চিকিৎসা (সেবা ল্যাব) প্রতিষ্ঠানে ডা. অলোক কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হতো। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক বন্ধ ও জরিমানা করা হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন মেহেরপুরে থাকার সুবাদে চাকরির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আধুনিক মানের বাড়ি নির্মাণ করেছেন। অলোক কুমার দাসের এত টাকার উৎস নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া অলোক কুমার দাস অবসরে চেম্বারে বসে যে রোগী দেখেন, সেই রোগীগুলো রিপোর্টের জন্য সনোল্যাবে পাঠিয়ে অর্থ বাণিজ্য করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ডা. অলোক কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেহেরপুরে ২৫ বছর ধরে চাকরি করছি এটা ঠিক, তবে রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়টা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এক জায়গায় চাকরি করতে হলে সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা লাগে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে স্বাস্থ্য বিভাগে ২৫ বছর চাকরি করছেন ডা. অলোক কুমার দাস

সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে রাজনীতিতে হয়েছেন সম্পৃক্ত

আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ অ্যান্ড এফপিও) ডা. অলোক কুমার দাস একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও মেহেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত। তিনি রাজনৈতিক নেতার মতোই আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৪ জুন তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে যোগদান করেন। পরে বিভিন্ন মহলের তদবিরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু মেহেরপুরে তার চাকরির বয়স দুই যুগ পার হলেও তিনি আজও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি করে চলেছেন।

ডা. অলোক কুমার দাস সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দোহাই দিয়ে ও তার নাম ভাঙিয়ে নিজেকে পরিচিত করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষ কাজ করেছেন। বিভিন্ন মিডিয়াতে একাধিকবার তার নাম শোনা গিয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নৌকার প্রার্থীর জন্য রোগীদের কাছে ভোট চাওয়া এবং ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ডা. অলোক কুমার দাসকে জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি শোকজ করেছিল।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিপক্ষে যারা আওয়ামী লীগ করতেন, তাদের চিকিৎসা (সেবা ল্যাব) প্রতিষ্ঠানে ডা. অলোক কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হতো। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক বন্ধ ও জরিমানা করা হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন মেহেরপুরে থাকার সুবাদে চাকরির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আধুনিক মানের বাড়ি নির্মাণ করেছেন। অলোক কুমার দাসের এত টাকার উৎস নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া অলোক কুমার দাস অবসরে চেম্বারে বসে যে রোগী দেখেন, সেই রোগীগুলো রিপোর্টের জন্য সনোল্যাবে পাঠিয়ে অর্থ বাণিজ্য করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ডা. অলোক কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেহেরপুরে ২৫ বছর ধরে চাকরি করছি এটা ঠিক, তবে রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়টা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এক জায়গায় চাকরি করতে হলে সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা লাগে।