ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় মাঠে নেমেছে আনসার, গুজবের ছড়াছড়ি

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য সম্পর্ক রেখে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিরোধ করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। কোথাও কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দেখা যায়নি। তবে শহরের কয়েকটি স্থানে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যে সামাজিক সচেতনতায় জেলা বিএনপি এবং ছাত্রদের পক্ষেও মাইকিং করা হয়েছে। সচেতন মহলের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য সম্পর্ক রেখে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিরোধ করতে হবে। বাইরের কেউ যাতে সহিংসতা করতে না পারে, সেজন্য এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে নিজেদের প্রতিরোধ করতে হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগের জন্য দুটি নম্বর প্রচার করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পরই ছাত্র-জনতা আনন্দ উল্লাস শুরু করে। আনন্দ মিছিলে কিছু দুষ্কৃতিকারী ঢুকে সারাদেশেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে হুমকি, চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠছে। আবার জেলায় থাকা আওয়ামী লীগের বা এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যেকার সংঘর্ষের সংবাদও আসছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন দিক থেকে মুত্যু-সংঘাতের গুজব পাওয়া যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গায় সোমবার দুপুরের পর থেকেই এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তবে যাচাই-বাচাই করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা বেশ ঝামেলায় পড়েছেন। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় তথ্যের সত্যতা নিয়ে নানা রকম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে এর ৯০ ভাগই সত্য নয়। সচেতন মহলের দাবি, নিশ্চিত না হয়ে তথ্য ছড়ানো যাবে না, এই বিশেষ সময়ে গুজব প্রতিরোধে সকলকে কাজ করতে হবে।
সচেতন মহল বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ধৈর্য্যধারণ থাকতে হবে। সচেতনতার প্রয়োজন অত্যাধিক বেশি। এই সময়ে নিশ্চিত না হয়ে কোনো গুজব ছড়ানো যাবে না। বিশেষ করে গণমাধ্যমের ওপর আস্থা রাখতে হবে।
সব মিলিয়ে মানুষের মধ্যে একদিকে হাসিনা সরকারের পতনের খুশি, আরেক দিকে দুষ্কৃতিকারীদের ভয়। আইনশৃঙ্খলার এক চরম অবনতির এই সময়ে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান সাধারণ মানুষের। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরে দেখা গেছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ নেতা-কর্মীদের সচেতন, সজাগ ও জনগণের জান-মাল রক্ষা করার জন্য বার্তা দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে প্রতিশোধ পরায়ণ না হওয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তা রক্ষার্থে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও, জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থেকেও মাইকিং করা হয়েছে। সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের প্রত্যাশা ভয়হীন গণতান্ত্রিক সুন্দর বাংলাদেশের।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় মাঠে নেমেছে আনসার, গুজবের ছড়াছড়ি

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য সম্পর্ক রেখে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিরোধ করার আহ্বান

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। কোথাও কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দেখা যায়নি। তবে শহরের কয়েকটি স্থানে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যে সামাজিক সচেতনতায় জেলা বিএনপি এবং ছাত্রদের পক্ষেও মাইকিং করা হয়েছে। সচেতন মহলের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য সম্পর্ক রেখে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিরোধ করতে হবে। বাইরের কেউ যাতে সহিংসতা করতে না পারে, সেজন্য এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে নিজেদের প্রতিরোধ করতে হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগের জন্য দুটি নম্বর প্রচার করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পরই ছাত্র-জনতা আনন্দ উল্লাস শুরু করে। আনন্দ মিছিলে কিছু দুষ্কৃতিকারী ঢুকে সারাদেশেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে হুমকি, চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠছে। আবার জেলায় থাকা আওয়ামী লীগের বা এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যেকার সংঘর্ষের সংবাদও আসছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন দিক থেকে মুত্যু-সংঘাতের গুজব পাওয়া যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গায় সোমবার দুপুরের পর থেকেই এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তবে যাচাই-বাচাই করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা বেশ ঝামেলায় পড়েছেন। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় তথ্যের সত্যতা নিয়ে নানা রকম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে এর ৯০ ভাগই সত্য নয়। সচেতন মহলের দাবি, নিশ্চিত না হয়ে তথ্য ছড়ানো যাবে না, এই বিশেষ সময়ে গুজব প্রতিরোধে সকলকে কাজ করতে হবে।
সচেতন মহল বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ধৈর্য্যধারণ থাকতে হবে। সচেতনতার প্রয়োজন অত্যাধিক বেশি। এই সময়ে নিশ্চিত না হয়ে কোনো গুজব ছড়ানো যাবে না। বিশেষ করে গণমাধ্যমের ওপর আস্থা রাখতে হবে।
সব মিলিয়ে মানুষের মধ্যে একদিকে হাসিনা সরকারের পতনের খুশি, আরেক দিকে দুষ্কৃতিকারীদের ভয়। আইনশৃঙ্খলার এক চরম অবনতির এই সময়ে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান সাধারণ মানুষের। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরে দেখা গেছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ নেতা-কর্মীদের সচেতন, সজাগ ও জনগণের জান-মাল রক্ষা করার জন্য বার্তা দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে প্রতিশোধ পরায়ণ না হওয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তা রক্ষার্থে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও, জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থেকেও মাইকিং করা হয়েছে। সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের প্রত্যাশা ভয়হীন গণতান্ত্রিক সুন্দর বাংলাদেশের।