ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একই গ্রামের শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ, রেফার্ড ৬

দামুড়হুদার মোল্লা বাজারে হার্ডওয়্যারের দোকানে অগ্নিসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় একটি হার্ডওয়্যার ও জ্বালানি তেলের দোকানে দেয়া আগুনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার পরে আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, গুরুতরভাবে দগ্ধ হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুসহ ছয়জনকে গতকালই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে দামুড়হুদার মোক্তারপুর গ্রামের মোল্লা বাজারে হোসেন আলীর হার্ডওয়্যার ও জ্বালানি তেলের দোকানে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। এসময় দোকানের অদূরে রাস্তার দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামবাসীর মধ্যে ৮ জন দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন- মোক্তারপুর গ্রামের ইসমাইল গৌরর ছেলে আলতাফ হোসেন (৫০), তার ছেলে উজ্জল গৌর (৩০), মসলেম উদ্দীনের ছেলে মিল্টন গৌর (৩০), কাবের আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (২৬), বাবলুর ছেলে মাজিদুল ইসলাম বগা (১২), এছাড়াও আগুনে দগ্ধ হন একই গ্রামের মানিক (২০), শিলন (৩০) ও ফারুক হোসেন (৫০)। আহতদের মধ্যে গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. এহসানূল হক তন্ময় উন্নত চিকিৎসার জন্য উজ্জল গৌর, মিল্টন গৌর, নাজমুল হোসেন, শিশু মাজিদুল ইসলাম বগা, আলতাফ ও সাগরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জল গৌর বলেন, ‘রাতে গ্রামবাসীর সঙ্গে মোল্লা বাজারে আমি ও আমার বাবাসহ অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় বেশ কয়েকজন বাজারে ভাঙচুর চালায় ও হোসেনের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। দোকানের ভেতরে থাকা পেট্রোলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্ফুলিঙ্গ রাস্তার দিকে ছুটে আসে। আমরা কেউ দৌঁড়ে পালানোর সময়ও পাইনি। এক মুহূর্তের মধ্যে আমি ও আমার বাবাসহ ৮-৯ জনের সারা শরীরে আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয়রা পানি ঢেলে আগুন নেভানোর পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, সোমবার রাতে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় এক শিশুসহ ৮ জন জরুরি বিভাগে আসে। তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছয়জনকে দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

একই গ্রামের শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ, রেফার্ড ৬

দামুড়হুদার মোল্লা বাজারে হার্ডওয়্যারের দোকানে অগ্নিসংযোগ

আপলোড টাইম : ১০:৫৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় একটি হার্ডওয়্যার ও জ্বালানি তেলের দোকানে দেয়া আগুনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার পরে আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, গুরুতরভাবে দগ্ধ হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুসহ ছয়জনকে গতকালই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে দামুড়হুদার মোক্তারপুর গ্রামের মোল্লা বাজারে হোসেন আলীর হার্ডওয়্যার ও জ্বালানি তেলের দোকানে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। এসময় দোকানের অদূরে রাস্তার দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামবাসীর মধ্যে ৮ জন দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন- মোক্তারপুর গ্রামের ইসমাইল গৌরর ছেলে আলতাফ হোসেন (৫০), তার ছেলে উজ্জল গৌর (৩০), মসলেম উদ্দীনের ছেলে মিল্টন গৌর (৩০), কাবের আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (২৬), বাবলুর ছেলে মাজিদুল ইসলাম বগা (১২), এছাড়াও আগুনে দগ্ধ হন একই গ্রামের মানিক (২০), শিলন (৩০) ও ফারুক হোসেন (৫০)। আহতদের মধ্যে গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. এহসানূল হক তন্ময় উন্নত চিকিৎসার জন্য উজ্জল গৌর, মিল্টন গৌর, নাজমুল হোসেন, শিশু মাজিদুল ইসলাম বগা, আলতাফ ও সাগরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জল গৌর বলেন, ‘রাতে গ্রামবাসীর সঙ্গে মোল্লা বাজারে আমি ও আমার বাবাসহ অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় বেশ কয়েকজন বাজারে ভাঙচুর চালায় ও হোসেনের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। দোকানের ভেতরে থাকা পেট্রোলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্ফুলিঙ্গ রাস্তার দিকে ছুটে আসে। আমরা কেউ দৌঁড়ে পালানোর সময়ও পাইনি। এক মুহূর্তের মধ্যে আমি ও আমার বাবাসহ ৮-৯ জনের সারা শরীরে আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয়রা পানি ঢেলে আগুন নেভানোর পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, সোমবার রাতে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় এক শিশুসহ ৮ জন জরুরি বিভাগে আসে। তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছয়জনকে দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে।