স্বাভাবিক হয়নি চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি, এখনো মানুষের ক্ষোভ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের প্রতি
দুই ভাইয়ের বাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে মানুষর, ছুড়ছেন ঢিল- আপলোড টাইম : ১০:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
- / ২৯ বার পড়া হয়েছে
স্বাভাবিক হয়নি চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি। রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার সরকারি কিছু দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও আতঙ্কে ছিলেন কর্মকর্তারা। আবার কোথাও কোথাও অফিস বন্ধই পাওয়া গেছে। তবুও চুয়াডাঙ্গা শহরে কিছু দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব।
জানা যায়, হাসিনার পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর পরই সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও ছাত্র জনতার উল্লাস-আনন্দ মিছিল দেখা যায়। এই উল্লাসে চুয়াডাঙ্গার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ সামিল হয়। দীর্ঘকালের ক্ষোভ থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসসহ দুই সংসদ সদস্যের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে। ভাঙচুর করে। এর মধ্যে কিছু দুষ্কৃতিকারী ঢুকে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করে। দুষ্কৃতিকারীদের লুটতরাজ গতকাল মঙ্গলবার দিনের বেলাতেও দেখা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দেখা গেছে, কেউ কেউ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও তার ভাই সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের বাড়ির জানালার রডসহ সবকিছুই খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে ছাইয়ের মধ্যেও কিছু না কিছু খোঁজার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আক্রোশে এখনো ঢিল ছুড়ছেন। যেখানে যেখানে আগুন দেয়া হয়েছিল, ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা ছাড়াই জ্বলে জ্বলে আগুন নিভে গেছে।
খবর পাওয়া যায়, সদর হাসপাতালের মধ্যে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের একটি সিসি ক্যামেরা গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কারা এটি করেছে, সেটি সম্পর্কে জানা যায়নি। এছাড়াও, ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনির্ভাসিটিতেও কিছু লোকজন গিয়ে ফিরে এসেছেন বলে জানা গেছে। তবে সেখানে কোনো ভাঙচুর হয়নি। এছাড়াও, বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ-বিপক্ষের দ্বন্দ্বে তাদের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগের নিজেরাই নিজেদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও দেখা গেছে। বিশেষত এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ চান সকলে।