ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তারে মাঠে পুলিশ

আত্মগোপনে থাকলেও বিদ্যালয়ের গ্রুপে সরব

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গতকাল শনিবার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে আত্মগোপনে থাকলেও বিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। গতকাল শনিবার রাতে দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না আশা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যাপীঠের বন্ধ থাকবে মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন অধ্যক্ষ।
এদিকে, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীনের অপকর্মের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ তার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করছেন। বিদ্যালয়ের এক অভিভাবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে নিশ্চিতও করেছেন তার স্ত্রী। স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি জেনে যাওয়ায় মারপিটের শিকার হয়েছেন স্ত্রী জেসমিন আরা।

জেসমিন আরা জানান, ‘বিদ্যালয়ের এক অভিভাবকের সাথে দীর্ঘদিন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আমার স্বামী। ওই নারীর নামের অক্ষর ‘ব’। যার জন্য জীবনে এত ত্যাগ, সেই অসৎ সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। আমি তার বিচার ও শাস্তি দাবি করছি।’ তিনি বলেন, প্রতিনিয়নত নির্যাতন, যৌতুক দাবি ও সর্বশেষ হত্যা চেষ্টা করায় বাধ্য হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনছারুল হক জানান, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারে ভাড়া বাসাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযুক্ত আত্মগোপনে রয়েছেন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই পুলিশ কাজ করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনা করেছে। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ)/৩০ তৎসহ পেনাল কোডের ১১৪/৫০৬ ধারায় গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা করেন তার স্ত্রী জেসমিন আরা। মামলার পর থেকে গ্রেপ্তারে ভয়ে তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তারে মাঠে পুলিশ

আত্মগোপনে থাকলেও বিদ্যালয়ের গ্রুপে সরব

আপলোড টাইম : ১০:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গতকাল শনিবার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে আত্মগোপনে থাকলেও বিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। গতকাল শনিবার রাতে দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না আশা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যাপীঠের বন্ধ থাকবে মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন অধ্যক্ষ।
এদিকে, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীনের অপকর্মের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ তার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করছেন। বিদ্যালয়ের এক অভিভাবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে নিশ্চিতও করেছেন তার স্ত্রী। স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি জেনে যাওয়ায় মারপিটের শিকার হয়েছেন স্ত্রী জেসমিন আরা।

জেসমিন আরা জানান, ‘বিদ্যালয়ের এক অভিভাবকের সাথে দীর্ঘদিন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আমার স্বামী। ওই নারীর নামের অক্ষর ‘ব’। যার জন্য জীবনে এত ত্যাগ, সেই অসৎ সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। আমি তার বিচার ও শাস্তি দাবি করছি।’ তিনি বলেন, প্রতিনিয়নত নির্যাতন, যৌতুক দাবি ও সর্বশেষ হত্যা চেষ্টা করায় বাধ্য হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনছারুল হক জানান, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারে ভাড়া বাসাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযুক্ত আত্মগোপনে রয়েছেন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই পুলিশ কাজ করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনা করেছে। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ)/৩০ তৎসহ পেনাল কোডের ১১৪/৫০৬ ধারায় গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা করেন তার স্ত্রী জেসমিন আরা। মামলার পর থেকে গ্রেপ্তারে ভয়ে তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।