ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে স্বর্ণের কয়েন দেখিয়ে মাদ্রাসা প্রধানের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

দেড় হাজার নকল স্বর্ণের কয়েনসহ প্রতারক গ্রেপ্তার

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করার নাম করে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন মো. রিপন খান (৪১)। পরে তাকে আসল একটি স্বর্ণের মুদ্রা দিয়ে জানান তার কাছে আরও ১ হাজার ৫০০ পিস এমন কয়েন আছে। এর মধ্যে তিনি মাদ্রাসায় ৫০০ পিস দান করতে চান। বাকি কয়েন ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা-পুলিশকে জানান ওই মাদ্রাসার প্রধান। পরে ১ হাজার ৫০৬ পিস নকল স্বর্ণমুদ্রাসহ রিপন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পালিয়ে যান প্রতারক চক্রের আরও ৪ সদস্য। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর দারুল উলুম সুবহানিয়া কওমি মাদ্রাসার সুপার মুজাফফর হোসন।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান। ওসি জাবীদ হাসান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন খান জানিয়েছেন, তারা পার্শ্ববর্তী উপজেলায় গত মাসে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তারা ফেরিওয়ালা সেজে প্রতারণার ছক করতেন। এরই অংশ হিসেবে হরিহরনগর দারুল উলুম সুবহানিয়া কওমি মাদ্রাসার সুপার মুজাফফর হোসেনকে টার্গেট করেন। রিপন তার ছেলেকে ভর্তি এবং বিভিন্ন মাসয়ালা জানার জন্য মাদ্রাসা সুপারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। পরে তিনি কসমেটিকস পণ্য বিক্রির সময় ১ হাজার ৫০০ স্বর্ণের কয়েন পেয়েছেন বলে ওই মাদ্রাসা প্রধানকে জানান। সেটি তার কাছে বিক্রির জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখান। এর অংশ হিসেবে তাকে একটি আসল স্বর্ণের কয়েন দিয়ে জুয়েলারির দোকানে পরীক্ষা করতে বলেন। পরে ওই হুজুর সেটা পরীক্ষা করে আসল স্বর্ণ বলে প্রমাণ পান। এবং তার দাম ৪ হাজার টাকা বলে জানতে পারেন।

ওসি আরও বলেন, পরে ৫০০ কয়েন মাদ্রাসায় দান এবং বাকি কয়েন ৩ লাখ টাকায় হুজুরের কাছে বিক্রির জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখান। তবে ওই হুজুর বিষয়টি প্রতারণ ভেবে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ মাদ্রাসায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে রিপন খানকে গ্রেপ্তার করেন। তবে এ সময় পালিয়ে যান গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর থানার বাসিন্দা ওবাইদুল শেখ, আবু সাঈদ, বিড়াল শেখ, বিশ্বজিৎ ও মো. শাহাজান নামের পাঁচ প্রতারক।

মাদ্রাসার প্রধান মুজাফফর হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই তার মনে সন্দেহ ছিল। তিনি চেয়েছিলেন কেউ যাতে তাদের প্রতারণা শিকার না হন। এ জন্য তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পরে পুলিশ রিপন খানকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেললে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হক, জীবননগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন খোকন, সাংবাদিক আতিয়ার রহমান, মিঠুন মাহমুদ, আকিমুল ইসলাম, চাষী রমজান, রিপন হোসেন, এআর ডাবলু, মুকুল, মুতাসিন, তুহিন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে স্বর্ণের কয়েন দেখিয়ে মাদ্রাসা প্রধানের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

দেড় হাজার নকল স্বর্ণের কয়েনসহ প্রতারক গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৪:১৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করার নাম করে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন মো. রিপন খান (৪১)। পরে তাকে আসল একটি স্বর্ণের মুদ্রা দিয়ে জানান তার কাছে আরও ১ হাজার ৫০০ পিস এমন কয়েন আছে। এর মধ্যে তিনি মাদ্রাসায় ৫০০ পিস দান করতে চান। বাকি কয়েন ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা-পুলিশকে জানান ওই মাদ্রাসার প্রধান। পরে ১ হাজার ৫০৬ পিস নকল স্বর্ণমুদ্রাসহ রিপন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পালিয়ে যান প্রতারক চক্রের আরও ৪ সদস্য। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর দারুল উলুম সুবহানিয়া কওমি মাদ্রাসার সুপার মুজাফফর হোসন।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান। ওসি জাবীদ হাসান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন খান জানিয়েছেন, তারা পার্শ্ববর্তী উপজেলায় গত মাসে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তারা ফেরিওয়ালা সেজে প্রতারণার ছক করতেন। এরই অংশ হিসেবে হরিহরনগর দারুল উলুম সুবহানিয়া কওমি মাদ্রাসার সুপার মুজাফফর হোসেনকে টার্গেট করেন। রিপন তার ছেলেকে ভর্তি এবং বিভিন্ন মাসয়ালা জানার জন্য মাদ্রাসা সুপারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। পরে তিনি কসমেটিকস পণ্য বিক্রির সময় ১ হাজার ৫০০ স্বর্ণের কয়েন পেয়েছেন বলে ওই মাদ্রাসা প্রধানকে জানান। সেটি তার কাছে বিক্রির জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখান। এর অংশ হিসেবে তাকে একটি আসল স্বর্ণের কয়েন দিয়ে জুয়েলারির দোকানে পরীক্ষা করতে বলেন। পরে ওই হুজুর সেটা পরীক্ষা করে আসল স্বর্ণ বলে প্রমাণ পান। এবং তার দাম ৪ হাজার টাকা বলে জানতে পারেন।

ওসি আরও বলেন, পরে ৫০০ কয়েন মাদ্রাসায় দান এবং বাকি কয়েন ৩ লাখ টাকায় হুজুরের কাছে বিক্রির জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখান। তবে ওই হুজুর বিষয়টি প্রতারণ ভেবে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ মাদ্রাসায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে রিপন খানকে গ্রেপ্তার করেন। তবে এ সময় পালিয়ে যান গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর থানার বাসিন্দা ওবাইদুল শেখ, আবু সাঈদ, বিড়াল শেখ, বিশ্বজিৎ ও মো. শাহাজান নামের পাঁচ প্রতারক।

মাদ্রাসার প্রধান মুজাফফর হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই তার মনে সন্দেহ ছিল। তিনি চেয়েছিলেন কেউ যাতে তাদের প্রতারণা শিকার না হন। এ জন্য তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পরে পুলিশ রিপন খানকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেললে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হক, জীবননগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন খোকন, সাংবাদিক আতিয়ার রহমান, মিঠুন মাহমুদ, আকিমুল ইসলাম, চাষী রমজান, রিপন হোসেন, এআর ডাবলু, মুকুল, মুতাসিন, তুহিন প্রমুখ।