ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা টায়ার ইলিয়াস

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৪:০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে


চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়া এলাকা থেকে বিউটিশিয়ান এক নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পাকড়াও হয়েছেন দৌলতদিয়াড়ের টায়ার ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানপাড়ার (রেডক্রিসেন্টের পিছনে) একটি বাসাবাড়ি থেকে তাকে হাতেনাতে ধরেন স্থানীয় জনতা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াসকে থানায় নিয়ে আসে। গতরাত দেড়টার সময় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইলিয়াস পুলিশ হেফাজতেই ছিলেন।
এদিকে ওই নারী এবং স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন ইলিয়াস। গতকাল রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইলিয়াসকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে সুরক্ষা দেয়। অপরদিকে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারীর স্বজন ও ক্ষুব্ধ জনতা থানার গেটে জড়ো হন। তারা থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। একপর্যায়ে থানার গেট ঝাকাঝাকি করলে পুলিশ সদস্যরা ওই নারীসহ তার স্বজনদের ওপর মারমুখী আচরণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকার ইমি মটরসের স্বত্বাধিকারী ইলিয়াস হোসেন প্রায়ই গুলশানপাড়ার ওই নারীর বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। তারা শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হতেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ওৎ পেতে থাকেন। গতকাল রাতে ইলিয়াস ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও নারীর স্বজনরা তাকে পাকড়াও করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াসকে থানা হেফাজতে নেয়।
এরপরই সদর থানার গেটে এসে জড়ো হয় ক্ষুব্ধ জনতা ও নারীর স্বজনরা। তারাও থানার মধ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশি বাধার মুখে পড়লে জোরপূর্বক গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ মারমুখী আচরণ করে। অভিযোগ উঠেছে, এসময় ওই নারীর এক স্বজনকে মারধরও করে পুলিশ সদস্যরা।
ওই নারীর স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো ইলিয়াস। বিয়ের কথা বললেই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। কৌশলে এতদিন ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ইলিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই নারী চাইলে মামলা দায়ের করতে পারেন। অভিযুক্ত ইলিয়াসকে থানা কাস্টাডিতে রাখা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা টায়ার ইলিয়াস

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪


চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়া এলাকা থেকে বিউটিশিয়ান এক নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পাকড়াও হয়েছেন দৌলতদিয়াড়ের টায়ার ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানপাড়ার (রেডক্রিসেন্টের পিছনে) একটি বাসাবাড়ি থেকে তাকে হাতেনাতে ধরেন স্থানীয় জনতা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াসকে থানায় নিয়ে আসে। গতরাত দেড়টার সময় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইলিয়াস পুলিশ হেফাজতেই ছিলেন।
এদিকে ওই নারী এবং স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন ইলিয়াস। গতকাল রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইলিয়াসকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে সুরক্ষা দেয়। অপরদিকে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারীর স্বজন ও ক্ষুব্ধ জনতা থানার গেটে জড়ো হন। তারা থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। একপর্যায়ে থানার গেট ঝাকাঝাকি করলে পুলিশ সদস্যরা ওই নারীসহ তার স্বজনদের ওপর মারমুখী আচরণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকার ইমি মটরসের স্বত্বাধিকারী ইলিয়াস হোসেন প্রায়ই গুলশানপাড়ার ওই নারীর বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। তারা শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হতেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ওৎ পেতে থাকেন। গতকাল রাতে ইলিয়াস ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও নারীর স্বজনরা তাকে পাকড়াও করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াসকে থানা হেফাজতে নেয়।
এরপরই সদর থানার গেটে এসে জড়ো হয় ক্ষুব্ধ জনতা ও নারীর স্বজনরা। তারাও থানার মধ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশি বাধার মুখে পড়লে জোরপূর্বক গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ মারমুখী আচরণ করে। অভিযোগ উঠেছে, এসময় ওই নারীর এক স্বজনকে মারধরও করে পুলিশ সদস্যরা।
ওই নারীর স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো ইলিয়াস। বিয়ের কথা বললেই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। কৌশলে এতদিন ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ইলিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই নারী চাইলে মামলা দায়ের করতে পারেন। অভিযুক্ত ইলিয়াসকে থানা কাস্টাডিতে রাখা হয়েছে।