ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

চেনা রূপে ফিরছে চুয়াডাঙ্গা, স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে কারফিউ জারির আজ এক সপ্তাহ। আজকেই চুয়াডাঙ্গাবাসী পাচ্ছে সর্বোচ্চ শিথিল সময়। আজ শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এর আগে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এই শিথিল সময়ে চুয়াডাঙ্গা আবার আগের রূপে ফিরেছে। কারফিউ জারির এক সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোথাও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবেই জেলাবাসী কারফিউ ও সান্ধ্য আইন পালন করছেন।

কারফিউ শিথিলের সময় বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও ভোগান্তি কমতে শুরু করেছে। মোবাইল ডাটা বাদে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছেড়ে দেয়ায় অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো না চলায় অনেকটা ভোগান্তি আছে। তবুও জেলার সচেতন মহলের মানুষ বলছেন, পুরোপুরি কারফিউ তুলে দিলে পরিস্থিতি ভালো হবে। সাধারণ মানুষ বিনা উদ্বেগে নিজ নিজ কাজ করতে পারবেন।

সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, কারফিউ শিথিল থাকলেও শহরের শহিদ হাসান চত্বর, কোর্ট মোড়, সাহিত্য পরিষদ চত্বর, পৌরসভা চত্বর, একাডেমি মোড়, জাফরপুর, ভিমরুল্লাহ, নতুন বাজার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ চত্বরসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। প্রত্যেকদিনের মতো বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এছাড়াও আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, দর্শনা, জীবননগরসহ জেলার বড় বড় হাট-বাজারেও একই অবস্থা ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, কারফিউ শিথিলের সময় সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহরের রূপ আগের মতো প্রায় স্বাভাবিক হয়েছে। শহরের শহিদ আবুল কাশেম সড়ক, কোর্ট মোড়, কেদারগঞ্জ নতুন বাজার, রেল বাজার, শহিদ আলাউল ইসলাম সড়কের বেশিরভাগ দোকানপাট খুলেছে। সাধারণ মানুষ আগের মতো কেনাকাটাও করেছেন। এই সময়ে শহরের বড় বাজার মুদি এবং কাঁচা সবজির দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বড় বাজার থেকে ইজিবাইক, পাখিভ্যান ও লেগুনায় কিছুটা যান চলাচল হয়। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল করলেও চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। অফিস-আদালত সবই চালু ছিল।

রাত ৮টা থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে আবারও কারফিউ চলার ঘোষণা থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কঠোর অবস্থা নেয়। সাধারণ মানুষও আবার নিজ নিজ বাড়িতে ঢুকতে শুরু করেন। বড় বাজার চৌরাস্তার মোড় থেকে শুরু করে শহর পুনরায় প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। এসময় শহরের প্রধান প্রধান সড়কে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ টহল দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। তবে রাত ৯টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আজ সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

চেনা রূপে ফিরছে চুয়াডাঙ্গা, স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু

আপলোড টাইম : ১২:২১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে কারফিউ জারির আজ এক সপ্তাহ। আজকেই চুয়াডাঙ্গাবাসী পাচ্ছে সর্বোচ্চ শিথিল সময়। আজ শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এর আগে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এই শিথিল সময়ে চুয়াডাঙ্গা আবার আগের রূপে ফিরেছে। কারফিউ জারির এক সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোথাও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবেই জেলাবাসী কারফিউ ও সান্ধ্য আইন পালন করছেন।

কারফিউ শিথিলের সময় বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও ভোগান্তি কমতে শুরু করেছে। মোবাইল ডাটা বাদে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছেড়ে দেয়ায় অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো না চলায় অনেকটা ভোগান্তি আছে। তবুও জেলার সচেতন মহলের মানুষ বলছেন, পুরোপুরি কারফিউ তুলে দিলে পরিস্থিতি ভালো হবে। সাধারণ মানুষ বিনা উদ্বেগে নিজ নিজ কাজ করতে পারবেন।

সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, কারফিউ শিথিল থাকলেও শহরের শহিদ হাসান চত্বর, কোর্ট মোড়, সাহিত্য পরিষদ চত্বর, পৌরসভা চত্বর, একাডেমি মোড়, জাফরপুর, ভিমরুল্লাহ, নতুন বাজার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ চত্বরসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। প্রত্যেকদিনের মতো বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এছাড়াও আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, দর্শনা, জীবননগরসহ জেলার বড় বড় হাট-বাজারেও একই অবস্থা ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, কারফিউ শিথিলের সময় সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহরের রূপ আগের মতো প্রায় স্বাভাবিক হয়েছে। শহরের শহিদ আবুল কাশেম সড়ক, কোর্ট মোড়, কেদারগঞ্জ নতুন বাজার, রেল বাজার, শহিদ আলাউল ইসলাম সড়কের বেশিরভাগ দোকানপাট খুলেছে। সাধারণ মানুষ আগের মতো কেনাকাটাও করেছেন। এই সময়ে শহরের বড় বাজার মুদি এবং কাঁচা সবজির দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বড় বাজার থেকে ইজিবাইক, পাখিভ্যান ও লেগুনায় কিছুটা যান চলাচল হয়। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল করলেও চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। অফিস-আদালত সবই চালু ছিল।

রাত ৮টা থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে আবারও কারফিউ চলার ঘোষণা থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কঠোর অবস্থা নেয়। সাধারণ মানুষও আবার নিজ নিজ বাড়িতে ঢুকতে শুরু করেন। বড় বাজার চৌরাস্তার মোড় থেকে শুরু করে শহর পুনরায় প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। এসময় শহরের প্রধান প্রধান সড়কে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ টহল দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। তবে রাত ৯টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।