ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শনা আবাসনে অব্যবস্থাপনায় পড়ে আছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

৪৫টি ঘরের ১০টিতে থাকে না কেউ, ঝুলছে তালা

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে


দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন আবাসনে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৪৫টি ঘরের মধ্যে ১০টিতে তালা ঝুলছে। এই ঘরগুলোতে কেউ থাকে না। গতকাল বৃহস্পতিবার আবাসন ঘুরে দেখা যায়, ২৩ নম্বর আবাসনে ৭টি ঘরে কেউ থাকে না এবং ঘরগুলো তালাবদ্ধ করে রাখা। স্থানীয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও দেখভাল না করায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তালাবদ্ধ ঘরগুলোর মালিক তারিনীপুর গ্রামের হাসিনা বেগম, রহিমা খাতুন, তানজিনা খাতুন, ঠাকুরপুর গ্রামের আরেজান খাতুন, দামুড়হুদা গ্রামের হাসিনা খাতুন, কাদিপুর গ্রামের জিন্না খাতুন, বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মরি খাতুন ও রুদ্রনগর গ্রামের মুক্তা খাতুন। এছাড়া ১২ নম্বর আবাসনে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ফুট্টুরী খাতুন এবং ১০ নম্বর আবাসনে কাদিপুর গ্রামের হালিমা খাতুন ও জয়রামপুর গ্রামের জামেলা খাতুন।

তাদের আবাসনে না থাকা বিষয়ে আবাসন কমিটির সভাপতি ফরহাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন জানান, এরা কেউ উপহারের ঘরে থাকে না। আবার কেউ কেউ ঘর উদ্বোধনের দিনে এসেছে আর কোনো দিন প্রাপ্ত ঘরে তাদের থাকতে দেখা যায়নি। এছাড়া শেফালী খাতুন, আরেজান খাতুন ও রেসমা খাতুনের পরিবারে অন্য কেউ না থাকায় তাদের কেউ ঠিকমত ঘরে বসবাস করে না। সব মিলিয়ে ১০টি ঘর অব্যবহৃত ও তালাবদ্ধ রয়েছে।

এ বিষয় উপজেলা দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। যদি ঘরগুলো অব্যবহৃত ও তালাবদ্ধই থাকে, তাহলে যারা ওই ঘরগুলো পাওয়ার উপযুক্ত, তাদেরকে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমাদের নিকট বেশকিছু দরখাস্তও পড়েছে। আমরা যাচাই-বাঁছাই করে ব্যবস্থা নেব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা আবাসনে অব্যবস্থাপনায় পড়ে আছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

৪৫টি ঘরের ১০টিতে থাকে না কেউ, ঝুলছে তালা

আপলোড টাইম : ১০:৪৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪


দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন আবাসনে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৪৫টি ঘরের মধ্যে ১০টিতে তালা ঝুলছে। এই ঘরগুলোতে কেউ থাকে না। গতকাল বৃহস্পতিবার আবাসন ঘুরে দেখা যায়, ২৩ নম্বর আবাসনে ৭টি ঘরে কেউ থাকে না এবং ঘরগুলো তালাবদ্ধ করে রাখা। স্থানীয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও দেখভাল না করায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তালাবদ্ধ ঘরগুলোর মালিক তারিনীপুর গ্রামের হাসিনা বেগম, রহিমা খাতুন, তানজিনা খাতুন, ঠাকুরপুর গ্রামের আরেজান খাতুন, দামুড়হুদা গ্রামের হাসিনা খাতুন, কাদিপুর গ্রামের জিন্না খাতুন, বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মরি খাতুন ও রুদ্রনগর গ্রামের মুক্তা খাতুন। এছাড়া ১২ নম্বর আবাসনে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ফুট্টুরী খাতুন এবং ১০ নম্বর আবাসনে কাদিপুর গ্রামের হালিমা খাতুন ও জয়রামপুর গ্রামের জামেলা খাতুন।

তাদের আবাসনে না থাকা বিষয়ে আবাসন কমিটির সভাপতি ফরহাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন জানান, এরা কেউ উপহারের ঘরে থাকে না। আবার কেউ কেউ ঘর উদ্বোধনের দিনে এসেছে আর কোনো দিন প্রাপ্ত ঘরে তাদের থাকতে দেখা যায়নি। এছাড়া শেফালী খাতুন, আরেজান খাতুন ও রেসমা খাতুনের পরিবারে অন্য কেউ না থাকায় তাদের কেউ ঠিকমত ঘরে বসবাস করে না। সব মিলিয়ে ১০টি ঘর অব্যবহৃত ও তালাবদ্ধ রয়েছে।

এ বিষয় উপজেলা দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। যদি ঘরগুলো অব্যবহৃত ও তালাবদ্ধই থাকে, তাহলে যারা ওই ঘরগুলো পাওয়ার উপযুক্ত, তাদেরকে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমাদের নিকট বেশকিছু দরখাস্তও পড়েছে। আমরা যাচাই-বাঁছাই করে ব্যবস্থা নেব।’