ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এআইপি সম্মাননা পেলেন চুয়াডাঙ্গার দুই কৃতী সন্তান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সিআইপি সমান মর্যাদাসম্পন্ন এআইপি সম্মাননা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার দুই কৃতী সন্তান। দেশের জনপ্রিয় কৃষিযন্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠান জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সত্ত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ্ ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন রিটন এ বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন। গত রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এদিন কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২২ গুণী ব্যক্তিকে ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’-২০২১ সম্মাননা দেয়া হয়। তাদের মধ্যেই অন্যতম চুয়াডাঙ্গার ওলি উল্লাহ ও রুহুল আমীন রিটন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহিদ এমপি ওলি উল্লাহ্ ও রুহুল আমীন রিটনকে এআইপি কার্ড, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস ও একটি সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করেন। এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এর প্রতিমন্ত্রী সফিকুর রহমান চৌধুরী।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য এআইপি সম্মাননাপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ্ জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, ‘এই সম্মাননা অর্জনে অবদান আমার একার নয়, যারা এই সম্মাননা অর্জনে সহযোগিতা করছে, যাদের কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর ফার্ম মেশিনারী বিভাগ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর ফার্ম মেশিনারী বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিমিট বাংলাদেশ, আইডি বাংলাদেশ, জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল স্তরের সাধারণ কৃষক ভাইরা এর অবদান রেখেছে। তাই এই অবদান চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সকলের। এই পুরস্কার পাওয়াতে যে আনন্দিত হয়েছি, পুরস্কারের পাশাপাশি এ দায়িত্ব আমি যেন পরিপূর্ণ পালন করতে পারি, এ জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি, আল্লাহ পাক যেন নেস্তদায়িত্ব পরিপূর্ণ পালন করার তৌফিক দান করে।
ফলচাষের জন্য এআইপি সম্মননাপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গার গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন রিটন জীবননগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের কৃতী সন্তান। ২০০৩ সাল থেকে তিনি কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করছেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি চাষাবাদে নিবিড়ভাবে যুক্ত। বর্তমানে ১১০ বিঘার ওপরে চাষ আছে। এর মধ্যে ৬০ বিঘা ড্রাগন, পেয়ারা ২৫ বিঘা, শরিফা ৬ বিঘা, মাল্টা ১৫ বিঘা, স্টবেরি ৪০ বিঘা ও আঙ্গুর ১২ বিঘা। ইতোমধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন থেকে পুরষ্কৃত হয়েছেন তিনি। এবারেই প্রথম রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা এআইপি হলেন তিনি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘আমি চাষের সাথে আছি। নিজে চেষ্টা করি, এলাকায় অন্যদের সহযোগিতাও করি। চাষের ক্ষেত্রে যেকোনো পরামর্শ আমার এলাকায় কেউ চাইলে আমি প্রদান করি। আমি কৃতজ্ঞ এ ধরনের সম্মান আমাকে দেওয়ায়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ চুয়াডাঙ্গাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক দ্বিতিয়বারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি/অওচ)’ সম্মাননা প্রদান করা হলো। ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তগণ ব্যবসায়ীদের সম্মননা সিআইপিদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। কৃষিক্ষেত্রে সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি-বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এআইপি সম্মাননা পেলেন চুয়াডাঙ্গার দুই কৃতী সন্তান

আপলোড টাইম : ০৮:৫০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সিআইপি সমান মর্যাদাসম্পন্ন এআইপি সম্মাননা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার দুই কৃতী সন্তান। দেশের জনপ্রিয় কৃষিযন্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠান জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সত্ত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ্ ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন রিটন এ বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন। গত রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এদিন কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২২ গুণী ব্যক্তিকে ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’-২০২১ সম্মাননা দেয়া হয়। তাদের মধ্যেই অন্যতম চুয়াডাঙ্গার ওলি উল্লাহ ও রুহুল আমীন রিটন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহিদ এমপি ওলি উল্লাহ্ ও রুহুল আমীন রিটনকে এআইপি কার্ড, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস ও একটি সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করেন। এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এর প্রতিমন্ত্রী সফিকুর রহমান চৌধুরী।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য এআইপি সম্মাননাপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ্ জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, ‘এই সম্মাননা অর্জনে অবদান আমার একার নয়, যারা এই সম্মাননা অর্জনে সহযোগিতা করছে, যাদের কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর ফার্ম মেশিনারী বিভাগ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর ফার্ম মেশিনারী বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিমিট বাংলাদেশ, আইডি বাংলাদেশ, জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল স্তরের সাধারণ কৃষক ভাইরা এর অবদান রেখেছে। তাই এই অবদান চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সকলের। এই পুরস্কার পাওয়াতে যে আনন্দিত হয়েছি, পুরস্কারের পাশাপাশি এ দায়িত্ব আমি যেন পরিপূর্ণ পালন করতে পারি, এ জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি, আল্লাহ পাক যেন নেস্তদায়িত্ব পরিপূর্ণ পালন করার তৌফিক দান করে।
ফলচাষের জন্য এআইপি সম্মননাপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গার গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন রিটন জীবননগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের কৃতী সন্তান। ২০০৩ সাল থেকে তিনি কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করছেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি চাষাবাদে নিবিড়ভাবে যুক্ত। বর্তমানে ১১০ বিঘার ওপরে চাষ আছে। এর মধ্যে ৬০ বিঘা ড্রাগন, পেয়ারা ২৫ বিঘা, শরিফা ৬ বিঘা, মাল্টা ১৫ বিঘা, স্টবেরি ৪০ বিঘা ও আঙ্গুর ১২ বিঘা। ইতোমধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন থেকে পুরষ্কৃত হয়েছেন তিনি। এবারেই প্রথম রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা এআইপি হলেন তিনি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘আমি চাষের সাথে আছি। নিজে চেষ্টা করি, এলাকায় অন্যদের সহযোগিতাও করি। চাষের ক্ষেত্রে যেকোনো পরামর্শ আমার এলাকায় কেউ চাইলে আমি প্রদান করি। আমি কৃতজ্ঞ এ ধরনের সম্মান আমাকে দেওয়ায়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ চুয়াডাঙ্গাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক দ্বিতিয়বারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি/অওচ)’ সম্মাননা প্রদান করা হলো। ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তগণ ব্যবসায়ীদের সম্মননা সিআইপিদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। কৃষিক্ষেত্রে সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি-বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।