জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন এবং উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানের ওপর হামলাকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল চারটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এই আল্টিমেটাম দেয় জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগ ও জীবননগর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশন। জীবননগর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেকেন্দার আলী মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৮ মে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ২৮ জুন মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর একই কায়দায় হামলা করা হয়। বর্তমানে তাঁরা দুজনই ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আব্দুল হান্নানের ওপর এক মাস আগে হামলা করা হলেও পুলিশ কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আবার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর দুদিন আগে হামলা করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে আমরা শঙ্কিত। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সম্প্রতি জীবননগর উপজেলার আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। শহরের অলিতে-গলিতে মাদকের আনাগোনা, চুরি, ছিনতাই, মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বহুগুনে বেড়ে গেছে। এসব কারণে জীবননগর উপজেলার জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক, হতাশা বিরাজ করছে। আমরাও আতঙ্কের মধ্যে থাকি, কখন আমাদের ওপর হামলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দুই চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হলে উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সাথে নিয়ে মানববন্ধন, মৌন মিছিল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেনুকা আক্তার রিতা, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেকেন্দার আলী, বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার শিপলু, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম মুক্তার প্রমুখ।