ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিতুদহে চিত্রা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

হারাচ্ছে চিত্রা নদীর ঐতিহ্য, হুমকির মুখে বাড়িঘর

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারি পাড়ার চিত্রা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা নয়ন আহমেদের বিরুদ্ধে। তিনি চিত্রা নদীতে বালু উত্তোলনের জন্য অবৈধ ড্রেজার মেশিন নামিয়েছেন। এতে চিত্রা নদী হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য। বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চিত্রা পাড়ের বাড়ি এবং জমি পড়েছে হুমকির মুখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারি চিত্রা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন নামিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা নয়ন আহমেদ। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে আবাসনে বালু দেওয়ার নাম করে চিত্রা নদীতে বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন নামিয়েছেন তিনি। এর আগে তিতুদহে চিত্রা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে পাড়ের বাড়ি-ঘর এবং জমি পড়েছে হুমকির মুখে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে স্থানীয় লোকজন তাদের কাছে অসহায়।

যুবলীগ নেতা নয়ন আহমেদের কাছে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবাসনে বালু দেওয়ার জন্য নদীতে ড্রেজার মেশিন নামানো হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নাম উল্লেখ করে বলেন, মিয়া ভাই বিষয়টি জানে। পরে তিনি সাংবাদিককে সরাসরি সাক্ষাৎ করার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, সরকারি কোনো কাজের বাজেট এখন পর্যন্ত দেয়নি সরকার। বালু উত্তোলনের বিষয়টি কিছু যুবলীল নেতাদের স্বার্থ হাসিল ছাড়া অন্য কিছু না।

তিতুদহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। যার অনুমোদন কেউ পায়নি। সুতরাং যারা বালু তোলার পাঁয়তারা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরার সাথে মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মীদের কেউ আমার নাম ভাঙিয়ে থাকতে পারেন। তবে বালি উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানি না। বালি উত্তোলন করা বা তার চেষ্টা হয়ে থাকলে আমি নিষেধ করে দেব, যেন কেউ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন না করেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তিতুদহে চিত্রা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

হারাচ্ছে চিত্রা নদীর ঐতিহ্য, হুমকির মুখে বাড়িঘর

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারি পাড়ার চিত্রা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা নয়ন আহমেদের বিরুদ্ধে। তিনি চিত্রা নদীতে বালু উত্তোলনের জন্য অবৈধ ড্রেজার মেশিন নামিয়েছেন। এতে চিত্রা নদী হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য। বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চিত্রা পাড়ের বাড়ি এবং জমি পড়েছে হুমকির মুখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারি চিত্রা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন নামিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা নয়ন আহমেদ। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে আবাসনে বালু দেওয়ার নাম করে চিত্রা নদীতে বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন নামিয়েছেন তিনি। এর আগে তিতুদহে চিত্রা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে পাড়ের বাড়ি-ঘর এবং জমি পড়েছে হুমকির মুখে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে স্থানীয় লোকজন তাদের কাছে অসহায়।

যুবলীগ নেতা নয়ন আহমেদের কাছে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবাসনে বালু দেওয়ার জন্য নদীতে ড্রেজার মেশিন নামানো হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নাম উল্লেখ করে বলেন, মিয়া ভাই বিষয়টি জানে। পরে তিনি সাংবাদিককে সরাসরি সাক্ষাৎ করার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, সরকারি কোনো কাজের বাজেট এখন পর্যন্ত দেয়নি সরকার। বালু উত্তোলনের বিষয়টি কিছু যুবলীল নেতাদের স্বার্থ হাসিল ছাড়া অন্য কিছু না।

তিতুদহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। যার অনুমোদন কেউ পায়নি। সুতরাং যারা বালু তোলার পাঁয়তারা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরার সাথে মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মীদের কেউ আমার নাম ভাঙিয়ে থাকতে পারেন। তবে বালি উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানি না। বালি উত্তোলন করা বা তার চেষ্টা হয়ে থাকলে আমি নিষেধ করে দেব, যেন কেউ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন না করেন।’