ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার গ্যাস বাবুকে নিয়ে ঝিনাইদহের

দুই পুকুরে ডিবির নিষ্ফল অভিযান, উদ্ধার হয়নি মোবাইল

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ:
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের পুকুরে ফেলা গ্যাস বাবুর তিনটি মোবাইলে ঝুলছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টুসহ অনেক প্রভাবশালী নেতার ভাগ্য। কিন্তু গতকাল বুধবার দুই ঘণ্টার অভিযানে সেই মোবাইল উদ্ধার হয়নি। ১১ জন জেলে ও ৩ জন সুইপার নামিয়ে দুটি পুকুর তন্ন তন্ন করেও তিনটি মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি জেলেরা।

ফলে ডিবি পুলিশের এই অভিযান অনেকটাই নিষ্ফল হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের খোকা চেয়ারম্যানের পেট্রোল পাম্পের পেছনের পুকুরে অভিযান চালানো হয়। ১১ জন জেলে আনা হয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাদুড়গাছা গ্রাম থেকে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ঝিনাইদহ পৌরসভার তিনজন সুইপার। এই ১৪ জন মিলে পুকুরে নেমে মোবাইল খোঁজা শুরু করেন। এসময় পুকুরের পাশে, ভবনের ছাদে ও বিভিন্ন গাছে হাজারো উৎসুক মানুষ এই অভিযান দেখার জন্য ভিড় জমায়।

অভিযানের সময় মামলার আসামি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু পুকুরের দক্ষিণ পাশে পিপীলিকা মার্কের ওপরে পুলিশ বেষ্টিত অবস্থায় বসেছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলখানা থেকে এসে মোবাইলটি কোথায় ফেলেছেন, তা দেখিয়ে দেন। দুপুর ১২টার দিকে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ হেলিকপ্টারযোগে ঝিনাইদহ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি সোজা অভিযান চলা পুকুরে চলে যান। তিনি প্রায় ১৫ মিনিট অভিযান স্বচক্ষে দেখেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পায়রা চত্বরে পৌঁছান।

এদিকে, পুকুরে অভিযানের সময় বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জেলে ও সুইপাররা। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ ও পানির নিচে ভাঙা কাঁচের জিনিস থাকায় তারা ২৫ মিনিটের মতো মোবাইল খুঁজে ওপরে উঠে পড়েন। এসময় শৈলেন বিশ^াস ও সরোয়ার হোসেন নামে দুই জেলে জানান, পুকুরের পানি অত্যান্ত বিষাক্ত। নামার পরপরই তাদের শরীর চুলকানো শুরু হয়। এ কারণে পানির মধ্যে তারা বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ফলে মোবাইল উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এরপর তারা ঝিনাইদহ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামের পাশের পুকুরে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় জাল টেনে মোবাইল খোঁজা হয়। কিন্তু মোবাইলের কোনো হদিস মেলেনি। মোবাইল উদ্ধারের খবরে সেখানেও শতশত উৎসুক মানুষ পুকুর পাড়ে সমবেত হন।

একপর্যায়ে অভিযান সমাপ্ত করে চলে আসেন ডিবি ও পুলিশের অভিযানিক দল। ঝিনাইদহের দুই পুকুরে ডিবির অভিযান নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ঝিনাইদহের গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমরা আলামত উদ্ধারে ঝিনাইদহের দুটি পুকুরে অভিযান চালাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি মোবাইল তিনটি উদ্ধারের। এই মোবাইলে ডিজিটাল এভিডেন্স রয়েছে। মোবাইলগুলো উদ্ধার হলে মামলাটি আরও সমৃদ্ধ হতো।’

তিনি বলেন, শিমুল ভুঁইয়ার জবানবন্দিতে ঝিনাইদহে কাজী কামাল বাবুর নাম উঠে এসেছে। তিনি মোবাইলে কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন, ম্যাসেজে ছবি আদান-প্রদান করেছেন, তার প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া বাবু নিজেই আদালতে মোবাইল তিনটি পুকুরে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন। ফলে সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারায় পারিপাশির্^ক সাক্ষ্য হিসেবে যা বলা হয়েছে, সেটার জন্যই ঝিনাইদহে গ্যাস বাবুকে নিয়ে আসা।

ডিবি প্রধান হারুন আরও বলেন, মোটা দাগে বলা যায় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাই বাংলাদেশি। আমরা ইতিমধ্যে এই কিলিং মিশনের ৭ জনের মধ্যে আমরা ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। ফয়সাল ও মুস্তাফিজ নামে দুজন পলাতক রয়েছে। তারা নদী, সাগর, খাল আবার কখনো পাহাড়ে অবস্থান করছে বলে প্রযুক্তি খাটিয়ে জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, ডিবির একটি শক্তিশালী টিম খাগড়াছড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। ঝিনাইদহ থেকে আমি সেখানে যোগদান করব।

তিনি বলেন, পলাতক ফয়সাল ও মোস্তাফিজের কাছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে অনেক কিছু জানা যাবে। ডিবি প্রধান বলেন, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ সাগরে বা মাটির নিচে যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো। কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা হবে না এবং অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল সংসদ সদস্য খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান। তারা দেশে ফিরে আসেন ১৯ মে। এই দুজনকে হন্য হয়ে খোঁজ করছে ডিবি। অভিযানের সময় ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আযম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া ইমরান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো. শাহিন উদ্দীনসহ ডিবি, এনএসআই ও ডিএসবির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আনা হয় গ্যাস বাবুকে। গত সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে ঝিনাইদহে অভিযানের আদেশ দেন। পাশাপাশি বাবুর ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনার আদেশ দেওয়া হয়।

আদেশ মোতাবেক গত মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে আলামত নষ্টের জন্য দুটি পুকুরে ফেলে দেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার দুটি পুকুরে অভিযান চালায় ঢাকা ডিবি ও ঝিনাইদহ পুলিশের যৌথ অভিযানিক টিম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার গ্যাস বাবুকে নিয়ে ঝিনাইদহের

দুই পুকুরে ডিবির নিষ্ফল অভিযান, উদ্ধার হয়নি মোবাইল

আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

ঝিনাইদহের পুকুরে ফেলা গ্যাস বাবুর তিনটি মোবাইলে ঝুলছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টুসহ অনেক প্রভাবশালী নেতার ভাগ্য। কিন্তু গতকাল বুধবার দুই ঘণ্টার অভিযানে সেই মোবাইল উদ্ধার হয়নি। ১১ জন জেলে ও ৩ জন সুইপার নামিয়ে দুটি পুকুর তন্ন তন্ন করেও তিনটি মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি জেলেরা।

ফলে ডিবি পুলিশের এই অভিযান অনেকটাই নিষ্ফল হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের খোকা চেয়ারম্যানের পেট্রোল পাম্পের পেছনের পুকুরে অভিযান চালানো হয়। ১১ জন জেলে আনা হয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাদুড়গাছা গ্রাম থেকে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ঝিনাইদহ পৌরসভার তিনজন সুইপার। এই ১৪ জন মিলে পুকুরে নেমে মোবাইল খোঁজা শুরু করেন। এসময় পুকুরের পাশে, ভবনের ছাদে ও বিভিন্ন গাছে হাজারো উৎসুক মানুষ এই অভিযান দেখার জন্য ভিড় জমায়।

অভিযানের সময় মামলার আসামি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু পুকুরের দক্ষিণ পাশে পিপীলিকা মার্কের ওপরে পুলিশ বেষ্টিত অবস্থায় বসেছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলখানা থেকে এসে মোবাইলটি কোথায় ফেলেছেন, তা দেখিয়ে দেন। দুপুর ১২টার দিকে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ হেলিকপ্টারযোগে ঝিনাইদহ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি সোজা অভিযান চলা পুকুরে চলে যান। তিনি প্রায় ১৫ মিনিট অভিযান স্বচক্ষে দেখেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পায়রা চত্বরে পৌঁছান।

এদিকে, পুকুরে অভিযানের সময় বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জেলে ও সুইপাররা। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ ও পানির নিচে ভাঙা কাঁচের জিনিস থাকায় তারা ২৫ মিনিটের মতো মোবাইল খুঁজে ওপরে উঠে পড়েন। এসময় শৈলেন বিশ^াস ও সরোয়ার হোসেন নামে দুই জেলে জানান, পুকুরের পানি অত্যান্ত বিষাক্ত। নামার পরপরই তাদের শরীর চুলকানো শুরু হয়। এ কারণে পানির মধ্যে তারা বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ফলে মোবাইল উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এরপর তারা ঝিনাইদহ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামের পাশের পুকুরে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় জাল টেনে মোবাইল খোঁজা হয়। কিন্তু মোবাইলের কোনো হদিস মেলেনি। মোবাইল উদ্ধারের খবরে সেখানেও শতশত উৎসুক মানুষ পুকুর পাড়ে সমবেত হন।

একপর্যায়ে অভিযান সমাপ্ত করে চলে আসেন ডিবি ও পুলিশের অভিযানিক দল। ঝিনাইদহের দুই পুকুরে ডিবির অভিযান নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ঝিনাইদহের গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমরা আলামত উদ্ধারে ঝিনাইদহের দুটি পুকুরে অভিযান চালাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি মোবাইল তিনটি উদ্ধারের। এই মোবাইলে ডিজিটাল এভিডেন্স রয়েছে। মোবাইলগুলো উদ্ধার হলে মামলাটি আরও সমৃদ্ধ হতো।’

তিনি বলেন, শিমুল ভুঁইয়ার জবানবন্দিতে ঝিনাইদহে কাজী কামাল বাবুর নাম উঠে এসেছে। তিনি মোবাইলে কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন, ম্যাসেজে ছবি আদান-প্রদান করেছেন, তার প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া বাবু নিজেই আদালতে মোবাইল তিনটি পুকুরে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন। ফলে সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারায় পারিপাশির্^ক সাক্ষ্য হিসেবে যা বলা হয়েছে, সেটার জন্যই ঝিনাইদহে গ্যাস বাবুকে নিয়ে আসা।

ডিবি প্রধান হারুন আরও বলেন, মোটা দাগে বলা যায় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাই বাংলাদেশি। আমরা ইতিমধ্যে এই কিলিং মিশনের ৭ জনের মধ্যে আমরা ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। ফয়সাল ও মুস্তাফিজ নামে দুজন পলাতক রয়েছে। তারা নদী, সাগর, খাল আবার কখনো পাহাড়ে অবস্থান করছে বলে প্রযুক্তি খাটিয়ে জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, ডিবির একটি শক্তিশালী টিম খাগড়াছড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। ঝিনাইদহ থেকে আমি সেখানে যোগদান করব।

তিনি বলেন, পলাতক ফয়সাল ও মোস্তাফিজের কাছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে অনেক কিছু জানা যাবে। ডিবি প্রধান বলেন, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ সাগরে বা মাটির নিচে যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো। কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা হবে না এবং অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল সংসদ সদস্য খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান। তারা দেশে ফিরে আসেন ১৯ মে। এই দুজনকে হন্য হয়ে খোঁজ করছে ডিবি। অভিযানের সময় ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আযম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া ইমরান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো. শাহিন উদ্দীনসহ ডিবি, এনএসআই ও ডিএসবির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আনা হয় গ্যাস বাবুকে। গত সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে ঝিনাইদহে অভিযানের আদেশ দেন। পাশাপাশি বাবুর ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনার আদেশ দেওয়া হয়।

আদেশ মোতাবেক গত মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে আলামত নষ্টের জন্য দুটি পুকুরে ফেলে দেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার দুটি পুকুরে অভিযান চালায় ঢাকা ডিবি ও ঝিনাইদহ পুলিশের যৌথ অভিযানিক টিম।