ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার, মালামাল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় আন্তঃজেলা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া মালামাল এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার শিবনগর গ্রামের আজগর আলী (৩৫), হুদাপাড়া এলাকার নায়েব আলী (২৬), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তাজপুর গ্রামের সেলিম (৩৫), কুমারখালী থানার বানিয়াপাড়া বারাদী গ্রামের বাবু (৫৫), কুষ্টিয়া সদরের রঞ্জু আহমেদ (৪২), কুমারখালী থানার বারাদী গ্রামের সোহেল (৩২) এবং নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার শ্যামনগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৭)।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান জানান, গত ২৮ মে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগে জানায় অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা চারুলিয়া গ্রামের দক্ষিণ মাঠে বাদীর গভীর সেচ প্রকল্পের জমির পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক পিলার হতে ৩টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া গত ৬ই জুন আরও একজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত বুধবার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আজগর আলী নামে একজনকে। তার স্বীকারোক্তি দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সেলিম, বাবু ও রফিকুল ইসলামকে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয় রঞ্জু ও সোহেল রানাকে। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের তামার কয়েল উদ্ধার করা হয়। পুনরায় দামুড়হুদা থেকে নায়েব আলী নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ট্রান্সফরমারের মধ্যে থাকা তামার তার/কয়েল চুরি করে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে থাকে। কুষ্টিয়া থেকে পরবর্তীতে ঢাকায় বিক্রয় করে। তামার তার/কয়েল রিপেয়ারিং করে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও ফ্যানসহ বিভিন্ন তামার জিনিস তৈরি হয়। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে (সাইজ অনুযায়ী) প্রায় ১৫ লিটার তেল এবং ৬-৭ কেজি তামার তার থাকে। মামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলি যাচাই-বাছাই অব্যহত আছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির এবং ডিআইও-১ আবু জিহাদ ফকরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার, মালামাল উদ্ধার

আপলোড টাইম : ১২:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় আন্তঃজেলা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া মালামাল এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার শিবনগর গ্রামের আজগর আলী (৩৫), হুদাপাড়া এলাকার নায়েব আলী (২৬), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তাজপুর গ্রামের সেলিম (৩৫), কুমারখালী থানার বানিয়াপাড়া বারাদী গ্রামের বাবু (৫৫), কুষ্টিয়া সদরের রঞ্জু আহমেদ (৪২), কুমারখালী থানার বারাদী গ্রামের সোহেল (৩২) এবং নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার শ্যামনগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৭)।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান জানান, গত ২৮ মে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগে জানায় অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা চারুলিয়া গ্রামের দক্ষিণ মাঠে বাদীর গভীর সেচ প্রকল্পের জমির পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক পিলার হতে ৩টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া গত ৬ই জুন আরও একজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত বুধবার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আজগর আলী নামে একজনকে। তার স্বীকারোক্তি দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সেলিম, বাবু ও রফিকুল ইসলামকে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয় রঞ্জু ও সোহেল রানাকে। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের তামার কয়েল উদ্ধার করা হয়। পুনরায় দামুড়হুদা থেকে নায়েব আলী নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ট্রান্সফরমারের মধ্যে থাকা তামার তার/কয়েল চুরি করে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে থাকে। কুষ্টিয়া থেকে পরবর্তীতে ঢাকায় বিক্রয় করে। তামার তার/কয়েল রিপেয়ারিং করে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও ফ্যানসহ বিভিন্ন তামার জিনিস তৈরি হয়। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে (সাইজ অনুযায়ী) প্রায় ১৫ লিটার তেল এবং ৬-৭ কেজি তামার তার থাকে। মামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলি যাচাই-বাছাই অব্যহত আছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির এবং ডিআইও-১ আবু জিহাদ ফকরুল ইসলাম খান প্রমুখ।