ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় প্রশংসা কুড়াচ্ছে ভূমি সেবা স্টল

দ্রুত সমস্যার সমাধান, সেবা গ্রহীতাদের সন্তোষ প্রকাশ

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • / ৬৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ভূমিসেবা সপ্তাহের স্টল থেকে দ্রুত সময়ে সেবা পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সন্তুষ্টি এবং প্রশংসা বেড়েছে। সেবা প্রক্রিয়ার দ্রুততা ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিসেবার মান বৃদ্ধি করেছে বলে সেবা গ্রহীতারা জানিয়েছেন। কোনো বিড়ম্বনা ছাড়ায় অনলাইনে সেবা পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এই উন্নত সেবার জন্য জেলা প্রশাসন ও ভূমি কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে গত ৮ জুন থেকে ৭ দিনব্যাপী ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্মার্ট ভূমি সেবা, স্মার্ট নাগরিক’। শতভাগ হয়রানি, ভোগান্তি ছাড়াই সেবা গ্রহীতাদের ভূমির যাবতীয় সেবা প্রদান করায় এর মূল লক্ষ্য। যা চলবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৫০৭টি উপজেলা, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ও পৌর ভূমি অফিসে এ কর্মসূচি চলবে। সারা দেশের ন্যায় গত ৮ জুন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে ৭ দিনব্যাপী ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এর মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সেবাগুলোর মধ্যে ই-নামজারি, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া, মৌজা ম্যাপ, খতিয়ান দেওয়াসহ ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য সেবা দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর ভূমিসেবা স্টল থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সেবা গ্রহীতারা। তাদের মধ্যে পৌর শহরের কোর্টপাড়ার একজন সেবা গ্রহীতা নাজমা খাতুন। তিনি বলেন, ‘গত ৮ জুন ভূমিসেবা সপ্তাহের প্রথম দিন অনলাইনে নাম খারিজের আবেদন করি। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ (গতকাল) সকালে জেলা প্রশাসক চত্বরে ভূমিসেবা স্টলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ হোসেনের নিকট গেলে তিনি অনলাইনে সিরিয়াল নম্বর নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর ভূমি কর্মকর্তা মো. আতিকুল হকের কাছে পৌঁছান। সকলের ব্যবহার অত্যান্ত মার্জিত ছিল। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই অনলাইনে সমস্ত কাগজপত্র যাচাই শেষে দুপুর ১টার মধ্যেই নামজারি খতিয়ান সম্পন্ন হয়। এত দ্রুত সেবা পাবো ভাবিনি।’ এসময় বিড়ম্বনা ছাড়ায় দ্রুত সেবা পেয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় প্রশংসা কুড়াচ্ছে ভূমি সেবা স্টল

দ্রুত সমস্যার সমাধান, সেবা গ্রহীতাদের সন্তোষ প্রকাশ

আপলোড টাইম : ০৮:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ভূমিসেবা সপ্তাহের স্টল থেকে দ্রুত সময়ে সেবা পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সন্তুষ্টি এবং প্রশংসা বেড়েছে। সেবা প্রক্রিয়ার দ্রুততা ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিসেবার মান বৃদ্ধি করেছে বলে সেবা গ্রহীতারা জানিয়েছেন। কোনো বিড়ম্বনা ছাড়ায় অনলাইনে সেবা পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এই উন্নত সেবার জন্য জেলা প্রশাসন ও ভূমি কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে গত ৮ জুন থেকে ৭ দিনব্যাপী ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্মার্ট ভূমি সেবা, স্মার্ট নাগরিক’। শতভাগ হয়রানি, ভোগান্তি ছাড়াই সেবা গ্রহীতাদের ভূমির যাবতীয় সেবা প্রদান করায় এর মূল লক্ষ্য। যা চলবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৫০৭টি উপজেলা, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ও পৌর ভূমি অফিসে এ কর্মসূচি চলবে। সারা দেশের ন্যায় গত ৮ জুন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে ৭ দিনব্যাপী ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এর মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সেবাগুলোর মধ্যে ই-নামজারি, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া, মৌজা ম্যাপ, খতিয়ান দেওয়াসহ ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য সেবা দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর ভূমিসেবা স্টল থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সেবা গ্রহীতারা। তাদের মধ্যে পৌর শহরের কোর্টপাড়ার একজন সেবা গ্রহীতা নাজমা খাতুন। তিনি বলেন, ‘গত ৮ জুন ভূমিসেবা সপ্তাহের প্রথম দিন অনলাইনে নাম খারিজের আবেদন করি। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ (গতকাল) সকালে জেলা প্রশাসক চত্বরে ভূমিসেবা স্টলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ হোসেনের নিকট গেলে তিনি অনলাইনে সিরিয়াল নম্বর নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর ভূমি কর্মকর্তা মো. আতিকুল হকের কাছে পৌঁছান। সকলের ব্যবহার অত্যান্ত মার্জিত ছিল। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই অনলাইনে সমস্ত কাগজপত্র যাচাই শেষে দুপুর ১টার মধ্যেই নামজারি খতিয়ান সম্পন্ন হয়। এত দ্রুত সেবা পাবো ভাবিনি।’ এসময় বিড়ম্বনা ছাড়ায় দ্রুত সেবা পেয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।