ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপা থানায় হামলার ঘটনায় আসামি ৬ শতাধিক

১৫ জন গ্রেপ্তার, পুরুষ শূন্য তিন গ্রাম

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৩:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে  শৈলকুপা থানার ডিউটি অফিসার এসআই লাল্টু রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ গতকাল সোমবার ভোর পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হামলায় অংশ নেওয়া দুর্বৃত্তরা অধিকাংশ ধাওড়া ও পাশর্^বর্তী গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও মনোহরপুর ইউনিয়নের বিজুলিয়া ও শৈলকুপা  পৌরসভার বাসিন্দারাও এই হামলায় অংশ নেয় বলে ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ওসি আরও জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল সোমবারও দিনব্যাপী ধাওড়াসহ শৈলকুপার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এদিকে পুলিশ অভিযানের ফলে ধাওড়াসহ তিনটি গ্রামের পুরুষ সদস্যরা বাড়িছাড়া হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে দেখা গেছে, ধাওড়া বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় মানুষ চলাচল কম। গ্রামের মধ্যে সুনশান নীরবতা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে ধাওড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক শিকদারকে পুলিশ একটি মারামরি মামলার গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শত শত মানুষ আসামি মোস্তাককে ছাড়াতে শৈলকুপা থানায় হামলা করে।

এসময় হামলাকারীরা বৃষ্টির মতো থানা লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে শটগানের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল  ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় এমপি নায়েব আলী  জোয়ারদার ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর উপস্থিতিতে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আযম থানার ওসি সফিকুল ইসলাম  চৌধুরীকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে থানা থেকে বিতাড়ন করার হুমকি দেন। তার এই হুমকির দুদিন পর থানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শৈলকুপা থানায় হামলার ঘটনায় আসামি ৬ শতাধিক

১৫ জন গ্রেপ্তার, পুরুষ শূন্য তিন গ্রাম

আপলোড টাইম : ০৩:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে  শৈলকুপা থানার ডিউটি অফিসার এসআই লাল্টু রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ গতকাল সোমবার ভোর পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হামলায় অংশ নেওয়া দুর্বৃত্তরা অধিকাংশ ধাওড়া ও পাশর্^বর্তী গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও মনোহরপুর ইউনিয়নের বিজুলিয়া ও শৈলকুপা  পৌরসভার বাসিন্দারাও এই হামলায় অংশ নেয় বলে ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ওসি আরও জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল সোমবারও দিনব্যাপী ধাওড়াসহ শৈলকুপার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এদিকে পুলিশ অভিযানের ফলে ধাওড়াসহ তিনটি গ্রামের পুরুষ সদস্যরা বাড়িছাড়া হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে দেখা গেছে, ধাওড়া বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় মানুষ চলাচল কম। গ্রামের মধ্যে সুনশান নীরবতা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে ধাওড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক শিকদারকে পুলিশ একটি মারামরি মামলার গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শত শত মানুষ আসামি মোস্তাককে ছাড়াতে শৈলকুপা থানায় হামলা করে।

এসময় হামলাকারীরা বৃষ্টির মতো থানা লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে শটগানের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল  ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় এমপি নায়েব আলী  জোয়ারদার ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর উপস্থিতিতে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আযম থানার ওসি সফিকুল ইসলাম  চৌধুরীকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে থানা থেকে বিতাড়ন করার হুমকি দেন। তার এই হুমকির দুদিন পর থানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।