ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে হেনস্তা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুয়োমটো গ্রহণ

জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শককে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পত্র দিয়েছেন। সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনাটিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত উল্লেখ করে তিনি আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যও বলেছেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে কমিশন স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সুয়োমটোর বিষয়বস্তু উল্লেখ করা আছে, ‘রাষ্ট্রের পেশাদার শৃঙ্খলা বাহিনী বাংলাদেশ পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধর এবং হেনস্তা করা বিষয়ক অভিযোগটি অত্যন্ত অনভিপ্রেত। পুলিশ বাহিনীর কতিপয় সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডে দেশে-বিদেশে পুরো বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। উক্ত ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন মর্মে কমিশন মনে করে। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিককে মারধর এবং হেনস্তা করার ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিতকরণ এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন পারিবারিক বিবাদের অভিযোগ মীমাংসা করতে গিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। এসময় বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন শিমুল হোসেনকে মারধর, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে পিকআপ ভ্যানে তোলা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ডিবিসির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিমকেও হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পরদিন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির একমাত্র সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ (পিপিএম-সেবা) তদন্ত কাজ শুরু করেন। ওই দিনই সাংবাদিক নেতারা আলোচনায় বসে পুলিশের এমন আচরণের নিন্দা জ্ঞাপন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে হেনস্তা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুয়োমটো গ্রহণ

জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

আপলোড টাইম : ০৮:২৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শককে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পত্র দিয়েছেন। সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনাটিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত উল্লেখ করে তিনি আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যও বলেছেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে কমিশন স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সুয়োমটোর বিষয়বস্তু উল্লেখ করা আছে, ‘রাষ্ট্রের পেশাদার শৃঙ্খলা বাহিনী বাংলাদেশ পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধর এবং হেনস্তা করা বিষয়ক অভিযোগটি অত্যন্ত অনভিপ্রেত। পুলিশ বাহিনীর কতিপয় সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডে দেশে-বিদেশে পুরো বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। উক্ত ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন মর্মে কমিশন মনে করে। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিককে মারধর এবং হেনস্তা করার ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিতকরণ এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন পারিবারিক বিবাদের অভিযোগ মীমাংসা করতে গিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। এসময় বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন শিমুল হোসেনকে মারধর, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে পিকআপ ভ্যানে তোলা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ডিবিসির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিমকেও হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পরদিন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির একমাত্র সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ (পিপিএম-সেবা) তদন্ত কাজ শুরু করেন। ওই দিনই সাংবাদিক নেতারা আলোচনায় বসে পুলিশের এমন আচরণের নিন্দা জ্ঞাপন করেন।