ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ১১ বছর পর চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন

ব্যবসায়ীদের মধ্যে বইছে নির্বাচনী আমেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘ ১১ বছর পর ব্যবসায়ীদের বৃহৎ সংগঠন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাপক আগ্রহ। গত ১৫ মে নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ আলী। ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আজ বুধবার সকাল ১০টা হতে বেলা ১টা পর্যন্ত নির্বাচনী বোর্ডের নিকট আপত্তি দাখিলের দিন।
চুয়াডাঙ্গ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের হালনাগাদ কাগজপত্র জমাদান সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩ জুন সোমবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে ৬৯৯ জন সাধারণ ও ২৫০ জন সহযোগী ভোটারের তালিকা প্রকাশ করা হয়। খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আজ ৫ জুন বুধবার সকাল ১০টা হতে বেলা ১টা পর্যন্ত নির্বাচনী বোর্ডের নিকট আপত্তি দাখিল করতে হবে। আপত্তি শুনানি ও নিষ্পত্তি ৬ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৯ জুন রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১০ জুন সোমবার থেকে ১২ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। ১৫ জুন শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস সচিবের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ২০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এসময় প্রার্থী সমর্থক প্রস্তাবকারী উপস্থিত পারবেন।
বাছাইকৃত মনোনয়নপত্রের ওপর কারো কোনো আপত্তি থাকলে ২১ জুন শুক্রবার বেলা ৩টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংগঠনের অনুকূলে ৭ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) ফিস জমা দিয়ে লিখিতভাবে আবেদনসহ আপিল বোর্ডের নিকট দাখিল করতে হবে এবং একই দিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ জুন রোববার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং একই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। সবশেষ আগামী ৩ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় চেম্বার ভবনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন গণনা শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরিষদই বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছে। দীর্ঘ ১১ বছর পর এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে এবারের নির্বাচন নিয়ে যেমন শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা, ঠিক তেমনি উৎসব-উদ্দীপনাও আছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। জেলার ব্যবসায়ী নেতারা কে কোন প্যানেলে থাকবেন, তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। ভোটারদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাপক আগ্রহ। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় এবারের নির্বাচনে কিছু নতুন মুখ তথা নতুন নেতৃৃত্বের আশাও করছেন অনেকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের নির্বাচন সংগঠনটির গতিশীলতা বাড়াবে।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা বলছেন, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের পর দুবার তফসিল ঘোষণা করা হলেও হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ায় দুবারই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। মাস খানেক আগে মামলা উইড্রো করা হলে মন্ত্রণালয় ৪ মাস সময় দেয়। তারপর থেকেই শুরু হয় নির্বাচনী প্রস্তুতি। পরবর্তীতে যথাসময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে নির্বাচন এবং আপিল বোর্ড গঠন করে কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩ আগস্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এবারের নির্বাচনে দুটি পূর্ণ প্যানেল হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ব্যবসায়ী নেতাদের দুটো ভাগ ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। দীর্ঘদিনের মামলা-মোকাদ্দমা শেষ হলেও নির্বাচন ব্যবসায়ীদের পক্ষ-বিপক্ষের লড়াই নতুন করে আবার চাঙ্গা করেছে। গুঞ্জনে রয়েছে বর্তমান পরিষদই একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেবে। আর নতুন করে একটি প্যানেলের কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে কারা কোন পক্ষে থাকবেন, সেটা বোঝা যাবে ১৫ জুন মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময়ে।
জেলার অন্যান্য ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলছেন, ব্যবসায়ীদের মাদার সংগঠন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। নিয়মিত সুষ্ঠু নির্বাচেন হলে এই প্রতিষ্ঠানটি চুয়াডাঙ্গায় আরও ভালো করবে। ব্যবসায়ীদের অধিকার আদায়, ন্যায়বিচার তথা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই চিন্তা জেলার সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তারা মনে করেন, ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ণ বৃদ্ধি করবে এবারের দীর্ঘদিন পরের নির্বাচন।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন নির্বাচন নেই। আমাদের ভোট নেই, তো ভোটের কদরও নেই। এবারের নির্বাচন সময় মতো হওয়া উচিত। গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করা উচিত নয়। আমরা আশা করছি, এবারের নির্বাচন আমাদের মূল্যায়ন বাড়াবে।’
শহরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বলেন, ‘সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্সের অনেক চাপ থাকে। এসব বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের খেয়াল রাখতে হয়। আন্দোলন-সংগ্রাম করে নায্য দাবি আদায় করতে হয়। নেতৃত্বে এমন ব্যবসায়ী আসুক, যারা ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা বুঝবে। অন্তত কিছু না বুঝলেও যেন শান্তিতে ব্যবসা করতে পারি, অতিরিক্ত চাপে নিষ্পেষিত না হই, সে দিকগুলো নেতারা দেখুক।’ হাসেম আলী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভোট হচ্ছে, আনন্দের কথা। এতোদিন পর ভোট, আমাদের মধ্যে একটু খুশি খুশি ভাব তো থাকবেই। যারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করবেন, তাদেরকেই আমরা নেতৃত্বে দেখতে চাই।’
প্রায় ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক বলেন, ‘অনেক দিন ভোট হয়নি, তাই তফসিল ঘোষণার পরপরই ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে আছেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। তবে ব্যবসায়ী ভাইদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সজাগ থাকতে হবে। কারণ কোনো কুচক্রি মহল যেন এ নির্বাচন বানচাল করতে না পারে।’ তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছি। আমরাও চাই একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দীর্ঘ ১১ বছর পর চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন

ব্যবসায়ীদের মধ্যে বইছে নির্বাচনী আমেজ

আপলোড টাইম : ১০:৪৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

দীর্ঘ ১১ বছর পর ব্যবসায়ীদের বৃহৎ সংগঠন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাপক আগ্রহ। গত ১৫ মে নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ আলী। ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আজ বুধবার সকাল ১০টা হতে বেলা ১টা পর্যন্ত নির্বাচনী বোর্ডের নিকট আপত্তি দাখিলের দিন।
চুয়াডাঙ্গ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের হালনাগাদ কাগজপত্র জমাদান সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩ জুন সোমবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে ৬৯৯ জন সাধারণ ও ২৫০ জন সহযোগী ভোটারের তালিকা প্রকাশ করা হয়। খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আজ ৫ জুন বুধবার সকাল ১০টা হতে বেলা ১টা পর্যন্ত নির্বাচনী বোর্ডের নিকট আপত্তি দাখিল করতে হবে। আপত্তি শুনানি ও নিষ্পত্তি ৬ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৯ জুন রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১০ জুন সোমবার থেকে ১২ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। ১৫ জুন শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস সচিবের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ২০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এসময় প্রার্থী সমর্থক প্রস্তাবকারী উপস্থিত পারবেন।
বাছাইকৃত মনোনয়নপত্রের ওপর কারো কোনো আপত্তি থাকলে ২১ জুন শুক্রবার বেলা ৩টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংগঠনের অনুকূলে ৭ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) ফিস জমা দিয়ে লিখিতভাবে আবেদনসহ আপিল বোর্ডের নিকট দাখিল করতে হবে এবং একই দিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ জুন রোববার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং একই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। সবশেষ আগামী ৩ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় চেম্বার ভবনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন গণনা শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরিষদই বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছে। দীর্ঘ ১১ বছর পর এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে এবারের নির্বাচন নিয়ে যেমন শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা, ঠিক তেমনি উৎসব-উদ্দীপনাও আছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। জেলার ব্যবসায়ী নেতারা কে কোন প্যানেলে থাকবেন, তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। ভোটারদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাপক আগ্রহ। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় এবারের নির্বাচনে কিছু নতুন মুখ তথা নতুন নেতৃৃত্বের আশাও করছেন অনেকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের নির্বাচন সংগঠনটির গতিশীলতা বাড়াবে।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা বলছেন, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের পর দুবার তফসিল ঘোষণা করা হলেও হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ায় দুবারই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। মাস খানেক আগে মামলা উইড্রো করা হলে মন্ত্রণালয় ৪ মাস সময় দেয়। তারপর থেকেই শুরু হয় নির্বাচনী প্রস্তুতি। পরবর্তীতে যথাসময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে নির্বাচন এবং আপিল বোর্ড গঠন করে কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩ আগস্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এবারের নির্বাচনে দুটি পূর্ণ প্যানেল হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ব্যবসায়ী নেতাদের দুটো ভাগ ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। দীর্ঘদিনের মামলা-মোকাদ্দমা শেষ হলেও নির্বাচন ব্যবসায়ীদের পক্ষ-বিপক্ষের লড়াই নতুন করে আবার চাঙ্গা করেছে। গুঞ্জনে রয়েছে বর্তমান পরিষদই একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেবে। আর নতুন করে একটি প্যানেলের কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে কারা কোন পক্ষে থাকবেন, সেটা বোঝা যাবে ১৫ জুন মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময়ে।
জেলার অন্যান্য ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলছেন, ব্যবসায়ীদের মাদার সংগঠন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। নিয়মিত সুষ্ঠু নির্বাচেন হলে এই প্রতিষ্ঠানটি চুয়াডাঙ্গায় আরও ভালো করবে। ব্যবসায়ীদের অধিকার আদায়, ন্যায়বিচার তথা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই চিন্তা জেলার সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তারা মনে করেন, ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ণ বৃদ্ধি করবে এবারের দীর্ঘদিন পরের নির্বাচন।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন নির্বাচন নেই। আমাদের ভোট নেই, তো ভোটের কদরও নেই। এবারের নির্বাচন সময় মতো হওয়া উচিত। গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করা উচিত নয়। আমরা আশা করছি, এবারের নির্বাচন আমাদের মূল্যায়ন বাড়াবে।’
শহরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বলেন, ‘সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্সের অনেক চাপ থাকে। এসব বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের খেয়াল রাখতে হয়। আন্দোলন-সংগ্রাম করে নায্য দাবি আদায় করতে হয়। নেতৃত্বে এমন ব্যবসায়ী আসুক, যারা ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা বুঝবে। অন্তত কিছু না বুঝলেও যেন শান্তিতে ব্যবসা করতে পারি, অতিরিক্ত চাপে নিষ্পেষিত না হই, সে দিকগুলো নেতারা দেখুক।’ হাসেম আলী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভোট হচ্ছে, আনন্দের কথা। এতোদিন পর ভোট, আমাদের মধ্যে একটু খুশি খুশি ভাব তো থাকবেই। যারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করবেন, তাদেরকেই আমরা নেতৃত্বে দেখতে চাই।’
প্রায় ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক বলেন, ‘অনেক দিন ভোট হয়নি, তাই তফসিল ঘোষণার পরপরই ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে আছেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। তবে ব্যবসায়ী ভাইদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সজাগ থাকতে হবে। কারণ কোনো কুচক্রি মহল যেন এ নির্বাচন বানচাল করতে না পারে।’ তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছি। আমরাও চাই একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন।