ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি করায় কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

স্ত্রীর সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে গ্রাম্য কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করেন স্বামী। চুয়াডাঙ্গায় কবিরাজ রাজ্জাক শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের রুবেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার সোহেল রানা (২০)। এর আগে গত ১ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশের একটি মাঠ থেকে রাজ্জাক শেখ রাজাই (৫০) নামে ওই কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘হত্যার শিকার রাজ্জাক শেখ রাজাই গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রদান করতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হয়। গত ৩১ মে সন্ধ্যায় ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক জি¦নের মাধ্যমে চিকিৎসার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজের কাছে পান বরজের নির্জন জায়গায় নিয়ে যান।
এসময় রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পরে রুবেল পানবরজে এসে ভিকটিম রাজ্জাক ও স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পান। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫/৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও স্ত্রী পানবরজ থেকে ফিরে আসে। এসময় স্ত্রীকে দেখে অনৈতিক কোনো কাজ করেছে বলে সন্দেহ করেন রুবেল। পরে রুবেল বাড়িতে এসে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্বীকার করে ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ চিকিৎসার দেওয়ার নামে তাকে সম্ভ্রমহানি করেছে।
পরে ওই রাতে আসামি রুবেল তার সহযোগী অপর আসামি সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ রাজ্জাককে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জি¦ন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে মোটরসাইকেলে করে পুরোনো ভান্ডারদহ নিয়ে যায়। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আসামি রুবেল মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের গলায় পোচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জবাই করে ভিকটিমের মৃতদেহ রাস্তার পাশে গাছপালা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়।’ পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি করায় কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা

আপলোড টাইম : ১০:৪১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

স্ত্রীর সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে গ্রাম্য কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করেন স্বামী। চুয়াডাঙ্গায় কবিরাজ রাজ্জাক শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের রুবেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার সোহেল রানা (২০)। এর আগে গত ১ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশের একটি মাঠ থেকে রাজ্জাক শেখ রাজাই (৫০) নামে ওই কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘হত্যার শিকার রাজ্জাক শেখ রাজাই গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রদান করতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হয়। গত ৩১ মে সন্ধ্যায় ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক জি¦নের মাধ্যমে চিকিৎসার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজের কাছে পান বরজের নির্জন জায়গায় নিয়ে যান।
এসময় রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পরে রুবেল পানবরজে এসে ভিকটিম রাজ্জাক ও স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পান। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫/৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও স্ত্রী পানবরজ থেকে ফিরে আসে। এসময় স্ত্রীকে দেখে অনৈতিক কোনো কাজ করেছে বলে সন্দেহ করেন রুবেল। পরে রুবেল বাড়িতে এসে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্বীকার করে ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ চিকিৎসার দেওয়ার নামে তাকে সম্ভ্রমহানি করেছে।
পরে ওই রাতে আসামি রুবেল তার সহযোগী অপর আসামি সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ রাজ্জাককে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জি¦ন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে মোটরসাইকেলে করে পুরোনো ভান্ডারদহ নিয়ে যায়। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আসামি রুবেল মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের গলায় পোচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জবাই করে ভিকটিমের মৃতদেহ রাস্তার পাশে গাছপালা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়।’ পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।’