ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় সড়কে পৃথক দুর্ঘটনা

শিশু ও যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কিরণগাছি ও আলমডাঙ্গা উপজেলার কেশবপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় সামিউল ইসলাম (৬) নামের এক শিশু ও টুটুল খান (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু সামিউল ও বিকেলে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনায় টুটুল মারা যান। শিশু সামিউল আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মাঠপাড়ার আইনাল হকের ছেলে ও টুটুল সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের খোকন মন্ডলের ছেলে।

জানা গেছে, কেশবপুর গ্রামে মাছের প্রজেক্ট তৈরির নামে মাটি খনন করে তা অবৈধ ট্রাক্টর দ্বারা বিভিন্ন স্থানে বহন করা হচ্ছিল। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের মাঠপাড়ার রাস্তায় সমবয়সীদের সঙ্গে খেলা করছিল শিশু সামিউল। খেলা করার এক পর্যায়ে শিশুটি রাস্তার ওপর গেলে মাটিভর্তি একটি ট্রাক্টর সামিউলের ওপর দিয়ে চলে যায়। ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এদিকে, গতকাল বিকেলে জানাজা শেষে কেশবপুর কবরস্থানে শিশুটির দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় দুপুরের লাশ দাফনের অনুমতি দিয়ে পরিবারকে হস্তান্তর করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা বলছেন, মাটি খনন ও ট্রাক্টরযোগে তা বহনকরা অবৈধ হলেও একটি মহল তার কোনো তোয়াক্কা করছে না। প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়েই অবৈধ ট্রাক্টরগুলো মাটি বহন করে যাচ্ছে। আর বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কিরণগাছি গ্রামে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে টুটুল খানের মৃত্যু হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিতুহদ ইউনিয়নের কিরণগাছি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আবুল হোসেন (৫৬) ও মিলন হোসেন (২৪) নামের আরও দুজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল বিকেলে টুটুল খান ও তার চাচাতো ভাই মিলন হোসেন একই মোটরসাইকেলযোগে কিরণগাছি গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। একই সড়কে আবুল হোসেন মোটরসাইকেলে চালিয়ে কিরণগাছি মোড়ে পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী তিনজনই গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। এসময় হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক টুটুলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আবুল হোসেন ও মিলন হোসেনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন।

Exif_JPEG_420


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহবুবা মুস্তারি বলেন, স্থানীয়রা সড়ক দুর্ঘটনায় জখম তিনজনকে জরুরি বিভাগে আনে। এময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে টুটুল খানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছে। অপর দুজনের জখম গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানাধীন কিরণগাছি মোড়ে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল খান নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়া দুর্ঘটনার পর টুটুলকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুজন আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন আছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় সড়কে পৃথক দুর্ঘটনা

শিশু ও যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৭:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কিরণগাছি ও আলমডাঙ্গা উপজেলার কেশবপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় সামিউল ইসলাম (৬) নামের এক শিশু ও টুটুল খান (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু সামিউল ও বিকেলে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনায় টুটুল মারা যান। শিশু সামিউল আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মাঠপাড়ার আইনাল হকের ছেলে ও টুটুল সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের খোকন মন্ডলের ছেলে।

জানা গেছে, কেশবপুর গ্রামে মাছের প্রজেক্ট তৈরির নামে মাটি খনন করে তা অবৈধ ট্রাক্টর দ্বারা বিভিন্ন স্থানে বহন করা হচ্ছিল। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের মাঠপাড়ার রাস্তায় সমবয়সীদের সঙ্গে খেলা করছিল শিশু সামিউল। খেলা করার এক পর্যায়ে শিশুটি রাস্তার ওপর গেলে মাটিভর্তি একটি ট্রাক্টর সামিউলের ওপর দিয়ে চলে যায়। ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এদিকে, গতকাল বিকেলে জানাজা শেষে কেশবপুর কবরস্থানে শিশুটির দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় দুপুরের লাশ দাফনের অনুমতি দিয়ে পরিবারকে হস্তান্তর করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা বলছেন, মাটি খনন ও ট্রাক্টরযোগে তা বহনকরা অবৈধ হলেও একটি মহল তার কোনো তোয়াক্কা করছে না। প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়েই অবৈধ ট্রাক্টরগুলো মাটি বহন করে যাচ্ছে। আর বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কিরণগাছি গ্রামে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে টুটুল খানের মৃত্যু হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিতুহদ ইউনিয়নের কিরণগাছি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আবুল হোসেন (৫৬) ও মিলন হোসেন (২৪) নামের আরও দুজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল বিকেলে টুটুল খান ও তার চাচাতো ভাই মিলন হোসেন একই মোটরসাইকেলযোগে কিরণগাছি গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। একই সড়কে আবুল হোসেন মোটরসাইকেলে চালিয়ে কিরণগাছি মোড়ে পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী তিনজনই গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। এসময় হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক টুটুলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আবুল হোসেন ও মিলন হোসেনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন।

Exif_JPEG_420


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহবুবা মুস্তারি বলেন, স্থানীয়রা সড়ক দুর্ঘটনায় জখম তিনজনকে জরুরি বিভাগে আনে। এময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে টুটুল খানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছে। অপর দুজনের জখম গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানাধীন কিরণগাছি মোড়ে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল খান নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়া দুর্ঘটনার পর টুটুলকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুজন আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন আছে।