ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় বক্তারা

কর্মময় জীবনের কারণেই মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট

সমীকরণ প্রতিবেদন:
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ব্যবস্থাপনায় জেলা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভর সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার ঘটনাবহুল কর্মময় জীবনের কারণেই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলি এদেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তার কোম্পানি যুদ্ধে সবচেয়ে অধিক খেতাব লাভ করে। সৈনিক জীবনে তিনি যেমন চরম পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন ঠিক জাতীয় সকল সংকটকালেও শক্ত হাতে হাল ধরেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী যখন নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানই তখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামে তিনি একটি সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে সমরনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেন বীরোত্তম খেতাব।
বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিহতের পর এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমানের কাঁধেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ভার এসে পড়ে। গভীর দেশপ্রেমের গুণাবলি দিয়ে তিনি জাতির মধ্যে নতুন করে জাগরণের সৃষ্টি করেন। দেশের মানুষের উপযোগী একটি স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদী আদর্শের বাস্তবায়ন ঘটান। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন। তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপিতে একদিকে যেমন চরম বামপন্থীরা স্থান পায় তেমনি চরম ডানপন্থীরাও জায়গা করে নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। মাত্র ছয় বছরের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে ৫৪ বছরের জিয়া বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে দেশ-জাতিকে মুক্ত করেন।
শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক জিয়াউর রহমানকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিক নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু দেশের মানুষ তাকে ভুলে যায়নি। তিনি এখনো প্রতিটি বাঙালির হৃদয় জুড়ে আছেন।
সভায় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রউফ উর নাহার রিনা, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোকাররম হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হক পল্টু, জীবননগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন।
আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব হাকিম মুন্সি। মাহফুজ উল্লাহর লেখা ‘বেগম খালেদা জিয়া জীবন ও সংগ্রাম’ বইটি বিক্রির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। উপস্থিত বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক ‘বেগম খালেদা জিয়া জীবন ও সংগ্রাম’ বইটি ক্রয় করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় বক্তারা

কর্মময় জীবনের কারণেই মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট

আপলোড টাইম : ১২:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ব্যবস্থাপনায় জেলা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভর সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার ঘটনাবহুল কর্মময় জীবনের কারণেই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলি এদেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তার কোম্পানি যুদ্ধে সবচেয়ে অধিক খেতাব লাভ করে। সৈনিক জীবনে তিনি যেমন চরম পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন ঠিক জাতীয় সকল সংকটকালেও শক্ত হাতে হাল ধরেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী যখন নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানই তখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামে তিনি একটি সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে সমরনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেন বীরোত্তম খেতাব।
বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিহতের পর এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমানের কাঁধেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ভার এসে পড়ে। গভীর দেশপ্রেমের গুণাবলি দিয়ে তিনি জাতির মধ্যে নতুন করে জাগরণের সৃষ্টি করেন। দেশের মানুষের উপযোগী একটি স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদী আদর্শের বাস্তবায়ন ঘটান। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন। তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপিতে একদিকে যেমন চরম বামপন্থীরা স্থান পায় তেমনি চরম ডানপন্থীরাও জায়গা করে নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। মাত্র ছয় বছরের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে ৫৪ বছরের জিয়া বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে দেশ-জাতিকে মুক্ত করেন।
শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক জিয়াউর রহমানকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিক নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু দেশের মানুষ তাকে ভুলে যায়নি। তিনি এখনো প্রতিটি বাঙালির হৃদয় জুড়ে আছেন।
সভায় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রউফ উর নাহার রিনা, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোকাররম হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হক পল্টু, জীবননগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন।
আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব হাকিম মুন্সি। মাহফুজ উল্লাহর লেখা ‘বেগম খালেদা জিয়া জীবন ও সংগ্রাম’ বইটি বিক্রির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। উপস্থিত বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক ‘বেগম খালেদা জিয়া জীবন ও সংগ্রাম’ বইটি ক্রয় করেন।