ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সবাই লাখপতি

নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের পাহাড়

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ:
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাচিত দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের হলফনামায় সম্পদের পাহাড়। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৫১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ ২০ লাখ টাকা। তিনি ব্যাংক থেকে আয় দেখিয়েছেন ৫৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। তার স্ত্রীও ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন। স্ত্রীর আয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। নিজ নামে তিনি ২০ ভরি সোনা, স্ত্রীর নামে ৩৫ ভরি সোনা ও নির্ভরশীলদের নামে ৫৫ ভরি সোনা উপহার হিসেবে দেখিয়েছেন।

মাসুম নিজ নামে একটি জিপ গাড়ি ৪০ লাখ টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে এক কোটি ৪০ লাখ টাকার জিপ গাড়ি দেখিয়েছেন। তার ব্যাংক ঋণ আছে ৩ কোটি টাকা। এছাড়া তার ৬০ লাখ টাকার পেট্রোল পাম্প, ৮৭ লাখ টাকার জমিসহ চারতলা বাড়ি, ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার ১৬৮৫.২৩ শতক জমি রয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষা হিজড়ার নগদ টাকা হাতে আছে এক লাখ টাকা ও ব্যাংকে জমা আছে ২ লাখ টাকা। এছাড়া তার ১০ ভরি সোনা আছে। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক এনামের নগদ টাকা হাতে আছে দেড় লাখ। ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে আছে এক লাখ ১০ হাজার। নগদ হাতে আছে ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তার বছরে আয় ২৫ হাজার টাকা। তার ১০ ভরি সোনা রয়েছে।

অন্যদিকে কালীগঞ্জের সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শিবলী নোমানীর ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত আছে এক কোটি ১৭ লাখ টাকা। তার হাতে নগদ অর্থ আছে ১২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ৭৫ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সম্মানী ভাতা হিসেবে পেয়েছেন ১০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। পাঁচ ভরি সোনার পূর্বের দাম দেখিয়েছেন এক লাখ টাকা। নিজ নামে কৃষি জমি আছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা মূল্যের ২৮৬.৫ শতক জমি। ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকার অকৃষি জমি রয়েছে তার। কালীগঞ্জ উপজেলার পরাজিত প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতির হাতে নগদ অর্থ আছে ২৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ২০ লাখ টাকা। মতির ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা। ব্যাংক ঋণ আছে ৫ লাখ টাকা। উপহার হিসেবে পাওয়া সোনা আছে ২০ ভরি। 

ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামানের হাতে নগদ টাকা আছে ৬ লাখ ৫৮ হাজার। ব্যাংকে আছে ৫০ লাখ টাকা। ব্যাবসা থেকে তার বছরে আয়ে ১২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভীনের হাতে নগদ টাকা আছে ২৭ লাখ ৫৬ হাজার। ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা সবাই লাখপতি বলে হলফনামা সূত্রে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া বিজয়ী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের হলফনামা সূত্রে সম্পদ বিবরণীর এই তথ্য পাওয়া যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সবাই লাখপতি

নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের পাহাড়

আপলোড টাইম : ১০:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাচিত দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের হলফনামায় সম্পদের পাহাড়। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৫১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ ২০ লাখ টাকা। তিনি ব্যাংক থেকে আয় দেখিয়েছেন ৫৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। তার স্ত্রীও ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন। স্ত্রীর আয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। নিজ নামে তিনি ২০ ভরি সোনা, স্ত্রীর নামে ৩৫ ভরি সোনা ও নির্ভরশীলদের নামে ৫৫ ভরি সোনা উপহার হিসেবে দেখিয়েছেন।

মাসুম নিজ নামে একটি জিপ গাড়ি ৪০ লাখ টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে এক কোটি ৪০ লাখ টাকার জিপ গাড়ি দেখিয়েছেন। তার ব্যাংক ঋণ আছে ৩ কোটি টাকা। এছাড়া তার ৬০ লাখ টাকার পেট্রোল পাম্প, ৮৭ লাখ টাকার জমিসহ চারতলা বাড়ি, ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার ১৬৮৫.২৩ শতক জমি রয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষা হিজড়ার নগদ টাকা হাতে আছে এক লাখ টাকা ও ব্যাংকে জমা আছে ২ লাখ টাকা। এছাড়া তার ১০ ভরি সোনা আছে। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক এনামের নগদ টাকা হাতে আছে দেড় লাখ। ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে আছে এক লাখ ১০ হাজার। নগদ হাতে আছে ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তার বছরে আয় ২৫ হাজার টাকা। তার ১০ ভরি সোনা রয়েছে।

অন্যদিকে কালীগঞ্জের সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শিবলী নোমানীর ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত আছে এক কোটি ১৭ লাখ টাকা। তার হাতে নগদ অর্থ আছে ১২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ৭৫ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সম্মানী ভাতা হিসেবে পেয়েছেন ১০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। পাঁচ ভরি সোনার পূর্বের দাম দেখিয়েছেন এক লাখ টাকা। নিজ নামে কৃষি জমি আছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা মূল্যের ২৮৬.৫ শতক জমি। ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকার অকৃষি জমি রয়েছে তার। কালীগঞ্জ উপজেলার পরাজিত প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতির হাতে নগদ অর্থ আছে ২৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ২০ লাখ টাকা। মতির ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা। ব্যাংক ঋণ আছে ৫ লাখ টাকা। উপহার হিসেবে পাওয়া সোনা আছে ২০ ভরি। 

ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামানের হাতে নগদ টাকা আছে ৬ লাখ ৫৮ হাজার। ব্যাংকে আছে ৫০ লাখ টাকা। ব্যাবসা থেকে তার বছরে আয়ে ১২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভীনের হাতে নগদ টাকা আছে ২৭ লাখ ৫৬ হাজার। ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা সবাই লাখপতি বলে হলফনামা সূত্রে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া বিজয়ী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের হলফনামা সূত্রে সম্পদ বিবরণীর এই তথ্য পাওয়া যায়।