ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে জোরপূর্বক স্কাউটের কমিটি গঠনের অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের মতামত উপেক্ষা করে জোরপূর্বক ও হুমকি-ধমকি দিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্কাউটের কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এই কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে কাউন্সিলের তারিখ পেছানোর লিখিত আবেদনও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ স্কাউটার ও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা এ নিয়ে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী অভিযোগ করেন, তারা ৭৪ জন শিক্ষক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুর রহমান রাসেলের পরামর্শে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে কাউন্সিল না করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের কপি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান গ্রহণ করেন।

অভিযোগপত্রে তাঁরা উল্লেখ করেন, প্রচণ্ড তাপদাহ এবং স্বল্প সময়ের নোটিশ, বাদ পড়া ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা ও ভোটার তালিকার নাম বিভ্রাটের কারণসহ ব্যালট পেপারে ভোট দাবি করে চিঠি দেন। কিন্তু তাদের সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে মুখচেনা কতিপয় ব্যক্তিদের নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করে কার্যত গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ স্কাউটস-এর গঠনতন্ত্রের ‘সভার কার্যপদ্ধতি’র উপধারা ‘ছ’ এর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ‘সাধারণভাবে সদস্যগণ ধ্বনি ভোটে অথবা হাত উচিয়ে আলোচ্য বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি করবেন। কোনো বিষয়ে ডিভিশন দাবি করা হলে এক ব্যক্তি এক ভোট ভিত্তিতে ব্যালটে নিষ্পত্তি করা হবে। অনুপস্থিত সদস্যের তরফ থেকে কোনো ভোট গ্রহণীয় হবে না। কোনো বিষয়ে উভয় দিকে সমান ভোট পাওয়া গেলে সভার সভাপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নিজে একটি নির্ণায়ক ভোট দিতে পারবেন।’
জেলার সিনিয়র স্কাউটার আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা অভিযোগ করেন, এই কাউন্সিলের ভোট নিয়ে দুটি প্যানেল বিভক্ত হয়ে যায়। ফলে আইন মতো হাত উঠিয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া রহিত হয়ে যায়। ভোট বাধ্যতামূলক হলেও ওই কাউন্সিলে কোনো মতামত গ্রহণ করা হয়নি। অনেকটা তড়িঘড়ি করে পকেট কমিটি গঠন করে কর্মকর্তারা স্থান ত্যাগ করেন। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তারা আদালতের দারস্ত হবেন। কমিটি গঠনের বিষয়ে ঝিনাইদহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, যা হয়েছে গঠনতন্ত্র মোতাবেক হয়েছে। কোনো বিভেদ হয়নি। স্কাউটাররা যে অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে জোরপূর্বক স্কাউটের কমিটি গঠনের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের মতামত উপেক্ষা করে জোরপূর্বক ও হুমকি-ধমকি দিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্কাউটের কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এই কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে কাউন্সিলের তারিখ পেছানোর লিখিত আবেদনও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ স্কাউটার ও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা এ নিয়ে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী অভিযোগ করেন, তারা ৭৪ জন শিক্ষক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুর রহমান রাসেলের পরামর্শে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে কাউন্সিল না করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের কপি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান গ্রহণ করেন।

অভিযোগপত্রে তাঁরা উল্লেখ করেন, প্রচণ্ড তাপদাহ এবং স্বল্প সময়ের নোটিশ, বাদ পড়া ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা ও ভোটার তালিকার নাম বিভ্রাটের কারণসহ ব্যালট পেপারে ভোট দাবি করে চিঠি দেন। কিন্তু তাদের সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে মুখচেনা কতিপয় ব্যক্তিদের নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করে কার্যত গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ স্কাউটস-এর গঠনতন্ত্রের ‘সভার কার্যপদ্ধতি’র উপধারা ‘ছ’ এর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ‘সাধারণভাবে সদস্যগণ ধ্বনি ভোটে অথবা হাত উচিয়ে আলোচ্য বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি করবেন। কোনো বিষয়ে ডিভিশন দাবি করা হলে এক ব্যক্তি এক ভোট ভিত্তিতে ব্যালটে নিষ্পত্তি করা হবে। অনুপস্থিত সদস্যের তরফ থেকে কোনো ভোট গ্রহণীয় হবে না। কোনো বিষয়ে উভয় দিকে সমান ভোট পাওয়া গেলে সভার সভাপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নিজে একটি নির্ণায়ক ভোট দিতে পারবেন।’
জেলার সিনিয়র স্কাউটার আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা অভিযোগ করেন, এই কাউন্সিলের ভোট নিয়ে দুটি প্যানেল বিভক্ত হয়ে যায়। ফলে আইন মতো হাত উঠিয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া রহিত হয়ে যায়। ভোট বাধ্যতামূলক হলেও ওই কাউন্সিলে কোনো মতামত গ্রহণ করা হয়নি। অনেকটা তড়িঘড়ি করে পকেট কমিটি গঠন করে কর্মকর্তারা স্থান ত্যাগ করেন। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তারা আদালতের দারস্ত হবেন। কমিটি গঠনের বিষয়ে ঝিনাইদহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, যা হয়েছে গঠনতন্ত্র মোতাবেক হয়েছে। কোনো বিভেদ হয়নি। স্কাউটাররা যে অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়।