ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরে গায়ে কেমিক্যাল ঢেলে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৫৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সুয়াদি গ্রামে ফারজানা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূ গায়ে কেমিক্যাল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফারজানা ওই গ্রামের নাজমুল মন্ডলের স্ত্রী। স্বামীর ওপর অভিমান করে গত মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে রাখা প্রিন্টিং প্রেসের কেমিক্যাল গায়ে মেখে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন ফারজানা। এতে তিনি ৮৫% দগ্ধ হন। প্রথমে তাকে কোটচাঁদপুর ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গতকাল বুধবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

প্রতিবেশী ওসমান আলী জানান, শিশু সন্তানকে বকাঝকা নিয়ে ফারজানার সঙ্গে গত মঙ্গলবার রাতে তার স্বামী নাজমুলের রাগারাগি হয়। নাজমুল কোটচাঁদপুর শহরে একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী। সেই সুবাদে তিনি বাড়িতে কেমিক্যাল এনে কাজ করতেন। ফারজানা সেই কেমিক্যাল গায়ে ঢেলে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জুলহক জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফারজানা অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার ভোরে তিনি মারা যান। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা যাওয়ার কথা শুনেছিলাম। পরে তার বাড়ি গিয়ে দেখি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি।’ তবে নিহতর দেবার আজাদ রহমান দাবি করেন, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে তার ভাবি অগ্নিদগ্ধ হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যান।

কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে তালসার পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা কিশোর কুমারকে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।’ ওসি দাবি করেন, কেমিক্যাল গায়ে মেখে ফারজানা আত্মহত্যা করেননি। এটা নিছক দুর্ঘটনা। এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত ফারজানার মৃতদেহ সুয়াদি গ্রামে আসেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কোটচাঁদপুরে গায়ে কেমিক্যাল ঢেলে গৃহবধূর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:২৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সুয়াদি গ্রামে ফারজানা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূ গায়ে কেমিক্যাল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফারজানা ওই গ্রামের নাজমুল মন্ডলের স্ত্রী। স্বামীর ওপর অভিমান করে গত মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে রাখা প্রিন্টিং প্রেসের কেমিক্যাল গায়ে মেখে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন ফারজানা। এতে তিনি ৮৫% দগ্ধ হন। প্রথমে তাকে কোটচাঁদপুর ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গতকাল বুধবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

প্রতিবেশী ওসমান আলী জানান, শিশু সন্তানকে বকাঝকা নিয়ে ফারজানার সঙ্গে গত মঙ্গলবার রাতে তার স্বামী নাজমুলের রাগারাগি হয়। নাজমুল কোটচাঁদপুর শহরে একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী। সেই সুবাদে তিনি বাড়িতে কেমিক্যাল এনে কাজ করতেন। ফারজানা সেই কেমিক্যাল গায়ে ঢেলে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জুলহক জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফারজানা অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার ভোরে তিনি মারা যান। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা যাওয়ার কথা শুনেছিলাম। পরে তার বাড়ি গিয়ে দেখি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি।’ তবে নিহতর দেবার আজাদ রহমান দাবি করেন, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে তার ভাবি অগ্নিদগ্ধ হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যান।

কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে তালসার পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা কিশোর কুমারকে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।’ ওসি দাবি করেন, কেমিক্যাল গায়ে মেখে ফারজানা আত্মহত্যা করেননি। এটা নিছক দুর্ঘটনা। এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত ফারজানার মৃতদেহ সুয়াদি গ্রামে আসেনি।