ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রেতা সঙ্কটে পচছে তরমুজ, লোকসানে ব্যবসায়ীরা

জাহিদুল হক বাবু, ঝিনাইদহ:
  • আপলোড টাইম : ১১:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

থরে থরে সাজানো রয়েছে রসালো ফল তরমুজ। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে তরমুজের বুক চিরে লাল অংশ কেটে বের করে রাখা হয়েছে। তবুও কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। রমজানের শুরু থেকেই তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে ক্রেতা সংকটে পড়ছে ঝিনাইদহের তরমুজ ব্যবসায়ীরা। এদিকে, চড়া দামে বিক্রি না হওয়ায় পচে যাচ্ছে অবিক্রিত তরমুজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তরমুজ পিস হিসেবে দাম কমিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা। রোজার শুরুতে ঝিনাইদহের কিছু এলাকায় ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল তরমুজ। তবে বর্তমানে দাম কমিয়ে পিস হিসেবে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, রমজানের আগে থেকে বিভিন্ন বাজারে আসতে শুরু করে গাঢ় সবুজ রঙের তরমুজ। মূলত এই জাতের তরমুজের ফলন গ্রীষ্মকালেই হয়। অন্যান্য বছর এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও এবার কিছুটা ব্যতিক্রম। রোজায় বেশি দর পাওয়ার জন্য কৃষকরা কিছুটা আগাম আবাদ করেছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজার শুরুতে হাট-বাজারে প্রতিটি তরমুজের দর ছিল ২৫০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। প্রথম দুদিন তরমুজ বেচাকেনায় স্বস্তিতে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল অনেক। অস্বাভাবিক মূল্য, অপরিপক্ক তরমুজ ও কেজিতে বিক্রির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত ছিল। পরে বিভিন্ন সংগঠন থেকে রমজানে তরমুজ বয়কটের ডাক দেয়া হয়। এরপর থেকেই তরমুজের বাজারে ধস নামে।
তরমুজ কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, কয়েকদিন ধরে তরমুজের দর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক মানুষ তরমুজ কেনা থেকে বিরত রয়েছেন। তাছাড়া উচ্চমূল্য দিয়ে তরমুজ কেনা সবার পক্ষে সম্ভব ও হচ্ছে না। ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকার তরমুজ বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, তরমুজ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় ক্রেতা শূন্য বলা যেতে পারে। এতে লাভের বদলে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা চরম বিপদে আছি। ক্রেতার অভাবে বিক্রি না হওয়ায় তরমুজ পচে নষ্ট হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ক্রেতা সঙ্কটে পচছে তরমুজ, লোকসানে ব্যবসায়ীরা

আপলোড টাইম : ১১:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

থরে থরে সাজানো রয়েছে রসালো ফল তরমুজ। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে তরমুজের বুক চিরে লাল অংশ কেটে বের করে রাখা হয়েছে। তবুও কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। রমজানের শুরু থেকেই তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে ক্রেতা সংকটে পড়ছে ঝিনাইদহের তরমুজ ব্যবসায়ীরা। এদিকে, চড়া দামে বিক্রি না হওয়ায় পচে যাচ্ছে অবিক্রিত তরমুজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তরমুজ পিস হিসেবে দাম কমিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা। রোজার শুরুতে ঝিনাইদহের কিছু এলাকায় ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল তরমুজ। তবে বর্তমানে দাম কমিয়ে পিস হিসেবে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, রমজানের আগে থেকে বিভিন্ন বাজারে আসতে শুরু করে গাঢ় সবুজ রঙের তরমুজ। মূলত এই জাতের তরমুজের ফলন গ্রীষ্মকালেই হয়। অন্যান্য বছর এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও এবার কিছুটা ব্যতিক্রম। রোজায় বেশি দর পাওয়ার জন্য কৃষকরা কিছুটা আগাম আবাদ করেছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজার শুরুতে হাট-বাজারে প্রতিটি তরমুজের দর ছিল ২৫০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। প্রথম দুদিন তরমুজ বেচাকেনায় স্বস্তিতে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল অনেক। অস্বাভাবিক মূল্য, অপরিপক্ক তরমুজ ও কেজিতে বিক্রির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত ছিল। পরে বিভিন্ন সংগঠন থেকে রমজানে তরমুজ বয়কটের ডাক দেয়া হয়। এরপর থেকেই তরমুজের বাজারে ধস নামে।
তরমুজ কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, কয়েকদিন ধরে তরমুজের দর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক মানুষ তরমুজ কেনা থেকে বিরত রয়েছেন। তাছাড়া উচ্চমূল্য দিয়ে তরমুজ কেনা সবার পক্ষে সম্ভব ও হচ্ছে না। ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকার তরমুজ বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, তরমুজ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় ক্রেতা শূন্য বলা যেতে পারে। এতে লাভের বদলে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা চরম বিপদে আছি। ক্রেতার অভাবে বিক্রি না হওয়ায় তরমুজ পচে নষ্ট হচ্ছে।