ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় নদী দখল করে যুবলীগ নেতার ইটভাটা ও পুকুর খনন

প্রতিবাদ করলেই মারধর, প্রশাসনও নির্বিকার

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কুমার নদের জায়গা দখল করে ইটভাটা ও পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন মোল্লা ও তার পিতা ইউপি চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে। নদীর জাগয়া দখল করে কয়েকটি পুকুর খনন করে সেখানে করা হচ্ছে মাছের চাষ। একই সাথে সরকারি রাস্তা কেটে ইটভাটা করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন মোল্লা ও তার পিতা সাব্দার হোসেন মোল্লা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাননি কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে এক সময়ের খরস্রোতা কুমার নদী। এই নদীর উজানে গাড়াগঞ্জ ব্রিজের পশ্চিম পাশে মহেশপুর গাড়াখোলা গ্রামে অন্তত ৩০ বিঘা জমি দখল করে শীলা ব্রিকস নামের ইটভাটা তৈরি করেছে শামীম হোসেন মোল্লা। একে তো গ্রামের মধ্যে বসতবাড়ি কোল ঘেষে, আবার এলজিইডি’র সড়কের পাশের ফসলি জমি নষ্ট করে এই ইটের ভাটা তৈরি করা হয়েছে। আবার নদীর জায়গায় পুকুর কেটে সেখান থেকে মাটি ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে, আর সেই পুকুরে করা হয়েছে মাছের চাষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, শামীম মোল্লা ও তার পিতা নদী জায়গা দখল করে ইটভাটা করেছে। বছরের পর বছর নদীর বিভিন্ন জায়গা দখল করে পুকুর তৈরি হয়েছে। শুধু তাই না, সরকারি রাস্তা কেটে ভাটার মধ্যে নিয়ে নিয়েছে তারা। আরেক বাসিন্দা বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। কেউ কিছু বললে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। মারধর করে শামীম ও তার লোকজন। ইটভাটার কারণে আমরা এলাকায় বসবাস করতে পারি না। ভাটার কালো ধোয়া বাড়িতে চলে আসে। শুধু তাই না, গ্রামের মধ্যে থেকে একটি রাস্তা নদী পর্যন্ত ছিা। সেই রাস্তা কেটে নিয়েছে। এখন আমরা ইটভাটার কারণে নদীতেও যেতে পারি না। নদী যেন এখন পৈত্রিক সম্পত্তি।

অভিযোগের বিষয়ে শামীম হোসেন মোল্লা বলেন, ‘৪০ বছর ধরে ইটভাটা করেছি, কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। যে অভিযোগ দিয়েছে, তাকে আমার কাছে আসতে বলেন। কার এত বড় সাহস। দখলের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মেহেদি হাসান বলেন, ‘দখলের বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে আমরা তদন্ত করে দেখব। এমন ঘটলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শৈলকুপায় নদী দখল করে যুবলীগ নেতার ইটভাটা ও পুকুর খনন

প্রতিবাদ করলেই মারধর, প্রশাসনও নির্বিকার

আপলোড টাইম : ০৯:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কুমার নদের জায়গা দখল করে ইটভাটা ও পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন মোল্লা ও তার পিতা ইউপি চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে। নদীর জাগয়া দখল করে কয়েকটি পুকুর খনন করে সেখানে করা হচ্ছে মাছের চাষ। একই সাথে সরকারি রাস্তা কেটে ইটভাটা করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন মোল্লা ও তার পিতা সাব্দার হোসেন মোল্লা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাননি কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে এক সময়ের খরস্রোতা কুমার নদী। এই নদীর উজানে গাড়াগঞ্জ ব্রিজের পশ্চিম পাশে মহেশপুর গাড়াখোলা গ্রামে অন্তত ৩০ বিঘা জমি দখল করে শীলা ব্রিকস নামের ইটভাটা তৈরি করেছে শামীম হোসেন মোল্লা। একে তো গ্রামের মধ্যে বসতবাড়ি কোল ঘেষে, আবার এলজিইডি’র সড়কের পাশের ফসলি জমি নষ্ট করে এই ইটের ভাটা তৈরি করা হয়েছে। আবার নদীর জায়গায় পুকুর কেটে সেখান থেকে মাটি ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে, আর সেই পুকুরে করা হয়েছে মাছের চাষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, শামীম মোল্লা ও তার পিতা নদী জায়গা দখল করে ইটভাটা করেছে। বছরের পর বছর নদীর বিভিন্ন জায়গা দখল করে পুকুর তৈরি হয়েছে। শুধু তাই না, সরকারি রাস্তা কেটে ভাটার মধ্যে নিয়ে নিয়েছে তারা। আরেক বাসিন্দা বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। কেউ কিছু বললে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। মারধর করে শামীম ও তার লোকজন। ইটভাটার কারণে আমরা এলাকায় বসবাস করতে পারি না। ভাটার কালো ধোয়া বাড়িতে চলে আসে। শুধু তাই না, গ্রামের মধ্যে থেকে একটি রাস্তা নদী পর্যন্ত ছিা। সেই রাস্তা কেটে নিয়েছে। এখন আমরা ইটভাটার কারণে নদীতেও যেতে পারি না। নদী যেন এখন পৈত্রিক সম্পত্তি।

অভিযোগের বিষয়ে শামীম হোসেন মোল্লা বলেন, ‘৪০ বছর ধরে ইটভাটা করেছি, কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। যে অভিযোগ দিয়েছে, তাকে আমার কাছে আসতে বলেন। কার এত বড় সাহস। দখলের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মেহেদি হাসান বলেন, ‘দখলের বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে আমরা তদন্ত করে দেখব। এমন ঘটলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’