ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের পর এবার কালীগঞ্জের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় লাভলী বেগম (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। লাভলী খাতুন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তৈলটুপী গ্রামের এনামুল কবিরের স্ত্রী। এই দম্পতির সাফি নামে ৭ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীর চাকরির কারণে তারা কালীগঞ্জ শহরে থাকতেন।

স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শেফালীকে। সেখানে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরা। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লাভলী বেগম কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেও তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ভুলে চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন প্রসূতির জরায়ু নারী কেটে ফেলেন। এরপরে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বিকেল চারটার দিকে পুনরায় লাভলী বেগমকে নেওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। প্রায় ৩ ঘণ্টা দ্বিতীয় অস্ত্রাপচারের কথা বলে অপারেশন থিয়েটারেই রাখা হয় লাভলী খাতুনকে। স্বজনরা এসময় রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অপারেশন থিয়েটারের ভেতর থেকে বারবার জানানো হয় রোগী ভালো আছে। সেলাই শেষ করেই তাকে বেডে দেওয়া হবে। দীর্ঘ সময় পার হলেও রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করায় স্বজনদের মনে সন্দেহ জাগে। এরপর একজন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে দেখেন রোগী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরা রোগীকে যশোরে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয়।

লাভলী খাতুনের স্বামী এনামুল কবির জানান, দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরার ভুল চিকিৎসায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক তার স্ত্রীর জরায়ু কেটে ফেলেছেন। বিষয়টি জানতে চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরার মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ ভুক্তভোগীরা ক্লিনিক মালিকের সঙ্গে রফা করে ফেলেন। তিনি বলেন, রোগী মৃত্যুর ঘটনা শুনলাম, অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এবার কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহের পর এবার কালীগঞ্জের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় লাভলী বেগম (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। লাভলী খাতুন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তৈলটুপী গ্রামের এনামুল কবিরের স্ত্রী। এই দম্পতির সাফি নামে ৭ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীর চাকরির কারণে তারা কালীগঞ্জ শহরে থাকতেন।

স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শেফালীকে। সেখানে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরা। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লাভলী বেগম কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেও তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ভুলে চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন প্রসূতির জরায়ু নারী কেটে ফেলেন। এরপরে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বিকেল চারটার দিকে পুনরায় লাভলী বেগমকে নেওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। প্রায় ৩ ঘণ্টা দ্বিতীয় অস্ত্রাপচারের কথা বলে অপারেশন থিয়েটারেই রাখা হয় লাভলী খাতুনকে। স্বজনরা এসময় রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অপারেশন থিয়েটারের ভেতর থেকে বারবার জানানো হয় রোগী ভালো আছে। সেলাই শেষ করেই তাকে বেডে দেওয়া হবে। দীর্ঘ সময় পার হলেও রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করায় স্বজনদের মনে সন্দেহ জাগে। এরপর একজন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে দেখেন রোগী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরা রোগীকে যশোরে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয়।

লাভলী খাতুনের স্বামী এনামুল কবির জানান, দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরার ভুল চিকিৎসায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক তার স্ত্রীর জরায়ু কেটে ফেলেছেন। বিষয়টি জানতে চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরার মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ ভুক্তভোগীরা ক্লিনিক মালিকের সঙ্গে রফা করে ফেলেন। তিনি বলেন, রোগী মৃত্যুর ঘটনা শুনলাম, অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।