ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিজ নির্মাণে লুটপাট, এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে দুই বছর। এখনও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ১১টি রাস্তার সংযোগ সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ। প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্রিজ, সংযোগ সড়ক ও ব্রিজের তলদেশ খননের জন্য আরও প্রায় এক কোটি টাকার কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পাউবোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম হোসন অভিযোগ করেন, ইট, বালু, পাথরসহ নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নয়-ছয় করে কাজ শেষ করার পাঁয়তারা চলছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দাবি, কাজ সঠিক হচ্ছে। তবে কাজে কিছু অনিয়ম করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে ব্রিজ নির্মাণে দুর্নীতির ও কাজে ধীরগতির অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের ব্যানারে কাতলাগাড়ী বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। স্থানীয় জনগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ মানববন্ধনে যোগ দেয়। এরপর তারা বিক্ষোভে অংশ নেয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নাজমুল হোসেন জানান, তারা জানতে পেরেছেন ব্রিজের সংযোগ সড়কে ৫৪ লাখ টাকা, পানি প্রবাহের সমতা ঠিক রাখার জন্যে ব্রিজের তলদেশের উভয় পাশের এক কিলোমিটার খনন ও ড্রেসিং এর জন্যে ২৬ লাখ টাকা এবং কনক্রিটের ব্লক তৈরির জন্যে ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও রাতের আঁধারে দায়সারাভাবে কাজ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাউবোর অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, পাউবোর গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালে তিন কোটি ৮৪ লাখ টাকায় শৈলকুপার কাতলাগাড়ী সেচখালের উপর ব্রিজটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মেসার্স আবুল কালাম আজাদ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ধীরগতি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালীতে আজও শেষ হয়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন অভিযোগ করে বলেন, ইট,বালি, পাথরসহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নয়-ছয় করে কাজ শেষ করার পায়তারা চলছে। কাজের অনিয়মের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করানো হলে তারা বলছেন, কোনো অনিয়ম নেই, বাধা-বিপত্তি আসলেও কাজ শেষ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্রিজের পুনঃনির্মাণ কাজের মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ না হলেও মেয়াদ এবং অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নিম্নমানের ব্লক দেওয়ার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ব্রিজ নির্মাণে লুটপাট, এলাকাবাসীর মানববন্ধন

আপলোড টাইম : ০৮:৫০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে দুই বছর। এখনও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ১১টি রাস্তার সংযোগ সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ। প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্রিজ, সংযোগ সড়ক ও ব্রিজের তলদেশ খননের জন্য আরও প্রায় এক কোটি টাকার কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পাউবোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম হোসন অভিযোগ করেন, ইট, বালু, পাথরসহ নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নয়-ছয় করে কাজ শেষ করার পাঁয়তারা চলছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দাবি, কাজ সঠিক হচ্ছে। তবে কাজে কিছু অনিয়ম করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে ব্রিজ নির্মাণে দুর্নীতির ও কাজে ধীরগতির অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের ব্যানারে কাতলাগাড়ী বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। স্থানীয় জনগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ মানববন্ধনে যোগ দেয়। এরপর তারা বিক্ষোভে অংশ নেয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নাজমুল হোসেন জানান, তারা জানতে পেরেছেন ব্রিজের সংযোগ সড়কে ৫৪ লাখ টাকা, পানি প্রবাহের সমতা ঠিক রাখার জন্যে ব্রিজের তলদেশের উভয় পাশের এক কিলোমিটার খনন ও ড্রেসিং এর জন্যে ২৬ লাখ টাকা এবং কনক্রিটের ব্লক তৈরির জন্যে ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও রাতের আঁধারে দায়সারাভাবে কাজ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাউবোর অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, পাউবোর গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালে তিন কোটি ৮৪ লাখ টাকায় শৈলকুপার কাতলাগাড়ী সেচখালের উপর ব্রিজটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মেসার্স আবুল কালাম আজাদ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ধীরগতি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালীতে আজও শেষ হয়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন অভিযোগ করে বলেন, ইট,বালি, পাথরসহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নয়-ছয় করে কাজ শেষ করার পায়তারা চলছে। কাজের অনিয়মের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করানো হলে তারা বলছেন, কোনো অনিয়ম নেই, বাধা-বিপত্তি আসলেও কাজ শেষ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্রিজের পুনঃনির্মাণ কাজের মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ না হলেও মেয়াদ এবং অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নিম্নমানের ব্লক দেওয়ার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।