ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বিচার মানি না’ বলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদী যুবককে মারপিট

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৩:০১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের যোগসাজসে বিবাদী পক্ষের বাড়িতে সালিশ বৈঠকের মধ্যেই ফুলবানু বেগম (৬৫), সুফিয়া বেগম (৫৫) ও রিফাত (১৭) নামে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের রুপদাহ গ্রামে। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশীদের সাথে আলমগীর হোসেনের ছেলে রিফাতের গোলোযোগ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের নির্দেশে এক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালিন সময়ে রুপদাহ গ্রামের আলম মাঝি, মোজ্জাম্মেল হোসেন, দুদু মাঝি ও শিশির ক্ষিপ্ত হয়ে ফুলবানু বেগম, সুফিয়া বেগম ও রিফাতকে পিটিয়ে আহত করে।

আহত ফুলবানু বেগম জানান, নজরুল ইসলাম ও মশিয়ার রহমানের নির্দেশেই বিচার সালিশ চলা অবস্থায় তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়। সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বিচার সালিশ চলা অবস্থায় আলমগীর হোসেনের ছেলে রিফাত বিচার মানিনা বলে জানালে মারপিটের ঘটনাটি ঘটেছে। অবশ্য পরেই আমরা শান্ত করেছি। বিচার শালিশে উপস্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান জানান বিচার শেষ পর্যায়ে আসার পর রিফাত বিচার এ বিচার মানিনা বলে জানালে হট্রোগোলের শৃষ্টি হয়। বিচার শালিসে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াসীম, ইউপি সদস্য সোহেল হোসেন, রুপদাহ গ্রামের আওয়ামী লীগে নেতা মশিয়ার রহমান, উজ্জলপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মন্টু মেম্বারসহ আরও অনেকে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

‘বিচার মানি না’ বলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদী যুবককে মারপিট

আপলোড টাইম : ০৩:০১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের যোগসাজসে বিবাদী পক্ষের বাড়িতে সালিশ বৈঠকের মধ্যেই ফুলবানু বেগম (৬৫), সুফিয়া বেগম (৫৫) ও রিফাত (১৭) নামে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের রুপদাহ গ্রামে। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশীদের সাথে আলমগীর হোসেনের ছেলে রিফাতের গোলোযোগ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের নির্দেশে এক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালিন সময়ে রুপদাহ গ্রামের আলম মাঝি, মোজ্জাম্মেল হোসেন, দুদু মাঝি ও শিশির ক্ষিপ্ত হয়ে ফুলবানু বেগম, সুফিয়া বেগম ও রিফাতকে পিটিয়ে আহত করে।

আহত ফুলবানু বেগম জানান, নজরুল ইসলাম ও মশিয়ার রহমানের নির্দেশেই বিচার সালিশ চলা অবস্থায় তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়। সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বিচার সালিশ চলা অবস্থায় আলমগীর হোসেনের ছেলে রিফাত বিচার মানিনা বলে জানালে মারপিটের ঘটনাটি ঘটেছে। অবশ্য পরেই আমরা শান্ত করেছি। বিচার শালিশে উপস্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান জানান বিচার শেষ পর্যায়ে আসার পর রিফাত বিচার এ বিচার মানিনা বলে জানালে হট্রোগোলের শৃষ্টি হয়। বিচার শালিসে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াসীম, ইউপি সদস্য সোহেল হোসেন, রুপদাহ গ্রামের আওয়ামী লীগে নেতা মশিয়ার রহমান, উজ্জলপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মন্টু মেম্বারসহ আরও অনেকে।