ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ভাই-বোন ও ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে ভাই-বোন ও ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। গতকাল বুধবার সকালে ঝিনাইদহ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মহেশপুর উপজেলার নলপাড়ুয়া গ্রামের মৃত আলী কদর মন্ডলের মেয়ে রওশনারা বেগম ওরফে বুড়ি, তার ভাই ছানোয়ার হোসেন ও ছেলে বাপ্পী।

আদালতের রায় সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর লাবনী খাতুন অপুকে ভালো বেতনে কাজ দেওয়ার কথা বলে বিদেশ নিয়ে যায়। এরপর থেকেই লাবনীর মা রহিমা খাতুনের সাথে তিন মাস কোনো যোগাযোগ হয়নি। মেয়েকে ফেরত চাইলে আসামিরা তাকে ঘুরাতে থাকেন। এরপর আসামিরা তার মেয়েকে ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।

আসামিরা ফুঁসলিয়ে যোগসাজসে তার মেয়েকে যৌনকর্ম করার উদ্দেশ্যে দেশে অথবা বিদেশে পাচার করেন। অবশেষে রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ২০১২ সালের ১৩ মে সংশ্লিষ্ট থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত ওই তিন আসামিকে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনের ২০১২ এর ৭ ধারার প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সাথে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনজনই পলাতক রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ভাই-বোন ও ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহে ভাই-বোন ও ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। গতকাল বুধবার সকালে ঝিনাইদহ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মহেশপুর উপজেলার নলপাড়ুয়া গ্রামের মৃত আলী কদর মন্ডলের মেয়ে রওশনারা বেগম ওরফে বুড়ি, তার ভাই ছানোয়ার হোসেন ও ছেলে বাপ্পী।

আদালতের রায় সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর লাবনী খাতুন অপুকে ভালো বেতনে কাজ দেওয়ার কথা বলে বিদেশ নিয়ে যায়। এরপর থেকেই লাবনীর মা রহিমা খাতুনের সাথে তিন মাস কোনো যোগাযোগ হয়নি। মেয়েকে ফেরত চাইলে আসামিরা তাকে ঘুরাতে থাকেন। এরপর আসামিরা তার মেয়েকে ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।

আসামিরা ফুঁসলিয়ে যোগসাজসে তার মেয়েকে যৌনকর্ম করার উদ্দেশ্যে দেশে অথবা বিদেশে পাচার করেন। অবশেষে রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ২০১২ সালের ১৩ মে সংশ্লিষ্ট থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত ওই তিন আসামিকে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনের ২০১২ এর ৭ ধারার প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সাথে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনজনই পলাতক রয়েছে।