ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহেশপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ছয় বছর যাবত চালিয়ে যাচ্ছেন উপকরণ বাণিজ্য

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৪:২১:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৭২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের স্লিপ, রুটিন মেরামত ও প্রাক-প্রাথমিক বরাদ্দের অর্থ দিয়ে উপকরণ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন ও বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্লিপ বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার টাকা এবং প্রাক-প্রাথমিক বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা। এই বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সাথে রেখে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজ করার কথা সরকারি নীতিমালায় রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি বরাদ্দ আসলেই ওইসব টাকা স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করে থাকে উপজেলা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেই এ সকল উপকরণ কম দামে ক্রয় করে প্রধান শিক্ষকদের কাছে তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করে আসছেন। তিনি দীর্ঘ ৬ বছর এ উপজেলায় কর্মরত থেকে উপকরণ বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

এছাড়া নিয়ম বহির্ভূত প্রতি বছর অফিস খরচ বাবদ বিদ্যালয় প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে আসছেন। কোনো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যদি টাকা দিতে দেরি করেন, তাহলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই শিক্ষা অফিসার। তার অধীনে বিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ৫১টি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের জিম্মি করে এসব অবৈধ কাজ করে যাচ্ছেন দেদারসে। এ রকম কর্মকাণ্ড করে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষক মুখ খুলতে সাহস পায় না। একই রকম অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

এ সকল অভিযোগের বিষয় মহেশপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান অস্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হয়। এই কথাটুকুই বলে মোবাইল কেটে দেন। এরপর তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, এসব ঘটনায় বিদ্যালয় কমিটি বা বিদ্যালয় শিক্ষকের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ এ পর্যন্ত আসেনি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মহেশপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ছয় বছর যাবত চালিয়ে যাচ্ছেন উপকরণ বাণিজ্য

আপলোড টাইম : ০৪:২১:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের স্লিপ, রুটিন মেরামত ও প্রাক-প্রাথমিক বরাদ্দের অর্থ দিয়ে উপকরণ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন ও বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্লিপ বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার টাকা এবং প্রাক-প্রাথমিক বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা। এই বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সাথে রেখে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজ করার কথা সরকারি নীতিমালায় রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি বরাদ্দ আসলেই ওইসব টাকা স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করে থাকে উপজেলা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেই এ সকল উপকরণ কম দামে ক্রয় করে প্রধান শিক্ষকদের কাছে তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করে আসছেন। তিনি দীর্ঘ ৬ বছর এ উপজেলায় কর্মরত থেকে উপকরণ বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

এছাড়া নিয়ম বহির্ভূত প্রতি বছর অফিস খরচ বাবদ বিদ্যালয় প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে আসছেন। কোনো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যদি টাকা দিতে দেরি করেন, তাহলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই শিক্ষা অফিসার। তার অধীনে বিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ৫১টি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের জিম্মি করে এসব অবৈধ কাজ করে যাচ্ছেন দেদারসে। এ রকম কর্মকাণ্ড করে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষক মুখ খুলতে সাহস পায় না। একই রকম অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

এ সকল অভিযোগের বিষয় মহেশপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান অস্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হয়। এই কথাটুকুই বলে মোবাইল কেটে দেন। এরপর তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, এসব ঘটনায় বিদ্যালয় কমিটি বা বিদ্যালয় শিক্ষকের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ এ পর্যন্ত আসেনি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।