ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহেশপুরে শিক্ষক সমিতির সভাপতির হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ১৫ নম্বর কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া  গেছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত দল শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন। মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহবুব আযম ইকবাল ঝড় ও স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফ আলমগীর সিদ্দিকী রানা। তারা অফিসে ঢুকে চেয়ার তুলে প্রধান শিক্ষককে মারতে উদ্যেত হন।

প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন অভিযোগ করেন, তার স্কুলের সহকারী শিক্ষক রওশন আরা তিন বছর ধরে ঠিকমতো ক্লাস করেন না। স্কুলে আসলেও তিনি ১২টার পর নিয়মিত স্কুল ত্যাগ করে বাড়ি চলে যান। রওশন আরাকে ঠিকমতো স্কুল করার বিষয়টি জানালে ক্ষুব্ধ হন তার ছেলে স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফ আলমগীর সিদ্দিকী রানা।

গত ২ জানুয়ারি রানা ও মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহবুব আযম ইকবাল ঝড় কুশাডাঙ্গা স্কুলে এসে প্রথমে প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং অফিস কক্ষে অন্যান্য শিক্ষকদের সামনে চেয়ার তুলে মারতে যান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দেন। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মহেশপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষা অফিসার আব্দুল খালেক আব্বাসী গত ১৩ মার্চ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। তদন্তকালে কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক শামিমা আফরোজ, তাসলিমা সুলতানা, তিতাস উদ্দীন, নিরুপম কুমার হালদার, ফাতিমা খাতুন, সাবিনা খাতুন, সাদিয়া আফরোজ ও দপ্তরি আবুল হাসান শিক্ষক মাহবুব আযম ইকবাল ঝড়ু ও আরিফ আলমগীর সিদ্দিকী রানার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেন। লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, এই অনাক্ষাংকিত ঘটনায় তারা সবাই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে তদন্তে ফেঁসে গিয়ে সহকারী শিক্ষক আরিফ আলমগীর সিদ্দিকী রানা নামে-বেনামে বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এলাকার কিছু টাউট বাটপার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রধান শিক্ষককে মুঠোফোন হুমকি দিচ্ছেন বলেন আক্তার হোসেন জানান। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্তে শিক্ষক লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মহেশপুরে শিক্ষক সমিতির সভাপতির হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত

আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ১৫ নম্বর কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া  গেছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত দল শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন। মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহবুব আযম ইকবাল ঝড় ও স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফ আলমগীর সিদ্দিকী রানা। তারা অফিসে ঢুকে চেয়ার তুলে প্রধান শিক্ষককে মারতে উদ্যেত হন।

প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন অভিযোগ করেন, তার স্কুলের সহকারী শিক্ষক রওশন আরা তিন বছর ধরে ঠিকমতো ক্লাস করেন না। স্কুলে আসলেও তিনি ১২টার পর নিয়মিত স্কুল ত্যাগ করে বাড়ি চলে যান। রওশন আরাকে ঠিকমতো স্কুল করার বিষয়টি জানালে ক্ষুব্ধ হন তার ছেলে স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফ আলমগীর সিদ্দিকী রানা।

গত ২ জানুয়ারি রানা ও মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহবুব আযম ইকবাল ঝড় কুশাডাঙ্গা স্কুলে এসে প্রথমে প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং অফিস কক্ষে অন্যান্য শিক্ষকদের সামনে চেয়ার তুলে মারতে যান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দেন। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মহেশপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষা অফিসার আব্দুল খালেক আব্বাসী গত ১৩ মার্চ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। তদন্তকালে কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক শামিমা আফরোজ, তাসলিমা সুলতানা, তিতাস উদ্দীন, নিরুপম কুমার হালদার, ফাতিমা খাতুন, সাবিনা খাতুন, সাদিয়া আফরোজ ও দপ্তরি আবুল হাসান শিক্ষক মাহবুব আযম ইকবাল ঝড়ু ও আরিফ আলমগীর সিদ্দিকী রানার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেন। লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, এই অনাক্ষাংকিত ঘটনায় তারা সবাই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে তদন্তে ফেঁসে গিয়ে সহকারী শিক্ষক আরিফ আলমগীর সিদ্দিকী রানা নামে-বেনামে বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এলাকার কিছু টাউট বাটপার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রধান শিক্ষককে মুঠোফোন হুমকি দিচ্ছেন বলেন আক্তার হোসেন জানান। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্তে শিক্ষক লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হবে।