ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরের সাইফুল্লাহর লাশ মিলেছে নেত্রকোনায়, তিনজন গ্রেপ্তার

গলাকেটে হত্যার পর পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া হয় মুখ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৩:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে


ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের সাইফুল্লাহ বিশ্বাসের (৪০) লাশ মিলেছে নেত্রকোনায়। তার মুখ পুড়িয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তার মরদেহ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের হানবীর গ্রামের দেওরাজান নদীর পাশের বালুচর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সাইফুল্লাহ বিশ্বাস কাশিপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ তিন ভাড়াটিয়া খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে।

নেত্রকোনার পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন গত বৃহস্পতিবার সকালে দেওরাজান নদীর পূর্ব পাশের তেল্লা বালুচরে মরদেহটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বুধবার রাতের কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই যুবককে কেউ যাতে চিনতে না পারে সে জন্য হত্যার পর গায়ের জামা-কাপড় দিয়ে মুখ পেঁচিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থেকে তার স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যায়।

এদিকে সাইফুল্লাহর স্বজন শওকত আলী জানান, সাইফুল্লাহ গত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল্লাহ ঢাকায় বিয়ে করেন। তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের কারণে স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বেসরকারি কোম্পানির চাকরি হারিয়ে সাইফুল্লাহ ঢাকায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পুলিশ মনে করছে, যাত্রী সেজে ঘাতক চক্রটি সাইফুল্লাহর মোটরসাইকেলে উঠে নেত্রকোনায় নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার সঙ্গে তার সাবেক স্ত্রী বা শ্বশুর বাড়ির লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভাড়াটিয়া খুনি সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কোটচাঁদপুরের সাইফুল্লাহর লাশ মিলেছে নেত্রকোনায়, তিনজন গ্রেপ্তার

গলাকেটে হত্যার পর পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া হয় মুখ

আপলোড টাইম : ০৩:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪


ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের সাইফুল্লাহ বিশ্বাসের (৪০) লাশ মিলেছে নেত্রকোনায়। তার মুখ পুড়িয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তার মরদেহ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের হানবীর গ্রামের দেওরাজান নদীর পাশের বালুচর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সাইফুল্লাহ বিশ্বাস কাশিপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ তিন ভাড়াটিয়া খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে।

নেত্রকোনার পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন গত বৃহস্পতিবার সকালে দেওরাজান নদীর পূর্ব পাশের তেল্লা বালুচরে মরদেহটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বুধবার রাতের কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই যুবককে কেউ যাতে চিনতে না পারে সে জন্য হত্যার পর গায়ের জামা-কাপড় দিয়ে মুখ পেঁচিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থেকে তার স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যায়।

এদিকে সাইফুল্লাহর স্বজন শওকত আলী জানান, সাইফুল্লাহ গত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল্লাহ ঢাকায় বিয়ে করেন। তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের কারণে স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বেসরকারি কোম্পানির চাকরি হারিয়ে সাইফুল্লাহ ঢাকায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পুলিশ মনে করছে, যাত্রী সেজে ঘাতক চক্রটি সাইফুল্লাহর মোটরসাইকেলে উঠে নেত্রকোনায় নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার সঙ্গে তার সাবেক স্ত্রী বা শ্বশুর বাড়ির লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভাড়াটিয়া খুনি সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।