উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের ‘হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন রিটকারীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন গান্না ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নাসরিন আক্তার, শৈলকুপার হাকিমপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা আবু দাউদ, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের শাহিন সিরাজ, উমেদপুর ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া ইউনিয়নের উদ্যোক্তা সুমি আক্তার, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা রিনিতাজ খাতুন, সারুটিয়া ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মাহফুজুর রহমান, বিলকিস খাতুন ও নূর নবী।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদে ২০১০ সাল হতে কর্মরত আছি। কিন্তু ২০১৬ সালে সরকার “হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর” পদ সৃষ্টি করে ১৩টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ১০ জন উদ্যোক্তা উচ্চ আদালতে ৭০৬/২০২৪ নম্বরের রিট পিটিশন দায়ের করেন। ফলে হাইকোর্ট গত ২৩/০১/২০২৪ তারিখে রুল ইস্যু করে ৬ মাসের জন্য “হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর” পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। অন্যদিকে ৭০৬/২০২৪ মামলার বিপরীতে স্থানীয় সরকার পক্ষ ৬৭৬/২০২৪ নম্বরের লিভ টু আপিল দাখিল করেন। আগামী ০৬/০৫/২০২৪ তারিখে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট দিন ধার্য্য করেন। রিটকারীদের দাবি, উচ্চ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার পরও চলমান একটি মামলার বিপরীতে জেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি করে শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে, যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী ও বেআইনি।’

উদ্যোক্তা আবু দাউদ জানান, ‘প্রায় ১৪ বছর যাবত উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা আমাদের জীবন যৌবন শেষ করে দিয়েছি। অথচ জেলা প্রশাসক সুপ্রিম কোর্টের আদেশের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে কার্যত উচ্চ আদালতকে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন।’ এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আদালতের কোনো বিধিনিষেধ নেই। সে কারণেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।