ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ব্লাঙ্ক চেক জমা রেখে চাকরি

জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে এক নারীর লিখিত অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

ব্লাঙ্ক চেক জমা রেখে এনজিওতে চাকরি ও সেই সাথে ঋণ প্রদানের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন আকলিমা বেগম নামের এক নারী। গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপারের দপ্তর, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আকলিমা বেগম ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর কর্নেল রহমান সড়কের হায়াত আলী শাহের মেয়ে। তিনি ডিজ অ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাকটিভিটিজ (দিয়া) নামের একটি এনজিওতে কর্মরত থাকাবস্থায় ৬টি ব্লাঙ্ক চেক জমা দিয়ে ৫৪ লাখ টাকার মামলায় জড়িয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে আকলিমা বেগম দাবি করেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারের ডিজ অ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাকটিভিটিজ (দিয়া) নামে একটি এনজিওতে তিনি ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি করতেন। চাকরির শর্ত ছিল জামানত হিসেবে দুটি স্বাক্ষরিত চেক দিতে হবে। তিনি ২০১৭ সালে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের দুটি চেক ওই এনজিওর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির কাছে জমা দেন। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে রফি আরও চারটি ব্লাঙ্ক চেক আকলিমার কাছ থেকে জমা রাখেন। এছাড়া চাকরি করার সময় আকলিমা এক লাখ ৬০ হাজার টাকা তাকে ধার দেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে পারিবারিক কারণে আকলিমা বেগম চাকরি ছেড়ে দেন এবং এনজিওতে জমা রাখা ব্লাঙ্ক চেক ও ধারের টাকা ফেরত চান। কিন্তু রফি টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। সর্বশেষ তার কাছে থাকা ব্লাঙ্ক চেকের পাতা ও পাওনা টাকা চাইতে গেলে রফি আকলিমাকে গালিগালাজ করেন এবং মিথ্যা চেকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

আকলিমা বেগম জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন নারীর বিরুদ্ধে ব্লাঙ্ক চেকের মামলা করেছেন রফি। তার এই মামলায় বহু নারী স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং অমানবিক জীবনযাপন করছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের জানান, বুধবার দুপুরে আকলিমা বেগম নামের এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি বলেন, ব্লাঙ্ক চেক নিয়ে এনজিওতে চাকরি বা ঋণ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কোনো এনজিও যদি এটা করে থাকে, তবে সেটা বেআইনি ও নিয়মবর্হিভুত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ব্লাঙ্ক চেক জমা রেখে চাকরি

জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে এক নারীর লিখিত অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ব্লাঙ্ক চেক জমা রেখে এনজিওতে চাকরি ও সেই সাথে ঋণ প্রদানের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন আকলিমা বেগম নামের এক নারী। গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপারের দপ্তর, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আকলিমা বেগম ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর কর্নেল রহমান সড়কের হায়াত আলী শাহের মেয়ে। তিনি ডিজ অ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাকটিভিটিজ (দিয়া) নামের একটি এনজিওতে কর্মরত থাকাবস্থায় ৬টি ব্লাঙ্ক চেক জমা দিয়ে ৫৪ লাখ টাকার মামলায় জড়িয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে আকলিমা বেগম দাবি করেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারের ডিজ অ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাকটিভিটিজ (দিয়া) নামে একটি এনজিওতে তিনি ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি করতেন। চাকরির শর্ত ছিল জামানত হিসেবে দুটি স্বাক্ষরিত চেক দিতে হবে। তিনি ২০১৭ সালে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের দুটি চেক ওই এনজিওর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির কাছে জমা দেন। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে রফি আরও চারটি ব্লাঙ্ক চেক আকলিমার কাছ থেকে জমা রাখেন। এছাড়া চাকরি করার সময় আকলিমা এক লাখ ৬০ হাজার টাকা তাকে ধার দেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে পারিবারিক কারণে আকলিমা বেগম চাকরি ছেড়ে দেন এবং এনজিওতে জমা রাখা ব্লাঙ্ক চেক ও ধারের টাকা ফেরত চান। কিন্তু রফি টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। সর্বশেষ তার কাছে থাকা ব্লাঙ্ক চেকের পাতা ও পাওনা টাকা চাইতে গেলে রফি আকলিমাকে গালিগালাজ করেন এবং মিথ্যা চেকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

আকলিমা বেগম জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন নারীর বিরুদ্ধে ব্লাঙ্ক চেকের মামলা করেছেন রফি। তার এই মামলায় বহু নারী স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং অমানবিক জীবনযাপন করছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের জানান, বুধবার দুপুরে আকলিমা বেগম নামের এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি বলেন, ব্লাঙ্ক চেক নিয়ে এনজিওতে চাকরি বা ঋণ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কোনো এনজিও যদি এটা করে থাকে, তবে সেটা বেআইনি ও নিয়মবর্হিভুত।